বাংলাদেশ ও শ্রীলংকার অর্থনীতিঃ ফারাক বহুদুর

কৃষিবিদ ড. এম. মনির উদ্দিন:প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক অপার লীলাভুমি যার নাম দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলংকা। ১৯৪৮ সালে স্বাধীন হওয়ার পর দেশটি দীর্ঘ ২৬ বছরের গ্রহযুদ্ধে পড়েও দক্ষিন এশিযার মধ্যে অনেকটাই এগিয়ে যাচ্ছিল। দক্ষিন এশিয়ার মধ্যে শ্রীলংকার শিক্ষার হার সর্ব্বোচ ৯২.৩৯ শতাংশ। দেশটির মোট জনসংখ্যা ২১ মিলিয়ন এবং মাথাপিছু আয় একসময় বেড়ে দাড়ায় ৩ হাজার ৮১৯ ডলার যা ছিল দক্ষিন এশিয়ার মধ্যে সর্ব্বোচ্চ।

সম্প্রতি দেশটি চরম অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে যেখান থেকে বের হতে পারছে না। খাদ্য সংকট, বেকারত্ব, বৈদেশিক মুদ্রার সংকট, গ্যাস, বিদ্যুৎ সংকট, হাসপাতালে ঔষধের অভাব এসব মিলিয়ে শ্রীলংকার মানুষ চরম মানবিক সংকটের মধ্য দিয়ে দিন কাটাচ্ছে।

শ্রীলংকার মোট জনসংখ্যা ২১ মিলিয়ন এবং প্রধান খাদ্য ধান। দেশটির প্রায় ২ মিলিয়ন কৃষক তাদের জীবনযাত্রার জন্য কৃষির সাথে জড়িত। প্রায় ৩০ শতাংশ শ্রমিক প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কৃষির সাথে সম্পৃক্ত। শ্রীলংকার জিডিপিতে কৃষির অবদান ৭.৪ শতাংশ। শ্রীলংকায় ধানের মোট উৎপাদন প্রায় ৩ মিলিয়ন টন যা দেশটির চাহিদার ৬০ শতাংশ। অর্থ্যাৎ স্বাভাবিকভাবেই দেশটি খাদ্য ঘাটতিতে এবং খাদ্যপণ্য আমদানীর উপর নির্ভরশীল। দেশটিতে মাথাপিছু বছরে চাল গ্রহনের পরিমান ৯২ কেজি এবং শ্রীলংকার খাদ্য ঘাটতি মেটানো হয় মুলত ভারত থেকে আমদানীর মাধ্যমে।

শ্রীলংকা একটি অনুন্নয়নশীল দেশ। ২০২১ সালে দেশটির রপ্তানী থেকে আয় এসেছে ১২.৩৪ বিলিয়ন ডলার। একই সনে শ্রীলংকার প্রবাসীদের মাধ্যমে আয় এসেছে ৫.৪৯ বিলিয়ন ডলার। মার্চ, ২০২২ পর্যন্ত দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ ছিল মাত্র ১.৯৩ বিলিয়ন ডলার। দেশটির বাইরের আয় এবং খাদ্যপণ্য আমদানী এসব মিলিয়ে অর্থনীতির স্বাভাবিক অবস্থা বিরাজ করার কথা। কিন্তু হঠাৎ করেই শ্রীলংকার কেন এই চরম অর্থনৈতিক বিপর্যয়?

স্বাভাবিক অবস্থায়ই খাদ্য ঘাটতিতে থাকা শ্রীলংকার উচ্চাভিলাসী সরকার ২০২১ সালে শতভাগ অর্গানিক ফার্মিং শুরু করে এবং সকল ধরনের রাসয়নিক সার ও পেস্টিসাইড ব্যবহার নিষিদ্ধ করে। এই ভুল নীতিমালার ফলে দেশটির কৃষিতে হঠাৎ করে বিপর্যয় নেমে আসে এবং কৃষিজ উৎপাদন কমপক্ষে ৫০ শতাংশ কমে যায়। এই বড় পরিমানের খাদ্য ঘাটতি সেখানকার সরকার মেটাতে পারছে না এবং এই কারনেই আজ সেখানে চালের কেজি ৫০০ টাকা। এই অবস্থা চলতে থাকলে অনুন্নয়নশীল এই দেশের জনসংখ্যার একটি বড় অংশ খাদ্য প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হবে যা তাদেরকে মৃতে্যুর দিকে নিয়ে যাবে।

