দেশে রপ্তানিমুখী কৃষির শিল্পায়ন জরুরী

Category: গবেষণা ফিচার Written by agrilife24

কৃষিবিদ ড. এম. এ. আউয়াল ও কৃষিবিদ ড. এম. মনির উদ্দিন:কৃষির উপর ভর করেই সভ্যতার শুরু এবং আজ অবধি মানবজীবনে গুরুত্বপুর্ন ভুমিকা পালন করছে। একটি দেশ যত উন্নত বা ক্ষমতাধর হোক, তার পিছনে প্রথম যার অবদান তা হলো কৃষি। কারন মানুষকে বেঁচে থাকতে হলে খাবার দরকার আর খাবারের যোগান পেতে নির্ভরশীল হতে হয় কৃষির উপর। সহজ কথায় বলা যায়, কৃষিখাত বিশ্ব অর্থনীতির মেরুদন্ড। কৃষি যেমন মানবিক প্রয়োজনের মৌলিক উপাদান তেমনি শিল্পায়নের জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল সরবরাহ করে। কোনও দেশ অনুন্নত, উন্নয়নশীল বা উন্নত হোক না কেন, সমস্ত জাতি তার খাদ্যের জন্য কৃষির উপর নির্ভরশীল। এমনকি শীর্ষস্থানীয় শিল্পোন্নত দেশগুলিও এক সময় কৃষি প্রধান ছিল। উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য কৃষি জাতীয় আয়ের ক্ষেত্রে মুলত অবদান রাখে।

বাংলাদেশ বিশ্বের মানচিত্রে অনেক বড় বড় দেশের তুলনায় একটি ক্ষুদ্রকায় দেশ যার আয়তন ১,৪৭,৫৭০ বর্গকিলোমিটার, যা বিশ্বের মধ্যে ৮ম জনবহুল ও ১০ম ঘনবসতিপুর্ন দেশ। ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর ডাকে বাংলার মুক্তিকামী মানুষ যখন স্বাধীনতার জন্য জীবন দিচ্ছিল তখন আমেরিকার নিক্সন সরকারের পররাস্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা হেনরি কিসিঞ্জার বাংলাদেশকে একটি তলাবিহীন ঝুড়ি বলে আখ্যায়িত করেছিল। বাঙ্গালী জাতি যে সংগ্রামী এবং কঠোর পরিশ্রমী তার উদাহরন আজ সারাবিশ্বে স্বীকৃত। পেশাদারিত্ব এবং সুনামের সাথে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, নৌবাহিনী ও পুলিশবাহিনীর সদস্যরা বিশ্বের বিভিন্ন যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশগুলোতে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের পরিশ্রমী মানুষ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সুনাম ও দক্ষতার সাথে কাজ করছে এবং দেশে তাদের কষ্টার্জিত রেমিট্যান্স পাঠিয়ে দেশের উন্নয়নে অবদান রেখে চলছে। বাংলাদেশের গার্মেন্টস কর্মীরা ঘামঝরা পরিশ্রম করে বিভিন্ন দেশের চাহিদা মাফিক পোশাক প্রস্তুত করে দিচ্ছে  এর ফলে দেশ অর্জন করছে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা।

এক সময় দেশী বিদেশী প্রতিষ্ঠানগুলো মনে করত, বিশাল জনসংখ্যা বাংলাদেশের উন্নয়নের পথে বড় অন্তরায়। বাঙ্গালী জাতি আজ বিশ্বের কাছে প্রমান করতে পেরেছে, জনসংখ্যা বাংলাদেশের কোন সমস্যা নয় বরং এটি আর্শীবাদ। ১৭ কোটি মানুষ আজ দেশের জনসম্পদ। বিশ্বের অনেক দেশে যখন বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় সংকটে পড়েছে এবং বিভিন্ন দেশ থেকে তরুণ যুবক শ্রেণিকে ইমিগ্রেশন দিয়ে কাজে লাগাতে যাচ্ছে, সেসময় বাংলাদেশের জনগোষ্ঠীর ৬০ শতাংশ তরুণ যুবক শ্রেণি যারা দেশটিকে নুতনরুপে সাজিয়ে তুলতে কাজ করছে। যার অবদানে জনবহুল দেশটি আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পুর্ন।

ছোট আয়তনের এই বাংলাদেশ আজ কৃষির বিভিন্ন সেক্টরের অগ্রযাত্রায় বিশ্বের শীর্ষ অবস্থানে স্থান করে নিয়েছে। স্বাধীনতার ৫০ বছরে দেশে আবাদী জমি কমেছে ২০ শতাংশ এবং জনসংখ্যা বেড়েছে ১০ কোটি তারপরও দেশের খাদ্য উৎপাদন বছরের পর বছর ক্রমাগতহারে বেড়েই চলছে। বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পুর্ন। এটা সম্ভব হয়েছে বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকারের সময়োপযোগী সঠিক ও সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা আর দেশের খেটে খাওয়া মানুষের পরিশ্রম।

