প্রিয় নবীর আগমন বিশ্ববাসীর জন্য রহমত

ইসলামিক ডেস্ক:এ পৃথিবী তখন পাপের অন্ধকারে ভরে গিয়েছিল। মানবতা বিদূরিত হয়ে গোটা বিশ্ব যেন জাহেলিয়ার ছোঁয়ায় আচ্ছন্ন ছিল। ঠিক সেই সময়ের কোনো ৫৭০ মতান্তরে ৫৭১ খ্রিষ্টাব্দের রবিউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তাঁর সৃষ্টির ওপর দয়া করে নবী মুহাম্মদ (সা.)-কে দুনিয়ার বুকে রহমত হিসেবে প্রেরণ করেন। তাঁর আগমন বিশ্ববাসীর জন্য রহমত। মুমিন, কাফির, জিন-ইনসান সবার জন্য তিনি রহমত। তাই ইসলামের ইতিহাসে রবিউল আউয়াল হলো একটি গুরুত্বপূর্ণ মাস।

দিবসটি পালনের সঙ্গে মুসলমানদের রাসুলপ্রেম ও ইসলামি আবেগ জড়িত। দিবসটি বিশ্বের সব মুসলিম দেশ বা মুসলিম সম্প্রদায় পালন না করলেও অনেক দেশে সরকারি-বেসরকারিভাবে তা পালিত হয়। দিনটি বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃত হওয়ায় এদিন সরকারি সাধারণ ছুটিও ঘোষিত হয়ে থাকে।

জন্ম তাঁর যেমন এ মাসে, আবার এ মাসেই তিনি তাঁর ওপর অর্পিত রিসালাতের দায়িত্ব পালন শেষে নিজ প্রভুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে এ দুনিয়া পৃথিবী থেকে বিদায় গ্রহণ করেন এবং মহান আল্লাহর সান্নিধ্যে গমন করেন। এ মাসেই তিনি মাতৃভূমি মক্কা ছেড়ে মদিনায় হিজরত করেন। সুতরাং একদিকে এ মাসে রসুল (সা.)-এর শুভাগমন বিশ্ববাসীকে পুলকিত করে, অন্যদিকে এ মাসে তাঁর প্রস্থান মুসলিম বিশ্বকে শোকাভিভূত করে। তাই এ মাসটি একই সঙ্গে শোক ও আনন্দের। সে কারণেই এ মাসের আলাদা একটি মাহাত্ম্য ও শ্রেষ্ঠত্ব রয়েছে অন্যান্য মাসের ওপর।

সংগত কারণেই এ মাসের দাবি হলো, নবী (সা.)-এর মহব্বত-ভালোবাসা ও তাঁর স্মরণে বেশি বেশি ইবাদত-বন্দেগিতে মনোযোগী হওয়া, নেক ও কল্যাণমূলক কাজ দিয়ে জীবনটাকে সজ্জিত করা। আল্লাহ-প্রদত্ত নিয়ামতগুলোর শুকরিয়া আদায় করা। প্রিয়নবীর সুন্নাত অনুযায়ী জীবনযাপন করাই নবীর প্রতি ভালোবাসা। শুধু মুখে মুখে নবীর ভালোবাসার দাবি করলে ভালোবাসা হয় না।

বর্তমান দুনিয়ার সবখানেই ফেৎনা ফ্যাসাদ লেগে আছে। মানুষ কেন যেন দিনদিন অ সহিষ্ণু হয়ে উঠছে। এ থেকে পরিত্রাণের একমাত্র উপায় আমাদের পিয় নবীর সুন্নাত মোতাবেক জীবনযাপন করা। নিশ্চয়ই মহান রাব্বুল আরানি আমাদের সকলকেই আখেরি নবীর নির্দেশিত পথে চলার শক্তি প্রদান করবেন।-আমিন