“কৃষিবিদ দিবস” উপলক্ষে বাকৃবি নীলদলের শুভেচ্ছা বার্তা

এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম:১৯৭৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে কৃষিবিদদের চাকুরিতে প্রবেশপদে প্রথম শ্রেণীর মর্যাদা প্রদানের ঘোষণা দেন। জাতির জনকের ঐ দূরদর্শী ঘোষণার দিনটি কৃষিবিদ সমাজ “কৃষিবিদ দিবস” হিসেবে যথাযথ মর্যাদার সাথে পালন করে আসছে। ২০১১-১২ মেয়াদে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি ১৩ ফেব্রুয়ারি দিনটি প্রতি বছর কৃষিবিদ দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এই সিদ্ধান্তের আলোকে ২০১২ সাল থেকে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ ১৩ ফেব্রুয়ারি দিনটি মর্যাদার সাথে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে ‘কৃষিবিদ দিবস’ হিসাবে পালন করে আসছে।

‘কৃষিবিদ দিবস’ উপলক্ষে বাকৃবি নীলদল কৃষক ও কৃষিবিদ তথা কৃষির সাথে সংশ্লিস্ট সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছে। গনমাধ্যমে প্রেরিত এক বার্তায় বাকৃবি নীলদলের আহবায়ক প্রফেসর মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন  ও সদস্য সচিব প্রফেসর ড. সৈয়দ মোহাম্মদ এহসানুর রহমান-এ শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন।

শুভেচ্ছা বার্তায় বাকৃবি নীল দলের নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘মুজিববর্ষে’ এবারের ‘কৃষিবিদ দিবস’-টি অত্যন্ত তাৎপর্য বহন করে। এই দেশ ও এদেশের জনগণের কল্যাণে মুজিববর্ষের সূচিত নানা উদ্যোগের মতো ‘কৃষিবিদ দিবস এর তাৎপর্য যথাযথভাবে তুলে ধরতে হবে। দেশের কৃষিবিদ সমাজ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান ও অনুপ্রেরণা চির অটুট রাখতে তাঁকে সর্বদা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে সকল কৃষিবিদরা।

দেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা ও কৃষিজমির ক্রমহ্রাসমান পরিস্থিতিতে নানাবিধ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে কৃষক ও কৃষিবিদদের নিরলস প্রচেষ্টায় বঙ্গবন্ধু তনয়া কৃষকরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। আজকের এই দিনে গভীর শ্রদ্ধা জানাই আধুনিক কৃষির স্বপ্নদ্রষ্টা বঙ্গবন্ধুকে। জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলা করে পুষ্টি নিরাপত্তা ও সবার জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সকল দল-মত নির্বিশেষে কৃষিবিদরা বিরামহীনভাবে কাজ করে যাবে- মুজিববর্ষে নীলদল এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করে।