বহুজাতিক কোম্পানীগুলোর ডিম ও ব্রয়লার উৎপাদন বন্ধের দাবি জানালো প্রান্তিক খামারীরা

Category: বিজনেস ও ইন্ডাস্ট্রি Written by agrilife24

এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম:সস্তায় মাংস, ডিম ও পোল্ট্রি খাবার সরবরাহের কথা বলে বিদেশী পুঁজি প্রবেশের সুযোগ করে দেয়া হলেও দেশের পোল্ট্রি খামার গুলো যখনই দুর্বল হয়ে পড়ে তখনই বিদেশী ফার্ম গুলো সস্তায় এদেরকে কিনে নেয়। তাছাড়া এরা বড় পুজির কোম্পানি হওয়ার কারণে বৃহৎ আকারে উৎপাদন, দক্ষতা, কম সুদে পুজি যোগানের সামর্থ্য ইত্যাদি কোন ক্ষেত্রেই দেশীয় পোল্ট্রি খামার গুলো এসব কর্পোরেটদের সাথে পেরে উঠছে দেশের উদ্যোক্তারা। ফলে ধীরে ধীরে পোল্ট্রি শিল্পই চলে যাচ্ছে বহুজাতিকদের হাতে।

গতকাল শনিবার (৬ মার্চ) এসএমএস ফিডস লিঃ আওলিয়ারচালা, ভালুকা থানার পরিবেশক জান্নাত পোল্ট্রি ফি-এর উদ্যোগে আয়োজিত এক পোল্ট্রি খামারী সমাবেশে হতাশার  সাথে এমন দাবী করলেন আগত খামারীবৃন্দরা। অনেকেই বলেন ১০ বছর ধরে খামার করছি, এখন ইচ্ছা করলেই তো বন্ধ করতে পারি না। যার কারণে চালিয়ে যাচ্ছি। মাঝে মাঝে মৌসুম ভেদে কিছু লাভ থাকে। বাজারে ন্যায্য দাম পেতে তারা সরকারের নীতি নির্ধারকদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

জান্নাত পোল্ট্রি ফিড এর প্রোঃ জুয়েল রানা স্বাগত বক্তব্য প্রদান করে সভার কাজ শুরু করেন। সভাপতিত্ব করেন আওলিয়ারচালা জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মুফতি তাওফিকুর রহমান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন এসএমএস ফিডের সিনিয়র ডিজিএম ও হেড অব মার্কেটিং জনাব আব্দুল্লাহীল মামুন।



উপস্থিত খামারীরা বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের পোল্ট্রি ব্যবসার অবস্থা খুবই খারাপ। একটা পোল্ট্রির বাচ্চা কেনা থেকে শুরু করে খাবার, ওষুধ ও কর্মচারী খরচ সবকিছু মিলিয়ে যখন বাজারে ব্রয়লার মুরগি নিয়ে আসা হয় তখন প্রায় সময় প্রতিটা মুরগিতে লসগুনতে হয়। ডিমের ক্ষেত্রে একই রকম। লোকসানের পেছনে একটা অন্যতম কারণ হচ্ছে-মার্কেটে ছোট খামারিদের ধরাশায়ী করতে ইচ্ছাকৃতভাবে বহুজাতিক কোম্পানীগুলো মুরগির বাচ্চার দাম বা মুরগির দাম কমিয়ে দিচ্ছে। যখন ছোট খামারিরা মার্কেট থেকে ছিটকে পড়ছে, তখন নিজেদের মতো করে বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে বড় বড় খামারিগুলো।

খামারিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আব্দুল মতিন, রাসেল, বাবলু মিয়া ও তাজুল ইসলাম। খামার ব্যবস্থাপনার উপর আলোচনা করে ডাঃ মোঃ রায়হান সিদ্দিক। কোম্পানীর ডেপুটি ম্যানেজার ফিরোজ আলম অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। সমাবেশে এলাকার লেয়ার, ব্রয়লার ও সোনালী মিলে প্রায় ১৫০ জন প্রান্তিক খাারীরা উপস্থিত ছিলেন।