পরিবেশ বান্ধব ও ঝুঁকিমুক্ত ভেষজ বালাইনাশক ব্যবহার করে ক্ষতিকর পোকা ব্যবস্থাপনা

Category: গবেষণা ফিচার Written by agrilife24

ড. জগৎ চাঁদ মালাকার:
ভেষজ বালাইনাশক:
জৈব উৎস বিশেষ করে উদ্ভিদ/উদ্ভিদাংশ থেকে উৎপন্ন বালাইনাশককে ভেষজ/ জৈব বালাইনাশক বলে। আমাদের দেশ আয়তনে ছোট হলেও উদ্ভিদ বৈচিত্র্যে খুবই সমৃদ্ধ। আবহমানকাল থেকেই মানুষের স্বাস্থ্য সেবায় গাছ-গাছালি ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এমনকি কৃষি ফসল উৎপাদন ও সংরক্ষণেও গাছপালার ব্যবহার ঐতিহ্য সুদীর্ঘকালের। রাসায়নিক কৃষি উপকরণের এলোপাথারি ব্যবহারের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় জলে, স্থলে,অন্তরীক্ষে বাড়ছে দূষণের মাত্রা। জনস্বাস্থ্য হচ্ছে মারাত্মক হুমকির সম্মুখীন। পৃথিবীর যে কোন সমস্যার সমাধান এই পৃথিবীতেই আছে এ আমার বিশ্বাস। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য সারা পৃথিবীতে এখন জৈব কৃষির প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। সে ধারাবাহিকতায় বালাই ব্যবস্থাপনায় স্থান পেয়েছে ভেষজ/ জৈব বালাইনাশক এবং এর ব্যবহার উৎসাহিত করা হচ্ছে।

কিছু কিছু উদ্ভিদে এমন কিছু রাসায়নিক উপাদান আছে যা ক্ষতিকারক পোকা এবং রোগ দমনে বিষ হিসেবে কাজ করে। উদ্ভিদের দেহের বিভিন্ন অংশ যেমন: পাতা, কান্ড, ফল, বাকল সংগ্রহ করে এদের নির্যাস বালাই দমনে ব্যবহার করা হয়। তাই জৈব বালাইনাশক বলতে উদ্ভিদ বা উদ্ভিদজাত দ্রব্য থেকে তৈরি বালাইনাশক যা ক্ষতিকারক পোকা ও রোগবালাই দমনে ব্যবহার করা হয়। সাধারনত জৈব বালাইনাশক পরিবেশ বান্ধব এবং উপকারী পোকামাকড় ও অনুজীবের জন্য কম ক্ষতিকর হিসেবে গন্য করা হয়। পক্ষান্তরে রাসায়নিক কীটনাশক পরিবেশ ও উপকারী পোকামাকড়ের জন্য হুমকিস্বরূপ। সুতরাং সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনায় জৈব বালাইনাশকের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। কৃষকেরা যদি স্থানীয়ভাবে এটি তৈরি করতে পারে তবে দামও কম পড়বে এবং আর্থিকভাবে লাভবান হবেন।

প্রকৃতিতে এমন অনেক গাছ গাছড়া আছে যাদের রয়েছে আশ্চর্যজনক পতঙ্গবিরোধী বিভিন্ন গুণ। রাসায়নিক কীটনাশক প্রচলনের পূর্বে এসব গাছ গাছড়ার রস বা বিভিন্ন দ্রব্য দিয়ে ফসলের ক্ষতিকর কীট দমন করা হতো। পরিবেশবান্ধব এসব ভেষজ বালাইনাশক ব্যবহারে ক্ষতিকর পোকা দমন সম্ভব।
                                                              
