"শাহ্ কৃষি তথ্য জাদুঘর"-এর প্রতিষ্ঠাতাকে সম্মাননা জানালো কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন ঢাকা মেট্রোপলিটন

রাজধানী প্রতিনিধি:কৃষিবিদদের প্রাণের সংগঠন কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) ও কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন ঢাকা মেট্রোপলিটন সবসময়ই বিভিন্ন ধরনের সেবামূলক কাজ করে যাচ্ছে। করোনাকালে কৃষিবিদ ও তাদের পরিবারের জন্য ফ্রি এম্বুলেন্স সার্ভিস, অক্সিজেন সিলিণ্ডার প্রদান, সিনিয়র কৃষিবিদ সম্মিলন, গুণীজন সংবর্ধনা, গরীব ও অসহায় মানুষদের মাঝে খাদ্য সহায়তা প্রদান, মেধাবী শিক্ষার্থিদের মাঝে বৃত্তি প্রদানসহ নানা সামাজিক কার্যক্রমে সম্পৃক্ত থেকে কৃষিবিদসহ দেশের সর্বমহলে অকুণ্ঠ প্রশংসা অর্জন করেছে কেআইবি ও কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন ঢাকা মেট্রোপলিটন।

এরই অংশ হিসেবে সোমবার (২৮ মার্চ) সন্ধ্যায় কেআইবিতে এ অনাড়ম্বর আয়োজনের মধ্যে দেশের দেশের নিভৃত পল্লীতে তিল তিল করে গড়ে ওঠা কৃষি জাদুঘর গড়ার কারিগর জাহাঙ্গীর আলম শাহকে সম্বর্ধনা প্রদান করলো কেআইবি ঢাকা মেট্রোপলিটন। এসময় উপস্থিত ছিলেন কৃষি ইনস্টিটিউশনের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব জনাব কৃষিবিদ মুকসুদ আলম খান মুকুট, কেআইবি ঢাকা মেট্রোপলিটন-এর সভাপতি কৃষিবিদ মো: লিয়াকত আলী জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ ড. মোহাম্মদ তাসদিকুর রহমান সনেটসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

এসময় কৃষি জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা জাহাঙ্গীর আলম শাহ-এর সাথে তারা শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং রাজধানী ঢাকাতে একটি জাতীয় কৃষি মিউজিয়াম প্রতিষ্ঠার লক্ষে জাহাঙ্গীর আলম শাহ-এর সহযোগিতা কামনা করেন তারা।

জাতীয় কৃষি জাদুঘর গড়ে তোলার ব্যাপারে জাহাঙ্গীর আলম শাহ অত্যন্ত আনন্দ প্রকাশ করেন এবং তার পক্ষ থেকে সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন। জাহাঙ্গীর আলম শাহ বলেন, রাজধানীর বুকে জাতীয় কৃষি জাদুঘর গড়ে তোলার জন্য আইডিয়া শেয়ারিং সহ সব ধরনের সহযোগিতা করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন তিনি। তিনি উপস্থিত কৃষিবিদ নেতৃবৃন্দের সামনে তার কৃষি জাদুঘর গড়ে তোলার পিছনের গল্প সংক্ষিপ্তাকারে তুলে ধরেন।



এসময় কেআইবি ঢাকা মেট্রোপলিটন-এর সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ ড. মোহাম্মদ তাসদিকুর রহমান বলেন, বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, সামরিক জাদুঘর, বিমান বাহিনী জাদুঘর, টাকা জাদুঘরসহ বিভিন্ন ধরনের জাদুঘর থাকলেও কোনো কৃষি জাদুঘর নেই। আমাদের ইতিহাস এবং ঐতিহ্যের সাথে ওতোপ্রোতো ভাবে মিশে আছে কৃষি। নতুন প্রজন্মকে আমাদের কৃষি এবং কৃষককের ঐতিহ্যের সাথে মিশে থাকা কৃষিকে উপস্থাপন এবং দেশের উন্নয়নের সাথে সাথে কৃষিতে কিভাবে উন্নয়ন ঘটেছে তা সকলেরই জানা উচিত বলে মনে করেন তিনি।

সর্বস্তরের কৃষিবিদসহ সকল পর্যায়ের কৃষিবিদ নেতৃবৃন্দের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নিশ্চয়ই রাজধানীর বুকে জাতীয় কৃষি জাদুঘর গড়ে তোলা সম্ভব হবে বলে আশাপোষন করেন কেআইবি ঢাকা মেট্রোপলিটন এর সাধারণ সম্পাদক।

কেআইবি ঢাকা মেট্রোপলিটন-এর সভাপতি কৃষিবিদ মো: লিয়াকত আলী জুয়েল বলেন, যে জাতি তার শেকড়কে ভুলে যায় সেই জাতি কখনো উন্নতি করতে পারে না। আমাদের পূর্ব পুরুষগণ কীভাবে মান্ধাতা আমলের কৃষিকাজকে বর্তমানের এই আধুনিক কৃষিতে রুপান্তর করেছে তা সকলের মাঝেই তুলে ধরা দরকার, তাহলেই কৃষির ইতিহাস এবং ঐতিহ্য সংরক্ষণ সম্ভব হবে বলে মনে করেন তিনি।

জনাব জাহাঙ্গীর আলম শাহকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করার সময় আরো উপস্থিত ছিলেন কেআইবি ঢাকা মেট্রোপলিটন এর সহ সভাপতি কৃষিবিদ এ কে এম ইউসুফ হারুন, দপ্তর সম্পাদক কৃষিবিদ গোলাম মোস্তফা খান রায়হান, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক রবিউল হক খান মিলন, প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ এস. এম. রায়হান সহ আরো অনেকে।



কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ এবং কেআইবি ঢাকা মেট্রোপলিটন নানা সামাজিক কর্মকান্ডের সবসময় নিয়োজিত থাকে। এখানে রয়েছে এক ঝাঁক নিবেদিত প্রাণ কৃষিবিদ যারা নিরলসভাবে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো পরিচালনার মাধ্যমে কৃষিবিদ অঙ্গনকে সবসময় মুখরিত রেখেছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে তারা চায় কৃষিবিদেরা এই ধরনের কর্মকাণ্ডের সাথে আরো বেশি বেশি যুক্ত হোক। জাতীয় জাদুঘর গড়ার লক্ষে কৃষির যেসকল ঐতিহ্যবাহী উপকরণ যেমন লাঙ্গল, মাথাল, কাস্তে.... ইত্যাদি  রয়েছে যা কালের ব্যবধানে হারিয়ে গেছে তা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে জানা উচিত বলে মনে করেন সচেতন কৃষিবিদমহল।