রাইস ট্রান্সপ্লান্টার ব্যবহার উপযোগী চারা তৈরীর কলাকৌশল, সম্ভাব্য সমস্যা ও করণীয়

Category: গবেষণা ফিচার Written by agrilife24

মোঃ মওদুদ আহম্মেদ:বাংলাদেশের কৃষিতে প্রধান সমস্যা হল ভরা মৌসুমে শ্রমিকের অপ্রতুলতা। ধান চাষের ক্ষেত্রে এই সমস্যা উত্তরণে যান্ত্রিক পদ্ধতিতে রাইস ট্রান্সপ্লান্টার ( চারা রোপণকারী যন্ত্র) ব্যবহার করে চারা রোপণ পদ্ধতি জনপ্রিয় করতে হবে। যেহেতু যান্ত্রিক পদ্ধতিতে চারা রোপণে খরচ কম তাই আমাদের এই পদ্ধতির প্রতি নজর দিতে হবে। সঠিক ভাবে যান্ত্রিক পদ্ধতিতে চারা রোপণ বানিজ্যিকীকরণ করতে পারলে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের ধান চাষে অনেক সুযোগ ও সম্ভাবনা সৃষ্টি হবে যা বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তায় গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

বাংলাদেশের অধিকাংশ ক্ষেত্রে এখনও হস্তচালিত চারা রোপন পদ্ধতিতে ধান চাষাবাদ করা হয় যদিও এটা ক্লান্তিকর, সময়সাপেক্ষ এবং শারীরিক শ্রমের প্রয়োজন। এর প্রধান কারণ হলো যান্ত্রিক পদ্ধতিতে চারা রোপণের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ ও প্রদর্শনী না থাকায় কৃষকের মাঝে এটা এখনও জনপ্রিয় হতে পারেনি। রাইস ট্রান্সপ্লান্টার কাজের চাপ কমায় এবং চারা থেকে চারার সঠিক দূরত্ব বজায় রাখার নিশ্চয়তা দান করে । ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে যে সকল কৃষক ট্রান্সপ্লান্টার কিনতে চায় বা যাদের বড় ফার্ম আছে তারা উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ট্রান্সপ্লান্টার ব্যবহার করতে পারে ওয়াকিং টাইপ রাইচ ট্রান্সপ্লান্টারের মাঠে গড় দক্ষতা ঘন্টায় ৪৫-৬০ শতাংশ। প্রায় ১০০ ভাগ দক্ষতার সাথে উক্ত যন্ত্রের সাহায্যে ধানের চারা রোপণ করে এবং অনুপস্হিত গোছা থাকে না বললেই চলে।  

১৯৬০ সালে চারা রোপণকারী যন্ত্র উদ্ভাবন হলেও এটির ব্যবহার শুরু হয় মূলত ১৯৭০ থেকে ১৯৮০ সালের মধ্যবর্তী সময়ে। বাংলাদেশে সর্বপ্রথম বিএডিসি ম্যানুয়াল টাইপ ট্রান্সপ্লান্টার আমদানি করে যদিও মাঠে ব্যবহার এর ক্ষেত্রে ট্রান্সপ্লান্টারটির অনেক সীমাবদ্ধতা ছিল। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট ২০১৪-২০১৬ মধ্যবর্তী সময়ে চার সারি বিশিষ্ট পুল টাইপ ট্রান্সপ্লান্টার তৈরী করে। ২০১৯ সালে ব্রি পাওয়ার অপারেটেড ট্রান্সপ্লান্টার এর উন্নয়ন সাধন করার উদ্যোগ নেয়। সর্বশেষ যান্ত্রিক পদ্ধতিতে ধান চাষাবাদের লক্ষে খামার যন্ত্রপাতি গবেষণা কার্যক্রম বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতায় দুটি ওয়াকিং টাইপ ট্রান্সপ্লান্টার (স্পেসিং ২৫ সেমি ও ৩০ সেমি )-এর উন্নয়ন সাধন করতে কাজ করে যাচ্ছে।