গাছ-গাছড়া থেকে বর্তমানে বিভিন্ন প্রকার বালাইনাশক তৈরি ও বাজারজাত করা হচ্ছে। কৃষক এটি ব্যবহার করে উপকৃত হচ্ছে। নিম, তামাক, বিষকাটালী, নিশিন্দা, পাট বীজ, পুদিনা, গাজর, ধুতরা, ধনিয়া, রেড়ী, আকন্দ, শরিফা, রয়না, পিয়াজ, রসুন, ঢোল কলমী, কাল কাসিন্দা ইত্যাদি গাছ দিয়ে বিভিন্ন ধরণের ক্ষতিকর পোকা দমন করা যায়। এদের মধ্যে নিম সেরা। এ থেকে তৈরি করা কীটনাশককে বলা হয় উদ্ভিদজাত কীটনাশক।

ভেষজ/ জৈব বালাইনাশকেরগুরুত্ব
উদ্ভিজ্জ বালাইনাশক পরিবেশের কোন ক্ষতি করে না; জৈব বালাইনাশকের প্রভাবে ক্ষতিকর পোকার বৃদ্ধি ব্যহত হলেও উপকারী পোকামাকড়ের উপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া নেই; মাটির অনুজীব ও কেঁচোর উপর কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নাই; মাছ, পাখি ও গবাদি পশুর উপর কোন বিষক্রিয়া নাই; জমিতে স্প্রে করার সাথে সাথে ফসল তোলা ও ব্যবহার করা যায়; জৈব বালাইনাশকের কোন দীর্ঘ মেয়াদী অবশিষ্টাংশ বিদ্যমান থাকেনা বলে পরিবেশের জন্য নিরাপদ। বিভিন্ন ধরণের ক্ষতিকর পোকা মাকড় দমনে কার্যকর; উপকারী পোকার কোনরুপ ক্ষতি করেনা এমনকি মাছসহ জলাশয়ের অন্য কোন জীবের কোন ক্ষতি করেনা; ক্ষতিকর কীটপতঙ্গের তেমন কোন বংশগত প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে না; সহজ প্রাপ্য, সহজে  ব্যবহার করা যায় এবং খরচ কম; মানব স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর নয়; পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করে না।

উদ্ভিদজাত কীটনাশকের অসুবিধা: দীর্ঘ সময় সংরক্ষণ ও ব্যবহার করা যায়না; আয়তনে বেশি হওয়ায় স্থানান্তর ও ব্যবহার অসুবিধা; ব্যাপকভিত্তিতে ব্যবহার করা অসুবিধাজনক; কার্যকারিতা ধীর গতি সম্পন্ন; কোন বাণিজ্যিক উৎপাদন এখনো এদেশে শুরু হয়নি বলে যে কোন সময় হাতের কাছে পাওয়া যায়না।

কি কি পোকা ব্যবস্থাপনায় কার্যকর
ছোলার পড ছিদ্রকারী পোকা, লেদা পোকা, বিছা পোকা, ডায়মন্ডব্যাক মথ, প্রজাপতি পড বোরারের কীড়া দমনে বিশেষ কার্যকর। পাতাফড়িং, গাছফড়িং ও পাতা সুড়ঙ্গ পোকা দমনে কার্যকর। পূর্নাঙ্গ বিটল, জাব পোকা, সাদা মাছি ও বাগ দমনে মুটামুটি কার্যকর।

ভেষজ বালাইনাশকের কার্যপদ্ধতি: ডিম, কীড়া অথবা পিউপা গঠনে বাধা দেয়; নিম্ফ অথবা কীড়ার খোলস বদলানো তথা রুপান্তর প্রক্রিয়ায় ঘটায়; যৌনক্রিয়া এবং মিলনে বাধা দেয়; পাকস্থলী প্রাচীরের সংকোচন ও প্রসারণ বন্ধ করে দেয় পোকার খাওয়া বন্ধ হয়ে যায়; পোকার দেহেরকাইটিন গঠনে বাধা দেয়; কীড়া এবং পূর্ণ বয়স্ক পোকা বিতাড়িত করে; কোন বাণিজ্যিক উৎপাদন এখনো এদেশে শুরু হয়নি বলে যে কোন সময় হাতের কাছে পাওয়া যায়না।

