বিনিয়োগকারীদের জন্য সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিচ্ছে CHIEF সাইলো

বিজনেস প্রতিবেদক:দেশের পোল্ট্রি, মৎস্য ও ডেইরি সেক্টরে ফিড তৈরীর প্রধান কাঁচামাল হিসেবে প্রচুর পরিমাণে ভুট্টার প্রয়োজন পড়ে। দেশে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের খাদ্য হিসাবে ভুট্টা ব্যাপকভাবে ব্যবহার হচ্ছে। সেজন্য, ভুট্টার উৎপাদন আরও বাড়াতে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়। আগামী ৫ বছরের মধ্যে ভুট্টার উৎপাদন বছরে ১ কোটি মেট্রিক টনে উন্নীত করতে কাজ চলছে। আর এটি করতে পারলে ভুট্টা উৎপাদনে শুধু স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন নয়, বিদেশে রপ্তানি করেও প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হবে।

বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটের হিসাব অনুযায়ী দেশে ভুট্টার উৎপাদন ২০০৯ সালে ছিল সাত লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন, ২০২০ সালে যা বেড়ে হয়েছে ৫৪ লাখ মেট্রিক টন। অন্যদিকে, ভুট্টার চাহিদা বছরে ৬৫-৭০ লাখ টন। চলতি বছর কয়েক দফা বন্যা ও করোনার কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে ফিড উৎপাদনের প্রধান এ কাঁচামালটির দাম অস্বাভিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে যার ফলে ফিডমিল মালিকরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন এবং পরোক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন খামারীরা। এভাবে চলতে থাকলে দেশের আপামর ভোক্তারা সুলভে প্রাপ্ত প্রাণিজ প্রোটিন থেকে বঞ্চিত হবেন। যা দেশ ও জাতির জন্য খুবই অকল্যানকর হবে।

তবে আশার কথা শোনালেন এক্সন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পচিালক জনাব জাহিদুল ইসলাম। এ প্রতিবেদকের সাথে সাক্ষাৎকালে তিনি জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে যে কোনো পণ্যের মূল্য উঠানামা করবে এটাই স্বাভাবিক। এজন্য আমাদের প্রয়োজন সঠিত তথ্য এবং উন্নত প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার। ফলন মৌসুমে দেশে উৎপাদিত ভুট্টা সংগ্রহ ও কম দামে ভুট্টা আমদানি করে সাইলোতে রাখলে এগ্রো সেক্টর অনেক বেশি লাভবান হবে বলে জানান তিনি। তাই শুধু ফিডমিলারদের জন্য নয় বরং যে কোন আমদানিকারক, ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা CHIEF Agri-এর মানসম্মত সাইলোর মাধ্যমে অনেক লাভবান হতে পারে।



তিনি বলেন, CHIEF Agri আমেরিকার CHIEF Industries, Inc. পরিবারের অন্যতম গর্বিত সদস্য। সুদীর্ঘ ৬০ বছর ধরে তাদের আমেরিকা ও ইউরোপের কারখানা থেকে সাইলো স্টোরেজ বিন, হ্যান্ডেলিং, কন্ডিশনিং এবং ড্রাইং সিস্টেম প্রস্তুত, সেটআপ ও সামগ্রিক খাদ্যশস্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে অত্যন্ত সুনামের সাথে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশে বেশ কয়েকজন উদ্যোক্তা CHIEF সাইলো ব্যবহার করে আশাতীত লাভবান হয়েছে যোগ করেন জাহিদুল ইসলাম। আরো বেশ কয়েকজন উদ্যোক্তা ইতিমধ্যে এটি স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছেন।

খাদ্যশস্য গুদামজাতকরণের (Grain Storage) বিজ্ঞানসম্মত আধুনিক পদ্ধতি হচ্ছে সাইলো। ইস্পাত বা স্টিল দ্বারা নির্মিত বায়ু নিরোধক নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রাংশ সমেত সাইলো তৈরি করা হয়। এর মাধ্যমে সারাবছর চাহিদা অনুযায়ী শত টন থেকে হাজার টন খাদশস্য যেমন ভুট্টা, গম, ধান নিরাপদে গুদামজাত করা সম্ভব। দেশে জরুরি প্রয়োজনের সময় খাদ্যনিরাপত্তা ব্যবস্থার একমাত্র নিরাপদ সমাধান সাইলো।  