যান্ত্রিক পদ্ধতিতে ধানের চারা লাগানোর জন্য ট্রে অথবা পলিথিনের উপর আমন মওসুমে ১৫-১৮ দিন এবং বোরো মওসুমে ২৫-৩০ দিন বয়সের চারা উৎপাদন করতে হবে। যে কারণে ধানের জীবনকাল মাঠে বেশীদিন দীর্ঘায়িত হয়। ফলে ধানের গোছায় বেশি সংখ্যক কার্যকারী কুশি উৎপন্ন হয়। চারার উচ্চতা,ঘনত্ব এবং ট্রে/পলিথিনের উপর মাটির পুরুত্ব যান্ত্রিক পদ্ধতিতে রোপণের জন্য গুরত্বপূর্ণ। যান্ত্রিক পদ্ধতিতে ধানের চারা রোপণের জন্য ২-৩ পাতা বিশিষ্ট ১২০-১৫০ মিমি উচ্চতার চারা, প্রতি বর্গ সেমি এ ৩-৪টি চারা এবং ট্রে/পলিথিনের উপর ২.০-২.৫০ সেমি মাটির পুরুত্ব রাখলে ভালো হয়। প্লাস্টিকের ট্রে অথবা পলিথিনের উপর ম্যাট টাইপ চারা তৈরী করতে হয়। ঝুরঝুরে দোআঁশ বা বেলে মাটি ম্যাট টাইপ চারা তৈরীর জন্য উপযোগী। প্রয়োজন মতো জৈব সার মাটির সাথে মিশ্রণ করা যেতে পারে।

ট্রে অথবা পলিথিনের উপর ২০ মিলি অথবা পৌনে এক ইঞ্চি গভীরতায় ঝুরঝুরে মাটি ছড়িয়ে দিতে হবে। ছড়িয়ে দেয়া মাটির উপর ধানের জাত এবং অঙ্কুরোদগমের হার অনুযায়ী ১২০-১৪০ গ্রাম পরিমাণ বীজ প্রতি ট্রেতে সমঘনত্বে ছিটিয়ে দিতে হবে। চিকন ও লম্বা ধানের ক্ষেত্রে ১২০, মাঝারি ধানের ক্ষেত্রে ১৩০, মোটা ও খাটো ধানের ক্ষেত্রে ১৪০ গ্রাম বীজ বপন করতে হবে। একটি ট্রের ক্ষেত্রফল পৌনে দুই বর্গ ফুট (১.৭৫ বর্গ ফুট)। পলিথিনে বীজ বপনের ক্ষেত্রে ১.০ বর্গফুট জায়গায় চিকন ও লম্বা ধানের ক্ষেত্রে ৭০, মাঝারি ধানের ক্ষেত্রে ৭৫, মোটা ও খাটো ধানের ক্ষেত্রে ৮০ গ্রাম বীজ বপন করতে হবে। ট্রের উপর বীজ ছড়িয়ে দেয়ার পর ঝুরঝুরে মাটি দিয়ে হালকা করে ঢেকে (৩-৫ মিলি গভীরতায়) দিতে হবে। তারপর ঝরনার মাধ্যমে হালকাভাবে সেচ দিতে হবে যাতে ট্রের সম্পূর্ণ মাটি সিক্ত হয়। সমভাবে সেচ দেওয়ার জন্য প্লাস্টিকের ট্রে অথবা পলিথিন সমান জায়গায় স্হাপন করতে হবে। মূল জমিতেই ট্রে অথবা পলিথিন স্হাপন করা উত্তম ।