জৈব বালাইনাশক সমূহ
১. নিমের পাতা, ছাল ও কাপড় কাচা সাবান দ্বারা: দুই কেজি নিমের পাতা, ১.৫ কেজি নিমের ছাল শিল পাটায় একটু থেতলে নিন। থেতলানো পাতা, ছাল এবং ৫০ গ্রাম গুঁড়া সাবান একটি পাত্রে দিয়ে ৫ লিটার পানি মিশ্রিত করুন। জাল দিয়ে ৫ লিটার পানিকে কমিয়ে ১ লিটার বানিয়ে ঠান্ডা করে ছেকে নিন। ৯ লিটার পানি যোগ করে স্প্রে করুন। এতে সকল প্রকার মাছি পোকা, বিটল জাতীয় পোকা, কীড়া ও বিছা পোকা দমন করা যায়।

২. নিম পাতার গুড়া দ্বারা: নিম পাতা ছায়ায় বিছিয়ে দু /এক সপ্তাহ শুকাতে হবে। শুকনা পাতা ভালো করে গুঁড়া করতে হবে। প্রতি ৫০ কেজি বীজ সংরক্ষণের জন্য ১ কেজি গুঁড়া মিশাতে হবে। সংরক্ষণের মেয়াদ বাড়াতে হলে সমপরিমাণ ধুতরা পাতার গুঁড়া একই রকম মিশাতে হবে। এতে গুদামজাত ফসলের পোকা দমন হয়।

৩. নিম বীজ দ্বারা: এক কেজি নিম বীজ ছায়ায় শুকিয়ে খোসা ছাড়িয়ে নিন। বীজ পিষে মলমের মত তৈরী করুন। এর সাথে ৭৫ গ্রাম গুড়া সাবান মিশান। মিশ্রণটি ১ শত লিটার পানি মিশালে ১% দ্রবণ তৈরি হবে। দ্রবণ এক রাত রেখে দিন। এরপর ৭০-৮০ সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায়  ২/৩ ঘন্টা ফুটিয়ে ঠান্ডা করে ছেঁকে জমিতে ব্যবহার করুন। এতে পাতা মোড়ানো পোকাসহ বিভিন্ন ধরণের কীড়া ও গান্ধী পোকা দমন করা যায়। এটি কৃমিনাশকের কাজ করে।

৪. নিমবিসিডিন : নিমের বাণিজ্যিক কীটনাশক বা নিম তেল বালাইনাশক। যাতে রয়েছে ০.০৩% এবং Azadirachtin Emlusifiable Concentrate প্রয়োগ মাত্রাঃ ২ লিটার প্রতি হেক্টর জমির জন্য ১৫ দিন পর পর প্রয়োগ করতে হয়। এতে সকল প্রকার মাছি পোকা, বিটল জাতীয় পোকা, কীড়া ও বিছা পোকা দমন করা যায়।                 

৫. মেহগনি বীজ: ৮ - ১০ টি কাঁচা ফলের সাদা অংশ কুচি কুচি করে কেটে ৭ দিন ভিজিয়ে রেখে ছেকে ৫০ গ্রাম কাপড় পরিষ্কার করা পাউডার মিশিয়ে স্প্রে করুন। বাদামী গাছ ফড়িং, মাজরা, পাতা মোড়ানো ও ডায়মন্ড ব্যাক মথ দমন করা যায়।

৬. তামাক পাতা দ্বারা : এক কেজি তামাক পাতা ১০ লিটার পানিতে সারা রাত ভিজিয়ে রেখে কচলিয়ে নিন। ছেকে ব্যবহার করুন অথবা বড় আকারের ১০ টি  শুকনা পাতা ১০ লিটার পানিতে সারারাত ভিজিয়ে ছেকে নিয়ে ব্যবহার করুন। শোষক পোকা- মাইট ও জেসিড দমন করা যায়।