নিম্ন আয়ের একটি দেশ হিসাবে শ্রীলংকাকে খাদ্য ঘাটতি মিটিয়ে খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পুর্ন হওয়ার পথে হাটা উচিত ছিল। কারন দেশ কৃষিপণ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পুর্ন না হলে অন্যান্য সেক্টরের উন্নয়নে যেতে পারে না এবং গেলেও তা টেকসই বা স্থায়ীত্বশীল হয় না। বিশ্বে বর্তমানে উন্নত দেশগুলো এভাবেই কৃষির হাত ধরে প্রথমে তাদের অর্থনীতিকে মজবুত করেছে এবং পরবর্তীতে তারা অন্যান্য শিল্পায়নের পথে হেটেছে। এভাবেই একটি অনুন্নয়নশীল দেশ উন্নয়নশীল দেশের দিকে ধাবিত হয় এবং পরবর্তী ধাপে খাদ্যপণ্য শিল্পায়নের মাধ্যমে উন্নত দেশের দিকে পথ চলা শুরু হয়। অর্থ্যাৎ যে কোন দেশের উন্নয়নে কৃষিই হলো প্রথম নিয়ামক যার উপর ভর করে দেশ উন্নয়নের পথে চলে।

শ্রীলংকা কৃষিতে দুর্বল হওয়া স্বত্ত্বেও চীনের কাছ থেকে বিশাল অংকের ঋণ নিয়ে মেগা প্রকল্প গভীর সমুদ্র বন্দর ও বিমান বন্দর গড়ে তোলে যার সাথে সে দেশের জনগণের সরাসরি কোন স্বার্থই জড়িত নেই। উপরন্ত, ঋণের দায় পরিশোধে চীনের কাছে সমুদ্র বন্দর ছেড়ে দিতে হয়েছে। তাই শ্রীলংকার আজকের এই চরম অর্থনেতিক বিপর্যয়ের মুল কারনই হলো ভুল ও উচ্চাভিলাসী নীতিমালা গ্রহন এবং অনর্থক বৃহৎ ঋণের মাধ্যমে মেগা প্রকল্পে হাত দেয়া।

এবার আমরা যদি বাংলাদেশের দিকে তাকাই তাহলে কি দেখতে পাই? ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হয় এবং দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে দেশের খাদ্য উৎপাদনে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়। যার কারনে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে খাদ্য উৎপাদন হয় মাত্র ৯৯ লাখ ৩৬ হাজার টন। অর্থ্যাৎ বাংলাদেশ শুরুতে খাদ্য ঘাটতিতে ছিল।

স্বাধীনতার ৫১ বছরে বাংলাদেশের কৃষিতে যে অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রা চলছে তা আজ শুধু দেশের মানুষই নয় বহির্বিশ্বে আজ বাংলাদেশ উন্নয়নের এক রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃত। করোনাকালীন বিশ্বে যখন অনেক দেশের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়েছে তখন বাংলাদেশ তার অর্থনীতিকে সচল রেখেছে কৃষিকে ঘিরেই।

দীর্ঘদিন বিশ্বে ধান উৎপাদনে ৪র্থ অবস্থানে থাকা বাংলাদেশ ইন্দোনেশিয়াকে পিছনে ফেলে ধান উৎপাদনে ৩য় অবস্থানে এসেছে। ২০১৯-২০২০ বছরে দেশের দানা জাতীয় খাদ্য উৎপাদন হয়েছে ৩৮৬.৯৫ লাখ টন, শাকসব্জি ১৭৯ লাখ টন, আলু ১১০ লাখ টন, ফল ১৪০ লাখ টন, মাছ ৪৫ লাখ টন, মাংশ ৭৬.৭৪ লাখ টন, দুধ ১০৬.৮০ লাখ টন, ডিম ১৭৩৬ কোটি। ১৭ কোটি মানুষের হিসেবে বাংলাদেশ আজ শুধু খাদ্যে স্বয়ংসম্পুর্ণই নয় বরং উদ্বৃত্ত। কৃষির উৎপাদন থেমে নেই অর্থ্যাৎ প্রতিবছর কৃষিপণ্যের উৎপাদন আগের বছরের রেকর্ডকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে। বলা যায়, বাংলাদেশের কৃষিতে এক নীরব বিপ্লব ঘটে চলেছে।

