বন্ধুত্বের সাম্রাজ্যে শেকৃবি'র ৪৯ তম ব্যাচ-এর একটি আনন্দঘন সন্ধ্যা

Category: কৃষিবিদ ও ক্যাম্পাস Written by agrilife24

রাজধানী প্রতিনিধি:বন্ধুত্বের বন্ধন সবসময় একই সুতায় বাঁধা থাকে। এই বন্ধন যতই পুরনো হতে থাকে ততই গভীর থেকে গভীরতম হতে থাকে। আর প্রত্যেকটি সুতার কন্ধন মিলে হয় তৈরী হয় বন্ধুত্বের এক বিশাল সাম্রাজ্য। আর পৃথিবীর সব সাম্রাজ্যকে হার মানাতে পারে বন্ধুত্বের এই সাম্রাজ্য । এমনি এক বন্ধুত্বের সাম্রাজ্যের একটি সন্ধ্যায় হারিয়ে গেল শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৯ তম ব্যাচ-এর সতীর্থ বন্ধুরা।

শনিবার (৪ মে) রাজধানী ঢাকার ধানমন্ডির অভিজাত ফরেস্ট লাউঞ্জ রেষ্টুরেন্টের মনেরোম পরিবেশে এমনি এক সন্ধ্যায় হারানো স্মৃতি ফিরে পেয়ে বন্ধুত্বের সাম্রাজ্যে ডুবে গেল সকল বন্ধুরা। আনন্দ কোলাহল, পুরনো স্মৃতি রোমন্থন, আগামীদিনে ব্যাচকে ঘিরে চমৎকার চমৎকার পরিকল্পনার কথা উঠে আসলো  তাদের আলাপচারিতায়।



রাতের ডিনার শেষে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় সকল সদস্যরা বলেন, বছরের মধ্যে নূন্যতম একবার এ ধরনের আয়োজন তাদের হারানো স্মৃতি ফিরে পেতে সাহায্য করবে। এমন সুন্দর আয়োজনের জন্য উদ্যোক্তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ দিতে ভুল করেননি কেউ। দল-মত নির্বিশেষে বিপদে-আপদে সবাই যেন একে অপরের পাশে থাকে এমন আশা সকল সদস্যদের।



যেসব বন্ধুরা শেকৃবি'র ৪৯ তম ব্যাচকে মজবুত করে আগলে রেখেছে তাদের অন্তরের অন্তস্থল থেকে ধন্যবাদ দেন সকল বন্ধুরা। সকলের মধ্যে এই ডিজিটাল যুগে কানেক্টিভিটি কিভাবে আরো বাড়ানো যায় সে ব্যাপারে আলোচনা করেন সকলে। অনুষ্ঠানে প্রয়াত বন্ধু শরাফত, সানজিদা, বুলবুল, হাফিজের রূহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। কৃষিবিদ ডঃ মোঃ তাসদিকুর রহমান সনেট, কৃষিবিদ সাখাওয়াত হোসেন সুইট, কৃষিবিদ একেএম ইউসুফ হারুন, কৃষিবিদ রায়হানুল আলম সাফিসহ সকলে সংগঠনর জন্য গঠনমূলক ও শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন।



কৃষিবিদ ডঃ মোঃ তাসদিকুর রহমান বলেন, সব বাঁধাবিপত্তি পার হয়ে বন্ধু নামের একই ছাতার নিচেই আমরা ফিরে আসি বারবার। এই জীবন চলার পথে কেউ আমরা দীর্ঘস্থায়ী নই। বাস্তবতাকে মেনে নিয়ে আমরা দূরের বাসিন্দা হয়ে যাব একদিন। দূর সীমানার বাইরে চলে গেলেও অন্তরে অটুট থেকে যায় যেন আন্তরিক টান। সুখে-দুঃখে সহানুভূতির হাত বাড়িয়ে পাশে থাকুক বিশ্বস্ত হয়ে বন্ধুত্বের হাত। অনন্তকাল ভালোবাসার বন্ধনে মজবুত হয়ে থাকুক আমাদের বন্ধুত্বের বন্ধন।



অনেকের সাথে দীর্ঘ বছর পর দেখা হয় তাদের আনন্দ ভাগাভাগি দৃশ্যটি ছিল চোখে পড়ার মতো। অনেকেই ক্যাম্পাসের সবুজ চত্বরে মধুর প্রেমের স্মৃতি মনে করে হারিয়ে যান সেইসব দিনগুলোতে। শেকৃবির সবুজ চত্বরটি যাদের কিচিরমিচির আর দুরন্তপনায় যেমন মুখরিত ছিল এ সন্ধ্যাটিও ঠিক তেমনি মুখরিত হয়েছিল সকলের কোলাহলে। শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৯ তম ব্যাচ-এর সতীর্থ বন্ধুরা আবারও পরিবার-পরিজন নিয়ে বড় পরিসরে আবার একত্রিত হবে এমনটাই কামনা করে সকলে দীর্ঘ আড্ডায় হাসি–ঠাট্টার পাঠচক্রের ইতি টেনে সকলে
ফিরে যান আপন নীড়ে।