কৃষিবিদ ড. এম. মনির উদ্দিন: গত জুলাই মাসের ২৪ থেকে ২৬ তারিখ পর্যন্ত ইতালীর রোমে জাতিসংঘের আয়োজনে আর্ন্তজাতিক ফুড সিস্টেম সামিট ২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়। সামিটে বিশ্বব্যাপী শিশুরা যে অপুষ্টিতে ভুগছে তা দুর করার জন্য বিভিন্ন দেশের প্রাক-প্রাথমিক এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে স্কুল মিল কর্মসুচী চালু করা হয় এবং মুলত এর সফলতার দিক বিবেচনায় নিয়ে দেশে বিস্তৃতভাবে এটি চালু করার জন্য জাতিসংঘের পক্ষ থেকে আহবান জানানো হয়। পুর্ববতী সামিটে স্কুল মিল চালু করা সদস্য রাস্ট্রগুলোকে নিয়ে একটি স্কুল মিল কোয়ালিশন গঠন করা হয়। বাংলাদেশ স্কুল মিলস কোয়ালিশন এর ৮৫তম সদস্য রাস্ট্র।

আব্দুল মান্নান, বশেমুরকৃবি: বিইউ সয়াবিন-৩ ও বিইউ সয়াবিন-৪ নামে সয়াবিনের দুটি লবনসহিষ্ণু বড় দানাদার বিশিষ্ট উচ্চফলনশীল জাত উদ্ভাবন করেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরকৃবি) এর কৃষিতত্ত্ব বিভাগ। তাইওয়ানের Asian Vegetable Research and Development Center (AVRDC/ World Vegetable Center), বাংলাদেশ কৃষি গবেষনা ইনষ্টিটিউট এবং দেশের নোয়াখালী ও লক্ষীপুর এলাকা থেকে প্রায় ২০০ জার্মপ্লাজম সংগ্রহ করে ২০০৫ সাল থেকেই বিভিন্ন আঙ্গিকে সয়াবিন নিয়ে গবেষনা চালিয়ে যাচ্ছে বশেমুরকৃবির কৃষিতত্ত্ব বিভাগ।

ড. মো. সিদ্দিকুর রহমান: স্বাধীনতা আন্দোলনের অনেক স্লোগানের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি স্লোগান ছিল- “বাংলার প্রতি ঘর, ভরে দিতে চাই মোরা অন্নে।”এই স্লোগান তখন কৃষক-শ্রমিক-মেহনতি মানুষকে দেশপ্রেমে উদ্দীপ্ত করেছিল। বহু কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা অর্জনের পর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে বঙ্গবন্ধু তাই সর্বপ্রথমে সবুজ বিপ্লবের ডাক দিয়েছিলেন। ১৯৭৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে বলেছিলেন, “কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছি সবুজ বিপ্লবের কথা বলতে।” একই ভাষণে কৃষিবিদদের সরকারি চাকরিতে প্রথম শ্রেণির মর্যাদা ঘোষণা করে তিনি বলেছিলেন, “দুনিয়া ভরে চেষ্টা করেও আমি চাউল কিনতে পারছি না। চাউল পাওয়া যায় না। যদি চাউল খেতে হয় আপনাদের চাউল পয়দা করে খেতে হবে।” বঙ্গবন্ধুর সেদিনের ঘোষণাকে এ দেশের কৃষিবিদ, কৃষিবিজ্ঞানী ও কৃষকরা অনুপ্রেরণা হিসেবে নিয়েছিলেন বলেই অতীতের খাদ্য ঘাটতির দেশ আজ খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশে পরিণত হয়েছে। দেশে এখন ভাতের অভাব নেই। শুধু তাই নয়, নিজেদের প্রয়োজন মিটিয়ে এখন আমরা কিছু চাল বিদেশেও রপ্তানি করতে পারছি। এটি আমাদের জাতীয় জীবনের একটি অসামান্য অর্জন।

Dr. F H Ansarey: By precisely modifying the genetic makeup of plants, gene editing technologies have emerged as a revolutionary tool in agriculture, offering immense potential that enables scientists to enhance desirable traits, improve crop yields, and develop resistance against diseases and pests. The benefits of gene editing in agriculture are significant. It enables the development of disease-resistant crops, reducing reliance on harmful pesticides and minimizing crop losses. Moreover, nutritional content can also be enhanced, as seen in soybeans with healthier oils and rice with reduced arsenic levels. Additionally, the development of drought-resistant and high-yield crops using gene editing ensures productivity under adverse environmental situations and promotes sustainable farming practices.

কৃষিবিদ ড. মোঃ তাসদিকুর রহমান সনেট: গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার খোকা থেকে বঙ্গবন্ধু পরবর্তীতে জাতির জনক। এই দীর্ঘ পথ অতিক্রান্ত করতে তাঁকে দীর্ঘ সংগ্রাম করতে হয়েছে। অতিক্রান্ত করতে হয়েছে দীর্ঘ পথ। এই দীর্ঘ পথে জন্ম দিয়েছিলেন বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, চুয়ান্নর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ছিষট্টির ছয় দফা, ঊনসত্তরের গণঅভ্যূত্থান এবং ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের মাধ্যমে জন্ম দিয়েছিলেন একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের।

ড. মো. সিদ্দিকুর রহমান: আগস্ট মাস শোকের মাস। বাঙালির হৃদয়ের রক্তক্ষরণের মাস। এ মাসেই বাঙালি তাঁর শ্রেষ্ঠ সন্তানকে হারিয়েছে। মানুষ মরণশীল। জন্মিলে মরিতে হইবে সৃষ্টিকর্তার এক অমোঘ সত্যি। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ড বা তাঁর মৃত্যু বাঙালিকে এতিম করে দিয়ে গেছে।