আমেরিকান সাংবাদিক নিকোলাস ক্রিস্টফ নিউইয়র্ক টাইমসের মতামত কলামে লিখেছিলেন, মাত্র ৫০ বছর আগে গণহত্যা আর অনাহারের ভেতর বাংলাদেশের জন্ম। সেই দেশটিকে হেনরি কিসিঞ্জার তলাবিহীন ঝুড়ির সংগে তুলনা করেছিলেন। ১৯৯১ সালে প্রলয়ংকরী ঘুর্নিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ বাংলাদেশের উপকুলীয় এলাকায় সংবাদ সংগ্রহ করতে আসার প্রসঙ্গ টেনে তিনি লিখেছিলেন, ভয়াল ওই ঘুর্নিঝড়ে বাংলাদেশের ১ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। তখন টাইমসে বাংলাদেশকে নিয়ে আমি হতাশার প্রতিবেদন করেছিলাম। ওই সময়ে বাংলাদেশ যত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছিল তাতে হয়তো আমার পর্যবেক্ষন ঠিক ছিল। কিন্তু আমার সেই হতাশা ভুল প্রমানিত হয়েছে। তিন দশক ধরে দেশটি অবিশ্বাস্য উন্নতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।                  
 
বাংলাদেশি মানুষের গড় আয়ু ৭৩ বছর। বিশ্ব ব্যাংক বলছে, কোভিড মহামারির ৪ বছর আগে বাংলাদেশের অথনীতি ৭ থেকে ৮ শতাংশ বেড়েছে যা চীনের চেয়েও বেশী। বাংলাদেশে এখন ৯৮ শতাংশ শিশু প্রাথমিক শিক্ষা পাচ্ছে। মেয়েদের শিক্ষিত করতে পারায় এখন তারাই বাংলাদেশের অথনীতির পিলার।

আমেরিকায় প্রতি সাত শিশুর একজন যারা মাধ্যমিক শিক্ষার স্তর পার করতে পারেনি তাদের যদি সাহায্য করা যায় তাহলে দেশ হিসেবে যুক্তরাস্ট্র বিশাল সুবিধা পাবে। যেটা বাংলাদেশ করে দেখিয়েছে। বাংলাদেশ আমাদের দেখিয়ে দেয়, প্রান্তিক শিশুর উপর বিনিয়োগ কোনো করুণা নয় বরং এটি একটি জাতির উন্নয়নের সহায়ক।

আইএমএফ এর তথ্যানুযায়ী, ২০১৯ সালে বিশ্বের সব দেশের মধ্যে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ছিল সব্বোর্চ ৭.৮ শতাংশ। বাংলাদেশের কৃষিবান্ধব সরকার কৃষিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে কৃষির উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে গতিশীল রাখার জন্য কৃষক খামারীদের নানাবিধ ভর্তুকি ও প্রনোদনা দিয়ে কৃষিপণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধিতে কাজ করে চলেছে। গতবছর বাংলাদেশ কৃষিপণ্য রপ্তানী করে বিলিয়ন ডলার আয় করেছে এবং আগামীদিনে বিদেশে কৃষিপণ্য রপ্তানী বাড়ানোর নুতন সুযোগ তৈরী হচ্ছে।

দেশে অদ্যাবধি ১২৮টি উন্নত জাতের ধানের জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে এবং আগামীদিনে জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে বেশী ফলন দিতে পারে এমন সব ফসলের জাত উদ্ভাবনে কাজ করে যাচ্ছে দেশের কৃষি সংশ্লিষ্ট গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো। অর্থ্যাৎ বাংলাদেশ অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে এগিয়ে য়াচ্ছে দেশের কৃষিকে আরো গতিশীল ও টেকসই করার জন্য।

এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নকে ২০২২ সালের জানুয়ারী ও ফেব্রুয়ারী মাসের জন্য ২.১৬ বিলিয়ন ডলার প্রদানের পর মার্চ, ২০২২ পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ দাড়িয়েছে প্রায় ৪৪ বিলিয়ন ডলার। ২০২১ সালে দেশে রেকর্ড রপ্তানী আয় এসেছে ৪৪.২২ বিলিয়ন ডলার। দেশের রপ্তানীতে গার্মেন্টস সেক্টর ইতিমধ্যে চীন, ভিয়েতনামকে ছাড়িয়ে শীর্ষে রয়েছে। কৃষিপণ্যসহ অন্যান্য সেক্টরের রপ্তানী আয়ও বেড়ে চলেছে এবং এটা অব্যাহতভাবে বাড়তে থাকবে।

