বাকৃবিতে বঙ্গবন্ধু বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন

আবুল বাশার মিরাজ, বাকৃবি প্রতিনিধি:নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) বঙ্গবন্ধু বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। বুধবার (২৩ মার্চ) সকাল ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেডিয়ামে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন বাকৃবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান।

বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় এবছর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মোট ২৩টি ইভেন্টের আয়োজন করা হয়েছে। এর মধ্যে ছেলেদের ১৩ টি ও মেয়েদের ১০ টি ইভেন্টে সাড়ে তিনশতাধিক শিক্ষার্থী প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করছে। দুই দিনব্যাপী এই প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠিত হবে আজ (২৪ মার্চ) বিকেলে।

দিনটি উপলক্ষে বুধবার সকাল ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন সংলগ্ন হ্যালিপ্যাড গ্রাউন্ড থেকে অলিম্পিক মশাল র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি স্টেডিয়াম মাঠে গিয়ে শেষ হয়। এরপর জাতীয় সঙ্গীতের সাথে পতাকা উত্তোলন, মশাল প্রজ্জ্বলন ও বেলুন উড়ানোর মধ্য দিয়ে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন ঘোষনা করা হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষায়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এ কে এম জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে ডিন কাউন্সিলের আহবায়ক অধ্যাপক ড. এ. কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া, প্রভোষ্ট কাউন্সিলের আহŸায়ক অধ্যাপক ড. খান মো. সাইফুল ইসলাম, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মহির উদ্দীন উপস্থিত ছিলেন ।



প্রধান অতিথির বক্তেব্য উপাচার্য বলেন, ‘সুস্থ দেহে সুন্দর মন কথাটি সব বয়সের মানুষের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। তবে শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ কমাতে এটি গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের জিমনেসিয়াম ও স্টেডিয়ামে অনুশীলন করতে পারে। মানসিক সুস্বাস্থ্যের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়মিত অনুশীলন করার প্রয়োজনীয়তাও তিনি উল্লেখ করেন।’

সভাপতির বক্তব্যে ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা বলেন ড. জাকির হোসেন বলেন, ‘প্রতিবছরই বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হলেও করোনা মহামারীর কারণে গত দুই বছর তা সম্ভব হয়নি। বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহনে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করে। তবে প্রতিযোগিদের সাফল্য কেবলমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না।’ এছাড়াও ভবিষ্যতে ক্রীড়া বিভাগ যেন সেরা অ্যাথলেটদেরকে জাতীয় পর্যায়ের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহনের ব্যবস্থা করা হয় সে বিষয়টিও উল্লেখ করেন তিনি।