এ দেশে খাদ্যশস্য সনাতন পদ্ধতিতে রোদে শুকিয়ে কিছুকালের জন্য মটকা, ডোল, পাটের বস্তা ইত্যাদির মাধ্যমে গুদামজাত বা মজুদ করা সর্বাধিক অনুসৃত পদ্ধতি। খাদ্যশস্যের আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণ, নির্বিঘ্ন বায়ু চলাচল এবং কীটপতঙ্গ, ছত্রাক সংক্রমণ, ও ইঁদুরের আক্রমণ রোধ না হওয়ায় এভাবে গুদামজাতকরণে শস্যমানের গুণগতমান ঠিক থাকে না। CHIEF Agri-এর প্রস্তুতকৃত উন্নত প্রযুক্তির সাইলোর মাধ্যমে এসব সমস্যা নিমিষেই কাটিয়ে উঠা সম্ভব।



তাই কৃষক তথা দেশকে বাঁচাতে খাদ্যশস্যের ভাণ্ডার দেশের উত্তরাঞ্চলে অঞ্চলভিত্তিক প্রতি ৫-৬ বর্গমাইলে একটি করে ‘কৃষি সমবায় কেন্দ্র’ (অন্য যে কোনো নামেও হতে পারে) নির্মাণ করা খুবই জরুরি। যেখানে সাইলো স্থাপনের মাধ্যমে কৃষিকে সার্বিক কৃষি ব্যবস্থাপনায় আনার জন্য সেখানে থাকবে গুদাম ঘর। এর মাধ্যমে ওই অঞ্চলের ভুট্টা থেকে শুরু করে ধান সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা সম্ভব। সরকারও সরাসরি প্রতি কৃষকের কাছ থেকে আনুপাতিক হারে ধান/ভুট্টা ক্রয় করতে পারবে। কৃষকও দালালের হাত থেকে রক্ষা পাবে।

দেশে প্রয়োজনের তুলনায় খাদ্যগুদামের সংখ্যা কম? সরকার  আমন/বোরো মৌসুমে অভ্যন্তরীণ বাজার লাখ লাখ টান ধান, চালক্রয় করে থাকে। দেশে খাদ্যগুদামের মোট ধারণক্ষমতা ২১ লাখ মেট্রিক টন। এর সিংহভাগে আগে থেকেই চাল মজুত আছে। এই বাড়তি কেনা ধান–চাল তাহলে রাখবে কোথায়? প্রয়োজনীয় খাদ্যগুদাম তৈরি না করে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া কতখানি যৌক্তিক?

সরকার যদি শিগগির খাদ্যগুদাম ও সাইলো নির্মাণ করা প্রয়োজন। কিন্তু যেসব খাদ্যগুদাম আগে থেকেই আছে, সেগুলোর মোট ধারণক্ষমতার পূর্ণ ব্যবহার করা সম্ভব হয় না। কারণ, অনেক খাদ্যগুদামের কিছু অংশে খাদ্যশস্য সংরক্ষণ করা যায় না। সেগুলো সংস্কার করাও একান্ত প্রয়োজন। এমতাবস্থায় উন্নত বিশ্বের প্রযুক্তি ব্যবহার করে সাইলো নির্মানের মাধ্যমে দ্রুতই এ সমস্যার সমাধান সম্ভব।

বাংলাদেশে  CHIEF Agri-এর সাইলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ:
AXON
Russel Park (5th fl.), House-101,Road-13/A, Block-C, Banani,Dhaka-1213, Bangladesh.
Contact:Phone: +880-2-222264473, +880 1716379938
Email: This email address is being protected from spambots. You need JavaScript enabled to view it., www.axon-group.net