বিপদগ্রস্থ শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ালো বাকৃবির শিক্ষার্থীরা

Category: কৃষিবিদ ও ক্যাম্পাস Written by agrilife24

আবুল বাশার মিরাজ, বাকৃবি প্রতিনিধি:পরিবারের কেউ বিপদে পড়লে বা কোনো দূরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হলে অন্য সদস্যরা হাত গুটিয়ে বসে থাকে না। যেকোন উপায়ে তাকে বিপদ থেকে উদ্ধারে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যায়। বিপদগ্রস্থ দুই শিক্ষার্থীর পাশে দাঁড়িয়ে এমনই দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অনুষদের প্যারাসাইটোলজি বিভাগের মাস্টার্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী কৃষিবিদ মো. জুবায়ের এবং কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীন সমাজবিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষার্থী সানোয়ার হোসেনের চিকিৎসার জন্য  তিন মাসের বৃত্তির টাকা প্রদান করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অনুষদের শিক্ষার্থীরা। সোমবার বিকেল ৫ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টার কক্ষে ওই দুই শিক্ষার্থীর অভিভাবকের কাছে প্রায় ১৬ লক্ষ টাকা হস্তান্তর করা হয়।
 
কৃষিবিদ মো. জুবায়ের ‘পেরিফেরালটি-সেললিমফোমা’ ক্যান্সারে আক্রান্ত। বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা ক্রমশ খারাপ হচ্ছে বলে জানান তার সহপাঠীরা। মেধাবী শিক্ষার্থী জুবায়ের রোগাক্রান্ত হওয়ায় তার পরিবার, সহপাঠী ও শিক্ষকদের মাঝে নেমে আসে শোকের ছায়া। অন্যদিকে সানোয়ার হোসেন সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্মভাবে আহত হন।

জানা যায়, দুই শিক্ষার্থীদের চিকিৎসায় বিপুল অঙ্কের অর্থ প্রয়োজন হয় যা তাদের পরিবারের একার পক্ষে বহন করা কঠিন হয়ে পড়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিষয়টি উপলব্ধি করে তাদের মাসিক বৃত্তির টাকা ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের চিকিৎসায় প্রদানে উদ্দ্যোগ নেয়। এতে এগিয়ে আসে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদীয় ছাত্র সমিতি। তাদের সহযোগিতায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে থেকে স্বাক্ষর গ্রহণ করা হয়। প্রায় ২৭০০ শিক্ষার্থীর স্বাক্ষর সংগ্রহ শেষে গৃহীত টাকা ভুক্তভোগী পরিবারের নিকট তুলে দেওয়ার উদ্দ্যোগ নেয় ছাত্র সমিতির নেতৃবৃন্দ।

সোমবার টাকা হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এ কে এম জাকির হোসেন, সহযোগী ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল ইসলাম, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মহির উদ্দীন, কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীন সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. এরশাদুল হক, ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. মকবুল হোসেন সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদ ছাত্র সমিতির নেতৃবৃন্দ ও ভুক্তভোগী দুই শিক্ষার্থীর স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।