যান্ত্রিক পদ্ধতিতে চারা রোপণের সময় কয়েকটি সমস্যা দেখা দিতে পারে। সাধারণত ট্রেতে বা পলিথিন বীজতলায় চারা উৎপাদন কালে মাটির পুরুত্ব কম এবং শিকড়ের ঘনত্ব কম হলে চারা রোপণ করার সময় এলোমেলোভাবে এলিয়ে পড়তে পারে। চারার শিকড়ের মাটি অত্যন্ত নরম বা বীজতলার পানি হতে চারা তুলে সঙ্গে সঙ্গে রোপণ করলেও এ সমস্যা হতে পারে। মাটির স্তরের পুরুত্ব ১ থেকে ১.১৫ ইঞ্চি বা ৩ সেমি এর বেশি হলে পিকার ট্রে হতে চারা তুলতে পারে না। মাটির স্তরের পুরুত্ব সুপারিশকৃত পুরত্বের চেয়ে বেশি হলে এ সমস্যা দেখা দিতে পারে। বীজতলার মাটির পুরত্ব ১ থেকে ১.১৫ ইঞ্চি বা ৩ সেমি এর মধ্যে রাখতে হবে। মাটির পুরুত্ব বেশি হলে তা কেটে কমাতে হবে। ট্রের মাটি খুব আঠালো হলে, বেশি শুকনো হলে, রোপণের সময় জমিতে পানি না থাকলে বা পিকারের সাথে খড় বা আগাছা আটকে গেলে পিকার থেকে চারা মুক্ত না হওয়ার জন্য অরোপিত সারি থাকতে পারে।

সাধারণত ট্রেতে অসমভাবে বীজ বপন করলে বা অপর্যাপ্ত বীজ গজালে রোপণের সময় চারা অরোপিত থাকতে পারে। এ সমস্যা উত্তরণের জন্য প্রতি ট্রেতে  গুণগত মান সম্পন্ন এবং সুপারিশকৃত পরিমাণ বীজ সমঘনত্বে বপণ করতে হবে । সামগ্রিক কর্মদক্ষতা বিবেচনায় যান্ত্রিক ট্রান্সপ্লান্টার এর কর্মদক্ষতা ম্যানুয়াল ট্রান্সপ্লান্টারের এর চেয়ে বেশি। চারা রোপনের খরচ, গ্রোস রির্টান, নেট রির্টান, এবং সুবিধা-খরচ বিবেচনাতেও বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে যান্ত্রিক ট্রান্সপ্লান্টার বেশি উপযোগী। রাইস ট্রান্সপ্লান্টার দিয়ে ৫০ ডেসিমাল ধানের চারা রোপণ করতে সময় লাগে প্রায় ১ ঘন্টা। আর এতে প্রতি ডেসিমালে তেল খরচ হয় ১০ থেকে ১২ মিলি লিটার। অল্প সময়ের মধ্যেই একটি ক্ষেতের ধানের চারা রোপণ করা যাবে। এতে কৃষকদের ৮০ ভাগ খরচ কমে যাবে। যদি ৩৩ ডেসিমালে শ্রমিক দিয়ে ধানের চারা রোপণ করানো হয় তাহলে প্রায় ১ হাজার টাকা খরচ হবে। আর যদি রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে চারা রোপণ করা হয় তাহলে মাত্র ২০০ টাকা খরচ হয়। এই যন্ত্র দিয়ে একসাথে ৬ লাইনে ধানের চারা রোপন করা যায়। যন্ত্রটি এক সাথে ১২ টি ট্রে বহন করে চালাতে পারে। সনাতন পদ্ধতিতে এক বিঘা জমিতে ধানের চারা রোপণ করতে কমপক্ষে চার জন শ্রমিককে কাজ করতে হয়। এতে করে কৃষকদের অধিক মজুরী গুনতে হয়। যন্ত্র দিয়ে এক ঘন্টায় ০.৩৫ হেক্টর জমির ধান রোপণ করা যায়। প্রতি হেক্টর জমিতে ২০ জন শ্রমিকের সাশ্রয় হয়। এ যন্ত্র দিয়ে ধানের চারা রোপণ করলে কৃষকের সময় ও অর্থের সাশ্রয় হবে। চারা রোপণে যন্ত্রটি ব্যবহার করলে রোপণ খরচ ৫০-৭৫ ভাগ কমানো সম্ভব হবে।  

