শীতের শেষে বসন্তের এই সময়টি মাছ চাষীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ

Category: গবেষণা ফিচার Written by agrilife24

এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম:শীতের শেষে বসন্তের এই সময়টি মাছ চাষীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শীত পরবর্তী ব্যবস্থাপনাগুলো মাছ চাষীদের সঠিকভাবে পালন করা প্রয়োজন। মাঠ পর্যায়ে মাছ চাষীদের প্রয়োজনীয় কর্মতৎপরতা ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে। শীতে তাপমাত্রা কম থাকায় মাছের খাবারের চাহিদা কম ছিল দুপুরের সময় খানিকটা রোদ পাওয়ায় তখন মাছকে অল্প পরিমাণ খাদ্য দেওয়া হয়েছে। তবে এখন ফাল্গুন মাস শুরু হওয়ায় ধীরে ধীরে তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করেছে মাছেরও চঞ্চলতা বৃদ্ধি পাচ্ছে । এসময় মৎস্য চাষীদের মাছের পরিচর্যা সম্পর্কিত কিছু পরামর্শ দিচ্ছেন নারিশ পোল্ট্রি এন্ড হ্যাচারী লিঃ সিনিয়র ম্যানেজার (সেলস এন্ড সার্ভিস) জনাব ওবায়দুল ইসলাম।

পুকুরের পানির তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাথে সাথে মাছের ছোটাছুটি বেড়ে যাওয়ার কারণে তাদে হজম প্রক্রিয়া ভালো ভাবে শুরু হওয়ায় তাদের খাদ্য চাহিদা বাড়তে শুরু করেছে।  এই সময়  মাছ চাষীদের গুরুত্বসহকারে পরিচর্যা করার প্রয়োজন। শীতে যে সমস্ত পুকুরের মাছ বিক্রয় হয়ে গেছে সে সমস্ত পুকুরগুলো খনন এবং সংস্কার করার এখনই উপযুক্ত সময়। এ সময় যেমন থাকে তেমনি বৃষ্টির সম্ভাবনা না থাকার কারণে নতুন নতুর পুকুর খনন করতে পারবেন উদ্যোক্তারা।

অন্যদিকে এখন রেনু পোনা  আসবে; আঁতুর বা নার্সারি পুকুরে রেনু ছাড়া হবে, মাছ বড় করা ইত্যাদি নানা কার্যক্রমে ব্যস্ত হয়ে পড়বেন মৎস্য চাষীরা। তবে বিশেষভাবে যে কাজগুলো করা প্রয়োজন তা হল যে সমস্ত পুকুরে মাছ রয়ে গেছে সেগুলো ছোট হোক বা বড় হোক অথবা বিক্রয় হয় নাই সেই সব মাছগুলোর জন্য বিশেষ পরিচর্যার প্রয়োজন। শীতকালে অনেক মৎস্যচাষী তাদের মাছকে খাদ্য প্রদান করে তাই তাদের জন্য যে কাজটি করা প্রয়োজন তাহলে দীর্ঘদিন অভুক্ত মাছগুলিকে পূর্ণমাত্রায় খাদ্য প্রদান করা না করা। পুকুরের পানি ও পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়ানোর পর ধীরে ধীরে খাদ্য প্রদান করতে হবে। দীর্ঘদিন ধরে মাছগুলো অভুক্ত অবস্থায় থাকার ফলে তাদের  হজম প্রক্রিয়া সম্পুর্নভাবে কার্যকর না থাকায় হঠাৎ করে খাদ্য পেলে তাদের ইন্ডাইজেশন হতে পারে। ফলে মাছ রোগাক্রান্ত হওয়ার পাশাপশি বিশেষ করে পেট ফোলা রোগ দেখা দিতে পারে । এছাড়া খাবারের অপচয় হবে, পানির পরিবেশ খারাপ হবে এবং সর্বপরি খামারী ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে।
 
শীতকালের শেষ এবং গরম কালের শুরুতে মাছ চাষে খাবার ব্যবস্থাপনাঃ
১) দীর্ঘদিন অভুক্ত থাকা মাছগুলোকে হঠাৎই বেশি খাবার না দিয়ে পুকুরের পানি এবং পরিবেশে খাপ খাওয়ানোর পর ধীরে ধীরে খাবার প্রদান করতে হবে। অর্থাৎ প্রথমদিকে থেকে ৩০-৪০ শতাংশ তারপরে ৬০ থেকে ৮০ শতাংশ এর এক সম্পতাহ পর পর ৮০% এরপর পূর্ণমাত্রায় ফিড প্রদান করা যেতে পারে।
২) পানি কিছু পরিবর্তন করে দিয়ে পানি বিশুদ্ধ ও গুণগত মান ভাল করতে হবে।
৩) চুন কিংবা জীবানুনাশক প্রয়োগের মাধ্যমে পানি পরিশোধন করে নিতে হবে।
৪) প্রথমে একবেলা খাবার খাওয়াতে হবে পরবর্তীতে ধীরে ধীরে প্রয়োজন অনুযায়ী দুই থেকে  তিন বেলায় উন্নীত করতে হবে।
৫) পাবদা, গুলশা, শিং ও মাগুর জাতীয় মাছের জন্য প্রয়োজন অনুযায়ী  সন্ধ্যা ও রাতে খাবার প্রয়োগ করতে হবে।
৬) নিরাপদ মাছ তৈরির জন্য মাঝে মাঝে প্রোবায়োটিকের ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।



শুধু ফিশ ফিড বিক্রয় নয়, নারিশ সবসময় বিক্রয়োত্তর সেবা দিয়ে যাচ্ছে খামারীদের। খামারীদের সব ধরনের বুদ্ধি পরামর্শ এবং পুকুর পরিদর্শনের মধ্য দিয়ে খামারীদের সেবা নিশ্চিত করছে। খামারীদের তাৎক্ষণিক সেবা নিশ্চিতে তাদের রয়েছে হটলাইন সেবা। খামারীদের উৎপাদন খরচ যাতে কমানো যায় সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি রাখেন নারিশ কতৃপক্ষ।