বিস্ময়কর মনে হলেও এটাই বাস্তবতা যে, বাংলাদেশ ফলের উৎপাদনে বিশ্বের মধ্যে শীর্ষ ১০ দেশের তালিকায় স্থান পেয়েছে। দেশে প্রতিবছর ফলের উৎপাদন আগের বছরের রেকর্ড ছাড়িয়ে চলেছে। দুই দশক আগেও দেশের প্রধান ফল হিসাবে আম, কাঠাল, লিচু, বরই, কলা, জাম, আনারস, পেয়ারা ইত্যাদি পরিচিত ছিল এবং এসবের আবাদও ছিল সীমিত। বর্তমানে দেশে প্রায় ৭২ প্রকারের দেশি বিদেশি ফল উৎপাদিত হচ্ছে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (FAO)  হিসাবে গত ২০ বছর ধরে বাংলাদেশে ফলের উৎপাদন ১২.৫ শতাংশ হারে বাড়ছে। বর্তমানে দেশে ফল চাষের আওতায় জমির পরিমান প্রায় ৮ লাখ হেক্টর এবং মোট ফলের উৎপাদন ১৩০ মে. টনের কাছে।

দেশে ২০১৯-২০২০ বছরে আমের উৎপাদন ছিল ১৫ লাখ মেট্রিক টন। এ বছরও আমের উৎপাদন অনেক ভাল এবং আম উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে ৭ম অবস্থানে। কিন্তু এই বিপুল পরিমান উৎপাদিত আমের খুব সামান্য সরাসরি বা প্রক্রিয়াজাত পণ্য হিসাবে বাইরে রপ্তানি হচ্ছে। ফলে আম উৎপাদনকারী কৃষকগণ আমের দাম পাচ্ছে না। কারন দেশীয় বাজারের চাহিদার চেয়ে আমের উৎপাদন অনেক বেশী। উল্লেখ্য, ২০১৯-২০২০ বছরে দেশ থেকে আম রপ্তানি হয়েছে মাত্র ২৭৯ মে. টন।

বাংলার আপেল হিসাবে খ্যাত পেয়ারা উৎপাদনে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ৮ম এবং বর্তমান এর উৎপাদন প্রায় ৬ লাখ মে. টন। অথচ ১৯৮০-১৯৮১ বছরে এই ফলটির উৎপাদন ছিল মাত্র ৯ হাজার টন। সারাবছরব্যাপী সহজলভ্য এই ফলের উৎপাদন যে গতিতে বেড়েছে সেইভাবে পেয়ারাকে নিয়ে প্রক্রিয়াজাত শিল্প গড়ে উঠেনি এবং ফল হিসাবে রপ্তানি করাও সম্ভব হয়নি।

বিশ্বের মধ্যে উৎপাদনের পরিমান বিবেচনায় বাংলাদেশ কাঠাঁল উৎপাদনে দ্ধিতীয় এবং বর্তমান উৎপাদন ১৮ লাখ মে. টনের উপরে। এক সময় ফল হিসাবে দেশের জাতীয় ফল কাঠাঁলের জনপ্রিয়তা ছিল কিন্তু বর্তমানে বাজারে অনেক প্রকারের সুস্বাদু ফলের সহজপ্রাপ্যতা সেইসাথে মানুষের বিভিন্ন শারিরীক সমস্যার কারনে কাঠাঁলের সমাদর অনেক কমে গেছে। গ্রামের গাছে গাছে কাঠাঁল পাকার পরে পচে পড়ে যায় অথচ এই  বিপুল পরিমানে উৎপাদিত কাঠাঁলের প্রক্রিয়াজাত করার কোন শিল্প অদ্যাবদি  গড়ে উঠেনি। প্রক্রিয়াজাত কাঠাঁলের জুস, চিপস, কৌটাজাত কাঠাঁলের দেশের বাইরে চাহিদা আছে এবং রপ্তানি করার ব্যাপক সুযোগ রয়েছে।

আনারস দেশের অন্যতম একটি সুস্বাদু ফল, যার বর্তমান উৎপাদন ৫ লাখ মে. টন  এবং দেশীয় চাহিদা পূরণ করে বাইরে রপ্তানি করার ব্যাপক সুযোগ থাকা সত্বেও প্রক্রিয়াজাতের তেমন উদ্যোগ নেই। যেহেতু আনারস অতি দ্রুতপচনশীল একটি ফল তাই সরাসরি রপ্তানি করার সুযোগ কম, তবে জুস, চিপস এবং কৌটাজাতের মাধ্যমে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের সুযোগ রয়েছে।