৭. বিষকাটালী ও ঢোল কলমী দ্বারা : বিষকাটালী বা ঢোল কলমীর পাতা, কান্ড (পেষানো) ১ কেজি, ১০ লিটার পানিতে ভিজিয়ে ঢেকে স্প্রে করুন। এতে জাবপোকা-এফিড, মাছি, পাতা ও ফলখেকো কীড়া দমন করা যায়।

৮. টমেটো গাছ দ্বারা : এক কেজি কান্ড ও পাতা ৫ লিটার পানিতে মিশিয়ে ১৫-২০ মিনিট জ্বাল দিন। ছেকে নিয়ে স্প্রে করুন। এতে কান্ড পাতার পোষক পোকা, লার্ভা দমন করা যায়।

৯. কালো কচুর পাতা দ্বারা : এক কেজি কালো কচুর পাতা ৫ লিটার পানিতে মিশিয়ে ৩০ মিনিট সিদ্ধ করুন। ঠান্ডা করে ছেঁকে ব্যবহার করুন। এতে কীড়া, বাদামী গাছ ফড়িং, পাতা শোষক পোকা দমন করা হয়।

১০. আতা ও শরীফার পাতা দ্বারা : এক কেজি পাতা পিশিনো (বাটা) ১০ লিটার পানিতে গুলিয়ে ছেকে স্প্রে করুন। এতে কুমড়ার পোকা, ডায়মন্ড ব্যাক মথ, জাব পোকা, জ্যাসিড দমন করা যায়।

১১. শুকনা মরিচের গুড়া দ্বারা : ১শত গ্রাম শুকনা মরিচের গুড়া ১ লিটার পানিতে মিশিয়ে ভিজিয়ে রাখুন। এতে ৫০ গ্রাম গুঁড়া সাবান মিশিয়ে ৫ লিটার পানি যোগ করুন এবং ছেকে স্প্রে করুন। এতে শশার মোজাইক ভাইরাস রোগের বাহক, পিঁপড়া, জাব পোকা দমন হয়।

১২. পাট বীজের দ্বারা: এক কেজি বীজ আস্তে আস্তে কড়াইতে ভেজে নিন। ভাজা বীজ পিষে নিন এবং ৬০ লিটার পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। ছেকে নিয়ে ১ বিঘা জমিতে স্প্রে করুন। এতে মাজরা, বাগ, পাতা শোষক পোকা দমন করা যায়।

১৩. রসুনের রস দ্বারা বীজ শোধন : ২০ মিলিলিটার রস ২ লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন। এতে ঢলে পড়া রোগদমন করা যায়।

১৪. ইপিল-ইপিল পাতা ও জবা ফুলের পাতা: এক (১) কেজি পরিস্কার ইপিল-ইপিল পাতা সংগ্রহ  করে চুর্ণ করতে হবে। পাতার রস সহজে বের করার জন্য প্রয়োজনে সামান্য পানি মেশানো যেতে পারে। পাতার চুর্ণ একটি কাপড়ে নিয়ে চিপে রস সংগ্রহ করে এর সঙ্গে ৩ লিটার পানি মিশাতে হবে। পানি মেশানো রস ১ কাপ জবা পাতার রসের সঙ্গে মিশিয়ে (ইপিল ইপিল পাতার রস সংগ্রহের মতো জবা পাতার রস সংগ্রহ করতে হবে) এ মিশ্রণ জমিতে স্প্রে করা যাবে।   
কার্যকারীতা: ঝলসে যাওয়া, পুড়ে যাওয়া, পাতায় দাগ লাগা, গাছে কালো দাগ রোগে কার্যকর।

