সময় পেলেই শুদ্ধ ও সঠিকভাবে কোরআন তিলাওয়াত করুন

ইসলামিক ডেস্ক:মুমিন মুসলমানদের উচিত সময় পেলেই কোরআন শুদ্ধ ও সঠিকভাবে তিলাওয়াত করা। পাশাপশি এর অর্থ জানা ও বোঝার চেষ্টা করা। বিশেষ করে নিজেদের দৈনন্দিন জীবনের করণীয়-বর্জনীয় কাজ সম্পর্কে কোরআনের নির্দেশনা জানা এবং  তদনুসারে আমল করা। এটা কোরআনের প্রতি মুসলিমদের দায়িত্ব ও কর্তব্যও বটে।

কোরআনের হক আদায়ের মাধ্যমেই ইহকাল-পরকালের সফলতা ও মুক্তি অর্জন সম্ভব। তাই কোরআনের হক আদায়ের জন্য আমাদের কিছু কাজ করা দরকার। কাজগুলো হলো- কোরআন মনোযোগ দিয়ে শ্রবণ করা। কেউ কোরআন তিলাওয়াত করলে অমনোযোগী না হওয়া। চুপ থেকে শ্রবণ করা। এ মর্মে কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আর যখন কোরআন পাঠ করা হয়, তখন তাতে কান লাগিয়ে রাখ এবং নিশ্চুপ থাকো, যাতে তোমাদের ওপর রহমত হয়।’ সুরা আল আরাফ, আয়াত ২০৪। শুদ্ধভাবে কোরআন তিলাওয়াত করা। যথাযথ নিয়মে পড়া। অশুদ্ধতা পরিহার করা। এ প্রসঙ্গে কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আমি যাদের গ্রন্থ দান করেছি তারা তা যথাযথভাবে পাঠ করে। তারাই তার প্রতি বিশ্বাস করে। আর যারা তা অবিশ্বাস করে তারাই হবে ক্ষতিগ্রস্ত।’ সুরা বাকারা, আয়াত ১২১।

কোরআন মুখস্থ করা। সব না পারলেও জায়গা-বিশেষ সুরা বা আয়াত মুখস্থ করা। কোরআনে এ সম্পর্কে ইরশাদ হয়েছে, ‘বরং যাদের জ্ঞান দেওয়া হয়েছে, তাদের অন্তরে এটা (কোরআন) তো স্পষ্ট আয়াত। কেবল বেইনসাফরাই আমার আয়াতসমূহ অস্বীকার করে।’ সুরা আনকাবুত, আয়াত ৪৯।

কোরআনের আয়াত নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করা। গবেষণা করা। তার গভীরতা অনুধাবনের চেষ্টা করা। এ বিষয়ে কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘এটি একটি বরকতময় কিতাব, যা আমি আপনার প্রতি বরকত হিসেবে অবতীর্ণ করেছি, যাতে মানুষ এর আয়াতসমূহ লক্ষ্য করে এবং বুদ্ধিমানরা যেন তা অনুধাবন করে।’ সুরা সোয়াদ, আয়াত ২৯।

তাই সকল মুমিন মুসলিমদের প্রতি বিনীত অনুরোধ সঠিক ও শুদ্ধভাবে বেশী বেশী কোরআন তেলাওয়াৎ করি এবং তদনুসারে জীবনযাপন করি। নিশ্চয়ই রাব্বুল আলামিন পরম করুনাময় ও দয়াশীল। তিনি আমাদের কোরআনের আলোকে জীবন পরিচালনা করার নির্দেশনা দিয়েছেন এবং সে মোতাবেক জীবনযাপন করলেই ইহকাল ও পরকালে মুক্তি মেলা সম্ভব।