কৃষিবিদ আলমগীর চৌধুরীর আকস্মিক মৃত্যু

Category: কৃষিবিদ ও ক্যাম্পাস Written by agrilife24

এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম:ম্যাক্স ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের ট্রেনিং ও ক্যাপাসিটি বিল্ডিং ম্যানেজার জনাব আলমগীর চৌধুরী আর নেই। (ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজেউন)। বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) রাত ১০টার দিকে মারাত্মক হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৫ বৎসর। তিনি স্ত্রী, একমাত্র কন্যা আদিবা, সহকর্মী, বন্ধু-বান্ধব সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

মরহুম আলমগীর চৌধুরী একজন প্রখ্যাত উন্নয়ন পেশাজীবী ছিলেন। তিনি ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে ম্যাক্স ফাউন্ডেশন বাংলাদেশে যোগ দিয়ে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সেখানেই কর্মরত ছিলেন। মরহুমের প্রথম জানাজা শেখেরটেক তার বাসার কাছে রাত ১.০০ টায় অনুষ্ঠিত হয়। ২য় জানাজা তার গ্রামের বাড়ি রংপুরের মীরবাগে অনুষ্ঠিত হবে। রংপুরে নিজ গ্রামে তাঁকে দাফন করা হবে বলে তাঁর সহকর্মীরা জানিয়েছেন।

মরহুম আলমগীর চৌধুরী সে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রি ইকোনমিক্স এবং সমাজবিজ্ঞানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন। চাকুরী জীবনের শুরু থেকে একজন উন্নয়নকর্মী ও প্রশিক্ষক হিসেবে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থায় কাজ করেছেন। তন্মধ্যে 'বাংলা-জার্মান সম্প্রীতি’, ‘কেয়ার-বাংলাদেশ', বিজনেস এডভাইজারী সার্ভিসেস সেন্টার’, ‘ঢাকা আহছানিয়া মিশন', সুইজারল্যান্ড রেডক্রস ভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘ডাসকো” প্র্যাকটিকেল এ্যাকশন বাংলাদেশ' অন্যতম। গবেষণা করেছেন 'উন্নত জাতের ভুট্টা’ নিয়ে যা মাস্টার্স এ থিসিস আকারে প্রকাশিত হয়।

মরহুম কৃষিবিদ আলমগীর চৌধুরী, ৭ই ফেব্রুয়ারি ১৯৬৭, রংপুর মীরবাগের সাধু গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ 'বাকসু'র (১৯৯৩-৯৪) নির্বাচিত সাহিত্য সম্পাদক ছিলেন। ছাত্রজীবন থেকেই লেখালেখির শুরু কবিতা দিয়েই, পরে কিছু গল্প আর পাশাপাশি লিখেছেন লোকজ গান। তার কবিতায় বাংলার সোঁদামাটির গন্ধ মিশে থাকে। লেখালেখি ছাড়াও আলমগীর চৌধুরী আবৃত্তি করতেন এবং নিজের সুরে নিজের গান করেছেন। এ গানগুলো নিয়ে তার প্রথম গানের বই "আলমের গান’ একুশে বইমেলা-২০১১ এ প্রকাশিত হয়।

তার প্রশিক্ষণ ও গবেষণাধর্মী অনেক প্রকাশনা ছাড়াও ২০০৯ সালে ঢাকা আহছানিয়া মিশন থেকে শিশুদের জন্য লোকজীবন ভিত্তিক বই গাছের ছায়া’ ও ‘কাকতাড়ুয়া' প্রকাশিত হয়। সাহিত্য সংস্কৃতির অনেক শাখায় বিচরণ করলেও বারবার ফিরে আসেন তিনি কবিতার কাছে। লেখার পরও অনেক দিন রেখে দেন ডায়েরীর পাতায়। তার প্রেম-বিরহ-ভালোবাসা স্বপ্ন সবই চিল কবিতাকে ঘিরে।

এদিকে তাঁর আকস্মিক মৃত্যুর সংবাদে কৃষিবিদ সহ সর্বমহলে এক শোকের ছায়া নেমে আসে। সকলেই মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাৎ কামনা করেছেন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রদত গভীর শোক ও সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা তাকে মাফ করে জান্নাত দান করুন। আমীন