২০২১ সালে দেশে প্রবাসীদের কাছ থেকে রেকর্ড পরিমান রেমিট্যান্স ২২ বিলিয়ন ডলার দেশে এসেছে। বাংলাদেশে প্রবাসীদের কাছ থেকে যে পরিমান রেমিট্যান্স আসছে তা কমার কোন সম্ভাবনা নেই বরং নুতন করে বিভিন্ন দেশে জনবল পাঠানোর সুযোগ তৈরী হচ্ছে। তাই আশা করা যায়, আগামীদিনে রেমিট্যান্সের পরিমান অব্যাহতভাবে বাড়তেই থাকবে।

বাংলাদেশের বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষন করলে সহজেই বুঝতে পারা যায়, বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে উঠে গিয়েছে। তাই বাংলাদেশের এখন সামনে এগিয়ে চলার সময় আর পিছন ফিরে তাকানোর সময় নেই। বিভিন্ন আর্ন্তজাতিক গবেষণা ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলোও বাংলাদেশকে নিয়ে গবেষণা করছে এবং তাদের প্রতিবেদনগুলো দেখলে পরিস্কার হয়ে যায় যে, বাংলাদেশ সঠিক পথে এগিয়ে যাচ্ছে। বৃটেনের অর্থনৈতিক গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর ইকোনমিক অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চ এর মতে, ২০৩৫ সাল নাগাদ বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে ২৫তম বৃহৎ অথনীতির দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।

বাংলাদেশ আজ শতভাগ বিদ্যুতের আওতায় এসেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত গঠনমুলক একটি মন্তব্য করেছেন যে, পদ্মা সেতু চালু হলে দেশের প্রবৃদ্ধি ২ শতাংশ বেড়ে যাবে। আজকে ঢাকা শহরের যে যানজট, মেট্রোরেল চালু হলে জনগণ এর থেকে উপকৃত হবে।

মোট কথা বাংলাদেশে যে কয়েকটি মেগা প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে তার প্রতিটিই জনস্বার্থকে বিবেচনা করে নেয়া হয়েছে। তাই শ্রীলংকার অর্থনীতির সাথে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে মেলানো সম্পুর্ণটাই ভুল। তবে এভাবে বলা যায়, শ্রীলংকার অর্থনীতি হয়তো ঘুরে বাংলাদেশের মত অবস্থায় আসতে পারে তবে বাংলাদেশের অর্থনীতি শ্রীলংকার অবস্থায় যাওয়ার কোন সুযোগই নেই।

ভারত ও পাকিস্তান ১৯৪৭ সালে স্বাধীন হয় আর বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নের্তৃত্বে ১৯৭১ সনে পাকিস্তানের বুক চিরে স্বাধীনতা অর্জন করে। ৭৪ বছর আগে স্বাধীন হওয়া পাকিস্তানের চেয়ে ৫১ বছরের স্বাধীন বাংলাদেশের অর্থনীতি অনেক মজবুত। এমনকি, বৃহৎ অর্থনীতির দেশ প্রতিবেশী ভারতের চেয়েও অনেক সুচকে বাংলাদেশ এগিয়ে আছে। শিক্ষার যেমন সীমারেখা নেই অভিজ্ঞতারও কোন শেষ নেই। আমরা পাকিস্তানের অর্থনৈতিক বিপর্যয় প্রত্যক্ষ করেছি, শ্রীলংকার চরম অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের ঘটনা প্রতিনিয়ত পাচ্ছি। আমাদের জনবান্ধব সরকার পাকিস্তান ও শ্রীলংকার থেকে অবশ্যই শিক্ষা নেবে। আগামীদিনে দেশের উদীয়মান অর্থনীতিকে সচল রাখতে সতকর্তার সাথে এগিয়ে যাবে যাতে উন্নয়নের মহাসড়কে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়া অব্যাহত থাকে।

লেখক:এগ্রোনোমিস্ট, কলামিষ্ট ও উন্নয়ন কর্মী