পেঁপে অতি প্রাচীনকাল থেকেই এই ভুখন্ডে পরিচিত একটি ফল। বর্তমানে সুস্বাদু ও উচ্চফলনশীল জাতের কারনে দেশে পাঁকা পেঁপের উৎপাদন কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে। দেশে প্রতিবছর প্রায় ৯ লাখ মে. টন পাঁকা পেঁপে উৎপাদিত হয়। সরাসরি পাঁকা পেঁপে এবং প্রক্রিয়াজাতের মাধ্যমে রপ্তানী করার সুযোগ আছে যদিও আমরা সেই পর্যায়ে আজ অবধি যেতে পারিনি।  

দেশে বর্তমানে শাকসব্জির উৎপাদন ১ কোটি ৭২ লাখ টন এবং বিশ্বে সব্জি উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়। অথচ সব্জি উৎপাদনের তুলনায় অতি সামান্য পরিমান বাইরে রপ্তানি হচ্ছে। প্রচুর সব্জি উৎপাদন করে কৃষক ন্যায্য মুল্য পাচ্ছে না এমনকি প্রক্রিয়াজাতের অভাবে সব্জির একটা উল্লেখযোগ্য অংশ প্রতিবছর নষ্ট হয়ে যায়। দেশের মোট আলুর উৎপাদন ১১০ লাখ টন যা বিশ্বের মধ্যে ৭ম অবস্থানে এবং দেশের চাহিদা ৭০ লাখ টন। অতিরিক্ত ৪০ লাখ টন এর অতি সামান্য রপ্তানি হলেও আলুকে ঘিরে প্রক্রিয়াজাত শিল্প আজও গড়ে উঠেনি।

রপ্তানী উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্যানুযায়ী, ১০ বছর আগে কৃষিপণ্য রপ্তানি থেকে আয় ছিল ৪০ কোটি ডলার কিন্তু গত ৪ বছর ধরে কৃষিপণ্য রপ্তানি থেকে আয় ক্রমাগত বাড়ছে। দেশে ৫০০টির বেশী প্রতিষ্ঠান কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতের সাথে যুক্ত আছে যার মধ্যে রপ্তানি করতে পারছে ১০০টির মত প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে বড় ও মাঝারী প্রতিষ্ঠান আছে ২০টি। ইতিমধ্যে বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকার কৃষি ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য রপ্তানীতে ২০ শতাংশ নগদ সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে যার প্রভাব ইতমধ্যে পড়েছে। ২০১৭-২০১৮ বছরে দেশ থেকে প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্য রপ্তানি হয় ৬৭.৩৭ কোটি ডলারের, ২০১৮-২০১৯ বছরে তা বেড়ে দাড়ায় ৯০.৮৯ কোটি ডলার। ২০১৯-২০২০ বছরে বিশ্বে করোনা মহামারীর কারনে রপ্তানি কিছুটা কমে যাওয়ায় এই পরিমান হয় ৮৬.২০ কোটি ডলার এবং গত ২০২০-২০২১ বছরে বাংলাদেশ কৃষিপণ্যের রপ্তানি আয়ে বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায় যার পরিমান ১০২.৮১ কোটি ডলার।

উপরের তথ্য থেকে সহজেই বুঝা যায়, বাংলাদেশে কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাত ও রপ্তানীর এক উজ্জল সম্ভাবনা রয়েছে। শিল্পোন্নত ও উন্নত দেশগুলোর জীবনযাত্রায় ব্যাপক পরিবর্তন আসায় তাদের খাদ্যাভাসেও পরিবর্তন এসেছে। এ সমস্ত দেশে প্রক্রিয়াজাত করা খাদ্যের চাহিদা রয়েছে। ইউরোপের দেশগুলোতে বিশেষত যুক্তরাজ্যে প্রায় ১৪ হাজার রেস্তোরা আছে যেখানে বাংলাদেশী খাদ্যপণ্যের চাহিদা আছে। উপসাগরীয় দেশগুলোতে আমাদের ১ কোটির উপর প্রবাসী আছে যাদের কাছে দেশীয় প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্য পৌছাতে পারি।

