বাকৃবিতে শিক্ষকের মোটরসাইকেল চুরি, নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা

Category: কৃষিবিদ ও ক্যাম্পাস Written by agrilife24

বাকৃবি প্রতিনিধি:বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) কৃষি অনুষদের করিডোর থেকে মোটরসাইকেল কিংবা বাইসাইকেল চুরির ঘটনা নতুন কিছু নয়। এবার এ ঘটনার শিকার হয়েছেন এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মুরাদ আহমেদ ফারুখ। বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯ টা থেকে সাড়ে ১০ টার মধ্যে ওই চুরির ঘটনাটি ঘটে বলে উল্লেখ করেন ভুক্তভোগী ওই শিক্ষক। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এখন একজন শিক্ষক-শিক্ষার্থীর জন্যে কতোটা নিরাপদ তা নিয়ে তিনি সংশয় প্রকাশ করেছেন অনেকেই।

ভুক্তভোগী শিক্ষক ড. মুরাদ আহমেদ জানান, "আমি সকাল সাড়ে ৯ টায় মোটরসাইকেলটি করিডোরে রেখে আমার অফিসে যাই। পরে এসে আর মোটরসাইকেলটি পাইনি। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৭-৮ টা মোটরসাইকেল এইভাবেই চুরি হয়েছে। আমার মোটরসাইকেলটি একেবারে নতুন এবং সবচেয়ে দামী। কেনার ৬ মাস হয়েছে মাত্র। এমনকি এখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখার কোনো সিসি ক্যামেরা ছিলো না। কৃষি অনুষদের ডিন অফিস থেকে ফুটেজ সংগ্রহ করে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ ব্যাপারে এখনো কিছুই করে নি। ঘটনাস্থলে নিরাপত্তাকর্মী থাকার কথা থাকলেও চুরির সময়ে ভিডিও ফুটেজে কোনো নিরাপত্তাকর্মীর দেখা মিলেনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের করিডোর সব সময় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পদচারণা থাকে। সেখান থেকে মোটরসাইকেল চুরি হওয়া মানে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নাজুক অবস্থায় রয়েছে"।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মহির উদ্দীন বলেন, আমি ছুটিতে ছিলাম। বিষয়টি জেনে জানাবো। আমরা অফিসিয়ালি বিয়ষটি দেখবো। এ বিষয়টি নিরাপত্তা শাখা দেখে থাকবে।

নিরাপত্তা শাখার চীফ সিকিউরিটি অফিসার (খন্ডকালীন) মো. মহিউদ্দীন হাওলাদার বলেন,আমরা ঘটনাটি জানতে পেরে ভিডিও ফুটেজসহ থানায় একটি অভিযোগপত্র দায়ের করেছি। তারা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।

সিসি ক্যামেরা ও নিরাপত্তাকর্মী না থাকার অভিযোগ স্বীকার করে তিনি বলেন, সেখানে আমাদের কোনো সিসি ক্যামেরা নেই। ডিন অফিসের সিসি ক্যামেরার আওতাধীন ওই অংশ। আমাদের প্রশাসনিক ভবনের সামনে শুধু ক্যামেরা রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপত্তাকর্মীর সংকট রয়েছে। আমরা ওই জায়গায় সিসি ক্যামেরা লাগানোর জন্যে আবেদন করেছি। তাই সব জায়গায় নিরাপত্তাকর্মী রাখা সম্ভব হয় না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বিষয়টি অনেকবার জানানো হয়েছে। অনুষদের করিডোরে একজন মহিলা নিরাপত্তাকর্মী থাকে। ঘটনার সময় তিনি ছিলেন না। দ্রুত নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগের কথা বলেছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।