ভালুকা সরকারি কলেজ এর গৌরবোজ্জ্বল ৫০ বছরের পথ চলায় আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু

এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম:ভালুকার ঐতিহ্যবাহী  সর্ববৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘ভালুকা সরকারি কলেজ’ ইতোমধ্যেই তার গৌরবময় ৪৯ বছর অতিক্রম করে আজ ১৩ জুন ২০২২ তারিখে ৫০ বছরে পা রেখেছে। গুণগত ও মানসম্মত  শিক্ষা নিশ্চিত করার কাজে গত ৪৯ বছর এ বিদ্যাপীঠের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. কামরুজ্জামানসহ প্রতিথযশা শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্ট সকলে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এ জন্য সুবর্ণজয়ন্তীর এ মাহেন্দ্রক্ষণে এ প্রতিষ্ঠানটির সম্মানিত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীসহ কর্মকর্তা কর্মচারি সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ-এর জনসংযোগ ও প্রকাশনা উপ-পরিচালক কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু।

গণমাধ্যমে প্রেরিত এক অভিনন্দন বার্তায় কৃষিবিদ দীনু বলেন,"কলেজটি প্রতিষ্ঠায় ভাষা সৈনিক, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, সাবেক সংসদ সদস্য জনাব মোস্তফা এম মতিন এডভোকেটসহ যে সকল বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নাম জড়িয়ে আছে তারা সকলেই আমার পিতৃতুল্য পরম শ্রদ্ধেয় সোস্যাল মিডিয়ায় সে সময়ের একটি ছবি ও প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানতে পারি, ১৯৭২ সালে ১৩ ই জুন ৪৯ বছর পূর্বে ভালুকা কলেজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাগন এর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মুক্তিযুদ্ধের কিংবদন্তি, ঢাকা উত্তর ময়মনসিংহ দক্ষিণ এর সাব-সেক্টর কমান্ডার, ভালুকা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মেজর আফসার উদ্দিন আহমেদ, ভালুকা কলেজ প্রতিষ্ঠাকালীন প্রথম অধ্যক্ষ আব্দুস সামাদ, ভালুকা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সফল সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কেবিএম আসমত আলি, বিরুনীয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি, ভালুকা উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদকমন্ডলী অন্যতম সদস্য, ভালুকা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব তফির উদ্দিন তালুকদার, ভালুকা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বিশিষ্ট আওয়ামী লীগ নেতা জনাব আহাম্মদ আলী সরকার, ভালুকা পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ডাক্তার আব্দুল খালেক, বীর মুক্তিযুদ্ধা শাহ আলী আকবরসহ অনেকেই সেসময় উপস্থিত ছিলেন। আজকের এই দিনে তাদেরকে গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি। তারা আমাদের অহংকার। যদিও এ প্রতিষ্ঠানে পড়ার সুযোগ পাইনি তারপরও অন্তর থেকে প্রতিষ্ঠানটির প্রতি রয়েছে আমার গভীর টান ও আবেগ। ভালুকার সর্ববৃহৎ ও পথিকৃৎ এ- বিদ্যাপীঠে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ অব্যাহত রেখে কলেজটি উচ্চশিক্ষার পরমোৎকৃষ্ট কেন্দ্র হিসেবে তার কর্মকান্ড অব্যাহত রাখবে বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি"।

অভিনন্দন বার্তায় কৃষিবিদ দীনু আরো বলেন, গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জীবনজীবিকার উন্নয়নের পাশাপাশি গ্রামবাংলার সংস্কৃতি বিকাশের ধারাকে কলেজটির শিক্ষক, শিক্ষার্থীবৃন্দ অব্যাহতভাবে এগিয়ে নিয়ে যাবে এমনটাই প্রত্যাশা তাঁর। অভিনন্দন বার্তায় তিনি ভালুকা সরকারি কলেজ এর উত্তরোত্তর আরও সমৃদ্ধি কামনা করেছেন।