এ ছাড়া রাইস ট্রান্সপ্লান্টার দিয়ে চারা রোপণ করলে লাইন সোজা হয়। ফলে পররর্তীতে আগাছা নিড়ানো, সার ও কীটনাশক ছিটানো ও ধান কাটা সহজ হয়। রাইস ট্রান্সপ্লান্টার দিয়ে চারা রোপণের জন্য ম্যাট টাইপ চারা তৈরি করতে হয়। ম্যাট টাইপ চারা তৈরিতে সমভাবে বীজ ছিটানো জরুরী। বীজ সমভাবে না পরলে ট্রান্সপ্লান্টার দিয়ে বীজ বপনের সময় মিসিং হিলের পরিমাণ বেড়ে যায়। হাতে বীজ ছিটানো অনেক কষ্টসাধ্য কাজ এবং সমভাবে বীজ ছিটানো যায় না। যন্ত্রের সাহায্যে বীজতলা/ট্রে’তে অল্প সময়ে সমভাবে বীজ ছিটানো যায়।

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এর ফার্ম মেশিনারী এন্ড পোস্টহারভেস্ট টেকনোলজি বিভাগে বাস্তবায়নাধীন “যান্ত্রিক পদ্ধতিতে ধান চাষাবাদের লক্ষ্যে খামার যন্ত্রপাতি গবেষণা কার্যক্রম বৃদ্ধিকরণ (এসএফএমআরএ) প্রকল্পের অর্থায়নে দেশীয় কাঁচামাল ব্যবহার করে ২০২১ সনে ব্রি বীজ বপন যন্ত্রের উন্নয়ন করেছে। রাইস ট্রান্সপ্লান্টার কৃষকদের মাঝে জনপ্রিয় করার জন্য বীজ বপন যন্ত্র অপরিহার্য। এই যন্ত্র দিয়ে প্রতি ঘন্টায় ৭,০০০-৭,৩০০ টি ট্রে বীজ ছিটানো যায় যেখানে হাতে প্রতি ঘন্টায় ৬০-৬৫ টি ট্রে বীজ ছিটানো যায়। যন্ত্রটি দিয়ে প্রতি ট্রে’তে ৯৫ থেকে ১৬০ গ্রাম অংকুরিত বীজ বপন করা যায়। যন্ত্রটির সাহায্যে বীজ বপনের পর ঝুরঝুরে মাটি দিয়ে উপরের স্তর (৬ মিমি) কভার করা যায় । খুব সহজে বিভিন্ন জাতের ধানের জন্য বীজ বপনের হার নিয়ন্ত্রণ করা যায়। যন্ত্রের ওজন (৯ কেজি) কম হওয়ায় সহজে বহন করা যায়।  হোপারের বীজধারনক্ষমতা ৯ কেজি হওয়ায় প্রতিবার ৬০ থেকে ৭৫টি ট্রে তৈরী করা যায়।

কৃষি যান্ত্রিকীকরণে প্রধান সমস্যা হলো কৃষকরা নতুন কোন প্রযুক্তি সহজে গ্রহণ করতে চায় না কারণ যন্ত্রের পরবর্তী সেবার অপ্রতুলতা এবং দক্ষ কারিগর এর স্বল্পতা। ট্রান্সপ্লান্টারকে আরো যুগপোযুগী করতে বিশ্ববিদ্যালয় এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠানেরে গবেষকদের সমন্বয় প্রয়োজন। বাংলাদেশের জমি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশে বিভক্ত হওয়ায় যান্ত্রিকীকরণে এটি অন্যতম সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সমলয় চাষাবাদের ( synchronized cultivation) মাধ্যমে ট্রান্সপ্লান্টার এর ব্যবহার কৃষি যান্ত্রিকীকরণে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। দক্ষতা বৃদ্ধিকরণ প্রশিক্ষণ, আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে গ্রামের শিক্ষিত নারী এবং যুবকের সম্পৃক্ত করা যেতে পারে যা উদ্যেক্তা সৃষ্টিতে অবদান রাখবে।

