“এক্সিম ব্যাংক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় গণহত্যা দিবস ২০২১ পালিত”

Category: কৃষিবিদ ও ক্যাম্পাস Written by agrilife24

ক্যাম্পাস ডেস্ক:এক্সিম ব্যাংক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ (ইবিএইউবি)-এ যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় গণহত্যা দিবস- ২০২১ উদযাপন উপলক্ষে সকাল ১০ ঘটিকায় ভার্চুয়াল আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন তিলাওয়াত, গীতা পাঠ ও জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন-এর মধ্য দিয়ে এর আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এবিএম রাশেদুল হাসান-এর সভাপতিত্বে উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টি বোর্ডের সম্মানিত সদস্য ও এক্সিম ব্যাংকের এমডি  বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. মোহাম্মদ হায়দার আলী মিয়া এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও ট্রেজারার (অ.দা) মোঃ শাহরিয়ার কবীর। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কৃষি ও কৃষি অর্থনীতি অনুষদের ডীন ও রেজিস্ট্রার (অ.দা) ড. মোঃ দেলোয়ার হোসেন।

প্রধান অতিথি ড. হায়দার আলী মিয়া তাঁর বক্তব্যে ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চের ভয়াল কালো রাতের ভয়াবহ চিত্র সবার সামনে তুলে ধরেন এবং সকলকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানার ও এই দিবসের চেতনা সবার মনে জাগ্রত রাখার আহবান জানান। তিনি বলেন ১৯৪৭ সালের দেশ বিভাগের পরই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের নীলনকশা শুরু হয়। পরবর্তীতে ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমেই বাংলাদেশের স্বাধীনতার বীজ বপন করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চের বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ “আমাদের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, আমাদের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম” এই আহবানের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরু হয়। ২৬ মার্চেই বঙ্গবন্ধু প্রথম স্বাধীনতার ঘোষনা দেন। পাকিস্তানের শাসক গোষ্ঠি অপারেশন সার্চ লাইট নাম দিয়ে একদিনেই লক্ষাধীক মানুষকে হত্যা করে ইতিহাসের নৃশংসতম হত্যাযজ্ঞ চালায়।

প্রধান অতিথি বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবার এবং মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী সকলকে কৃতজ্ঞতাভরে স্মরণ করেন। তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের যথাযথ সম্মান প্রদান ও মুক্তিযোদ্ধাদের পূনর্বাসন করার জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। তিনি শিক্ষার্থীদের শিক্ষক ও মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জেনে দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনারবাংলা গড়তে সকলকে আহবান জানান। সাথে সাথে আজকের অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করার সুযোগ দেওয়ার জন্য উপাচার্যকে ধন্যবাদ জানিয়ে তাঁর বক্তব্য শেষ করেন।

সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য তাঁর বক্তব্যের শুরুতেই গভীর শ্রদ্ধার সাথে ২৫শে মার্চ কালো রাতে গণহত্যায় জাতির শ্রেষ্ঠসন্তানদের শ্রদ্ধাবনত চিত্তে স্মরণ করেন। তিনি বলেন দেশেকে মেধাশূন্য করার যে উদ্দেশ্য নিয়ে পাকিস্তানের দোসর রাজাকার-আলবদররা গণহত্যা সংঘঠিত করেছিল বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীনতা অর্জনের মধ্য দিয়ে তাদের সে উদ্দেশ্য ব্যর্থ হয়। তিনি শিক্ষার্থীদের বলেন, নিষ্ঠা ও সততার কোন বিকল্প নেই। জ্ঞান অর্জন করে তার বিকাশের মাধ্যমে স্বাধীনতা সার্বোভৌমত্ব রক্ষা করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজগুলি সম্পন্ন করার জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।  দুর্নীতিমুক্ত বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তুলতে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানান। তিনি উত্তরবঙ্গের শেষ জেলা আমের রাজধানী খ্যাত চাপাইনবাবগঞ্জে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপন করার জন্য ট্রাস্টি বোর্ডের সকল সদস্য বিশেষ করে চেয়ারম্যান জনাব নজরুল ইসলাম মজুমদার, এক্সিম ব্যাংকের এমডি ড. হায়দার আলী মিয়াসহ ব্যাংক ফাউন্ডেশনের সকল কর্মকর্তা যারা বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে সর্বদা সাহায্য সহযোগিতা করছেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষনা করেন।  

সবশেষে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সকল সদস্য, মুক্তিযুদ্ধে ও গণহত্যায় নিহত সকল শহীদের রূহের মাগফিরাত কামনা করে দু’আ ও মোনাজাত করা হয়।

উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) মোঃ মকবুল হোসেন; পরিচালক (আইকিউএসি) ড. শামীমুল হাসান; পরিচালক ফিনান্স এন্ড একাউন্টস ড. মোস্তফা মাহমুদ হাসান, পরিচালক (পিআরডি) ড. মোঃ সোহেল আল বেরুনী, প্রক্টর ড. মোঃ মশিউর রহমানসহ বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানগণ, সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ। - প্রেস বিজ্ঞপ্তি