দেশের কৃষিতে নুতন শিক্ষিত উদ্দ্যোক্তারা যুক্ত হয়ে নুতন নুতন ফসল ও ফল উৎপাদন করছে যা রপ্তানি না হওয়ায় দেশীয় বাজারে এ সকল কৃষিপণ্য কম মুল্যে বিক্রয় করে আর্থিভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। শুধুমাত্র প্রক্রিয়াজাতকরন এবং সংরক্ষনের অভাবে দেশে ৩৫ শতাংশের বেশী ফল ও শাকসব্জি নষ্ট হয়ে যায়। দেশে মাছের উৎপাদন দেশীয় চাহিদাকে ছাড়িয়ে গেছে। যদিও মৎস্য সেক্টর থেকে দেশে উল্লেখযোগ্য পরিমান বৈদেশিক মুদ্রা আসছে এবং আগামীতে আরো নুতন বাজার সৃষ্টির সুযোগ আছে। প্রানিসম্পদ সেক্টরে প্রচুর উদ্দ্যোক্তা যুক্ত হয়ে ডিম, দুধ ও মাংসের উৎপাদন দিনের পর দিন বাড়িয়ে যাচ্ছে কিন্তু প্রক্রিয়াজাতের অভাব সেইসাথে আর্ন্তজাতিক মান অনুযায়ী উৎপাদন না হওয়ায় রপ্তানীর দুয়ার খুলছে না। যদিও এ সকল পণ্য রপ্তানি কোন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে কিনা তা জানা নাই।

ফলের প্রক্রিয়াজাত পণ্য বিশেষ করে ফলের জুস, জ্যাম-জেলি, শুস্ক ফল, ফ্রোজেন ফল, কৌটাজাত ফল, ফলের আচার ইত্যাদিসহ আরো বিভিন্নভাবে ফলের প্রক্রিয়াজাত শিল্প গড়ে উঠলে রপ্তানী আয় অনেকগুন বাড়ানো সম্ভব। সব্জির উপর ভিত্তি করে অনেক শিল্প গড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সব্জির কেচাপ, ফোজেন সব্জি, ফ্রোজেন ফ্রেন্স ফ্রাই, শুকানো সব্জি, সব্জির জুস, আচার, সচ, স্টার্চ ইত্যাদি প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্যের চাহিদা আছে। দেশের বাইরে প্রক্রিয়াজাত মসলা, মধু, কালোজিরার তেল, তিলের তেল, জৈবসার, গুড়া দুধ, প্যাকেটজাত মাংস ইত্যাদি রপ্তানী করে দেশে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার আয় করা সময়ের ব্যাপার মাত্র।

বিশ্ব বাজারে দেশীয় প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্যের বাজার সম্প্রসারনের জন্য বিভিন্ন দেশে অবস্থিত বাংলাদেশের বৈদেশিক মিশনগুলোকে কাজে লাগানো যেতে পারে। কোন দেশে কি পণ্যের চাহিদা রয়েছে তা নিরূপন করে মিশনগুলো বাংলাদেশী পণ্যের বাজার সম্প্রসারনে সাহায্য করতে পারে। কৃষিবান্ধব সরকারের প্রনাদনাসহ বিভিন্ন কর্মসূচির আওতায় সহায়তার কারনে কৃষিপণ্য উৎপাদনে যেমন অনেক উদ্দ্যোক্তা তৈরী হয়েছে এবং কৃষির উৎপাদন ক্রমাগতহারে বেড়ে চলছে। কৃষিপণ্যের প্রক্রিয়াজাত শিল্প স্থাপনেও কৃষিবান্ধব সরকারেকে বিশেষ প্রণোদনাসহ দীর্ঘমেয়াদী অতি অল্পসুদে ঋনের ব্যবস্থা করে দিলে দেশে কৃষির শিল্পায়ন তৈরী হবে যা বর্তমানে উন্নয়নশীল বাংলাদেশের জন্য খুবই জরুরী। কৃষির শিল্পায়ন হলে দেশের অথনীতিতে বিরাট পরিবর্তন আসবে। উৎপাদক শ্রেণী তাদের পণ্যের বাজার পাবে এবং ন্যায্য দামও পাবে। নুতন উদ্দ্যোক্তা কৃষির উৎপাদনের সাথে যুক্ত হয়ে কর্মসংস্থান তৈরী করবে। প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্য রপ্তানি করে দেশে আসবে বৈদেশিক মুদ্রা যা বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে আরো বেগবান করবে।            

লেখকদ্বয়:
কৃষিবিদ ড. এম. এ. আউয়াল, সদস্য পরিচালক, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি), ফার্মগেট, ঢাকা
              ও
কৃষিবিদ ড. এম. মনির উদ্দিন, এগ্রোনোমিস্ট, কলামিষ্ট ও উন্নয়ন কর্মী