১৫. গাঁদা ফুলের শিকড়: পরিস্কার শিকড় ১ কেজি সংগ্রহ করে টুকরো টুকরো করে কাটতে হবে। চুর্ন যন্ত্র দিয়ে এ শিকড় চুর্ন করার সময় সামান্য পানি মেশান যেতে পারে যাতে শিকড়ের রস সহজে বের হয়। একটি কাপড়ে  চিপে রস বের করে তা ১ লিটার পানি মিশাতে হবে। এ রস মেশানো পানি জমির মাটিতে সরাসরি স্প্রে (বীজ বপনের আগে জমিতে স্প্রে করা ভালো) করার উপযোগী। কার্যকারীতা: শিকড়ের গিট উৎপাদনকারী নিমাটোড      
(সংকলিত- ক্লাইমেট ফিল্ডস্কুল গাইড)                                                                                   

উপসংহার:
উদ্ভিজ্জ বালাইনাশক পরিবেশের কোন ক্ষতি করে না; ভেষজ/ জৈব বালাইনাশকের প্রভাবে ক্ষতিকর পোকার বৃদ্ধি ব্যহত হলেও উপকারী পোকামাকড়ের উপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া নেই; মাটির অনুজীব ও কেঁচোর উপর কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নাই; মাছ, পাখি ও গবাদি পশুর উপর কোন বিষক্রিয়া নাই; জমিতে স্প্রে করার সাথে সাথে ফসল তোলা ও ব্যবহার করা যায়; জৈব বালাইনাশকের কোন দীর্ঘ মেয়াদী অবশিষ্টাংশ বিদ্যমান থাকেনা বলে পরিবেশের জন্য নিরাপদ। বিভিন্ন ধরণের ক্ষতিকর পোকা মাকড় দমনে কার্যকর ; উপকারী পোকার কোনরুপ ক্ষতি করেনা এমনকি মাছসহ জলাশয়ের অন্য কোন জীবের কোন ক্ষতি করেনা ; ক্ষতিকর কীটপতঙ্গের তেমন কোন বংশগত প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে না ; সহজ প্রাপ্য, সহজে  ব্যবহার করা যায় এবং খরচ কম ; মানব স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর নয় ; পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করেনা।

আবহমানকাল থেকেই মানুষের স্বাস্থ্য সেবায় গাছ-গাছালি ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এমনকি কৃষি ফসল উৎপাদন ও সংরক্ষণেও গাছপালার ব্যবহার ঐতিহ্য সুদীর্ঘকালের। রাসায়নিক কৃষি উপকরণের এলোপাথাড়ি ব্যবহারের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় জলে, স্থলে,অন্তরীক্ষে বাড়ছে দূষণের মাত্রা। জনস্বাস্থ্য হচ্ছে মারাত্বক হুমকির সম্মুখীন। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য সারা পৃথিবীতে এখন জৈব কৃষির প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। জৈব পদার্থ ব্যবহার করা ফসল খেতে সুস্বাদু, বিষমুক্ত বিধায় বিদেশে রপ্তানিতে কোন ঝুঁকি নাই এবং বাজার মুল্য ভাল পাওয়া যায়। সে ধারাবাহিকতায় বালাই ব্যবস্থাপনায় স্থান পেয়েছে জৈব বালাইনাশক এবং এর ব্যবহার উৎসাহিত করা হচ্ছে।

এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য সারা পৃথিবীতে এখন জৈব কৃষির প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। সে ধারাবাহিকতায় বালাই ব্যবস্থাপনায় স্থান পেয়েছে জৈব বালাইনাশক এবং এর ব্যবহার উৎসাহিত করা হচ্ছে। এব্যাপারে সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানাচ্ছি। বিধায়, এ পৃথিবীকে বাসযোগ্য করতে হলে ভেষজ/ জৈব বালাইনাশকের ব্যবহারর কোন বিকল্প নাই। পৃথিবীর যে কোন সমস্যার সমাধান এই পৃথিবীতেই আছে এ আমার বিশ্বাস। এব্যাপারে সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানাচ্ছি।
লেখক: ড. জগৎ চাঁদ মালাকার
উপপরিচালক (এল.আর),সংযুক্ত-উদ্ভিদ সংগনিরোধ উইং,
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খামারবাড়ি, ঢাকা।
ইমেইল: This email address is being protected from spambots. You need JavaScript enabled to view it.