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এর যান্ত্রিক পদ্ধতিতে ধান চাষাবাদের লক্ষে খামার যন্ত্রপাতি গবেষণা কার্যক্রম বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতায় কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও প্রদশর্নীর মাধ্যমে Mechanized Village ধারণাটিকে আরও জোরদার করা হচ্ছে। সঠিক পদ্ধতিতে ট্রে তে বীজ ছিটানো এবং চারা উঠানো ট্রান্সপ্লান্টিং করার অন্যতম চাবিকাঠি। কৃষকদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যান্ত্রিক পদ্ধতিতে চারা রোপণের ক্ষেত্রে কৃষক, অপারেটর, সম্প্রসারণ কর্মী ও গবেষকদের সম্পৃক্ততা প্রয়োজন। বাংলাদেশের জমির আকৃতি ভিন্ন ভিন্ন হওয়ায় “ফার্ম রোড” করার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব হতে পারে। কৃষি যান্ত্রিকীকরণ নিশ্চিত এবং তরান্বিত করতে যন্ত্রের মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ এর জন্য প্রতিটি উপজেলায় একটি করে সেবা কেন্দ্র চালু করা প্রয়োজন। যান্ত্রিকীকরণকে টেকসই করার জন্য সরকারি ও বেসরকারি সংস্হার সহযোগিতার প্রয়োজন। যান্ত্রিকীকরণ এর পরিকল্পনা করতে প্রতিটি স্টেক হোল্ডারকে এগিয়ে আসতে হবে। কৃষি ও গ্রাম্য ঋণ নীতিমালার আওতায় ক্ষুদ্র ও মাঝারী কৃষকদের ঋণ বিতরণ কার্যক্রম আরও বৃদ্ধি করতে হবে। ট্রান্সপ্লান্টার এর বিভিন্ন যন্ত্রপাতি সহজলভ্য ও হাতের নাগালে পেতে সরকারী ও বেসরকারী অংশীদারিত্ব প্রয়োজন। সরকারিভাবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অধীনে রাইস ট্রান্সপ্লান্টার ভুতুর্কির মাধ্যমে বিতরণ করা যেতে পারে যাতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি কৃষকরা উপকৃত হয়।  

অধিক ফলন এবং খরচ বিবেচনায় যান্ত্রিক পদ্ধতিতে চারা রোপণ বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সাশ্রয়ী এবং ব্যবহার উপযোগী। ট্রান্সপ্লান্টার বানিজ্যিকীকরণ এর ক্ষেত্রে উদ্যেক্তা তৈরী এবং সমালয় চাষাবাদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। কৃষক প্রশিক্ষণ, প্রদর্শনী, ভতুর্কী ব্যবস্হা, মডেল গ্রাম এবং অবকাঠামো স্হাপনের মাধ্যমে যান্ত্রিক পদ্ধতিতে চারা রোপন আরও জনপ্রিয় করা সম্ভব। বাংলাদেশের কৃষিতে শ্রমিক সংকট বিবেচনায় রাইস ট্রান্সপ্লান্টার একটি আধুনিক  প্রযুক্তি। এই যন্ত্র ব্যবহার এর ফলে সময় ও অর্থ সাশ্রয়ের মাধ্যমে ফসলের ফলন বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে ।
 
লেখকঃকৃষি প্রকৌশলী, ওয়ার্কশপ মেশিনারী এন্ড মেইনটেন্যান্স বিভাগ
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, গাজীপুর