২৫ মার্চ ‘গণহত্যা দিবস’কে ‘আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতি চাই

এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম:২৫ মার্চ ১৯৭১; কালো এই রাতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী পূর্বপরিকল্পিতভাবে ’অপারেশন সার্চলাইট’ অনুযায়ী বাঙালী নিধনে ইতিহাসের বর্বরতম হত্যাকান্ড চালিয়েছিল। অস্ট্রেলিয়ার পত্রিকা হেরাল্ড ট্রিবিউনের রিপোর্ট অনুসারে ২৫ মার্চ রাতে শুধু ঢাকা শহরেই একলক্ষ নিরীহ বাঙালিকে হত্যা করেছিল পাকিস্তানি বাহিনী। ‘গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস’-এ বাংলাদেশের হত্যাযজ্ঞকে বিংশ শতাব্দীর পাঁচটি ভয়ংকর গণহত্যার অন্যতম বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিশ্বখ্যাত ‘টাইম’ ম্যাগাজিনের একটি সম্পাদকীয় মন্তব্য ছিল, “It is the most incredible, calculated thing since the days of the Nazis in Poland.”- এসব রিপোর্টে বাংলাদেশের মাটিতে পাকিস্তানী বাহিনীর নিষ্ঠুরতা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে পোল্যান্ডে নাৎসি বাহিনীর বর্বরতার চেয়েও ভয়াবহ ছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছিল।

আজ সেই ভয়াল ও বীভৎস কালরাত্রির স্মৃতিবাহী ২৫ মার্চ - মানব সভ্যতার ইতিহাসে একটি কলঙ্কিত হত্যাযজ্ঞের দিন। বিলম্ব হলেও ১৭ মার্চ ২০১৭ রাষ্ট্রীয়ভাবে ২৫ মার্চকে ‘গণহত্যা দিবস’ পালনের ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের মহান জাতীয় সংসদে গৃহীত হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে স্বাধীনতার প্রায় পাঁচ দশক পরও গণহত্যাকারী পাকিস্তানী বাহিনীর এ দেশীয় দোসরদের বিচার শুরু হলেও দায়ী পাকিস্তানী সেনাদের বিচারের আওতায় আনা সম্ভব হয়নি। মাত্র এক রাতে এমন নির্বিচারে গণহত্যার ঘটনা বিশ্বে নজিরবিহীন। তাই মুজিববর্ষেই ২৫ মার্চকে ‘আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের পাশাপাশি যুদ্ধাপরাধী পাকিস্তানি সেনাদের বিচারের আওতায় আনার জন্য জাতিসংঘের নিকট জোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় নীল দল।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় নীল দল-এর আহবায়ক প্রফেসর মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন এবং সদস্য সচিব প্রফেসর ড. সৈয়দ মোহাম্মদ এহসানুর রহমান স্বাক্ষরিত গনমাধ্যমে প্রেরিত এক বার্তায় তারা জাতিসংঘের নিকট জোর দাবি জানান।

নেতৃবৃন্দ উল্লেখ করেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন, কিন্তু অর্থনৈতিক মুক্তি সম্পন্ন করে যেতে পারেননি। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা মানবতার নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ ও কৌশলী নেতৃত্বে মহামারি করোনা অত্যন্ত সাফল্যের সাথে মোকাবিলা করে বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে রোল মডেল হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন।  সেদিন বেশি দূরে নয়, যেদিন বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাঙালী জাতির মুক্তি সংগ্রামের গৌরবময় ইতিহাস ঊর্ধ্বে তুলে ধরার মাধ্যমে লাখো শহীদের পবিত্র স্মৃতি চেতনায় ধারণ করে এবং আমাদের ইতিহাস সম্পর্কে যেসব মিথ্যাচার করা হয়েছে তার কবর রচনা করে আন্তর্জাতিক বিশ্বে বাংলাদেশ উন্নীত হবে এক অনন্য উচ্চতায়।