গো-খাদ্যের মূল্যহ্রাস ও গুড়া দুধে পানি মিশিয়ে প্যাকেজিং ও বাজারজাতকরণ আইন পরিবর্তনের দাবি

Category: ফার্ম টু ডাইনিং Written by agrilife24

বিজনেস ডেস্ক:দেশের ডেইরী সেক্টরকে বাঁচানোর জন্য অবিলম্বে গো-খাদ্যের মূল্যহ্রাস এবং বিএসটিআই কর্তৃক সদ্য পাস করা গুড়া দুধে পানি মিশিয়ে (রিকন্সটিটিউশন) তা প্যাকেজিং এবং বাজারজাতকরণ আইন পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ ডেয়রী শিল্পের সাথে জড়িত নেতৃবৃন্দ।

মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) রাজধানীর প্রাণ সেন্টারে বাংলাদেশ ডেইরী ডেভেলপমেন্ট ফোরাম (বিডিডিএফ) এর উদ্যোগে আয়োজিত সাধারণ সভায় এসব দাবি জানানো হয়। প্রাণিসম্পদ মন্ত্রানালয় কর্মকর্তা, মিল্কভিটা প্রান-আরএফএল, আড়ংমিল্ক প্রতিনিধি সহ খামারীদের সমন্বয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয় ।

সভায় বলা হয়, বিশ্বব্যাপী রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং দেশে জ্বালানী তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে গো-খাদ্যের বাজারমূল্য অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। এর ফলে দেশের প্রায় ১০ লক্ষ ছোট বড় প্রান্তিক খামার হুমকির মুখে পড়েছে। খামারীদের ভাষ্যমতে, গো-খাদ্যের উচ্চমূল্যের কারণে বর্তমানে প্রতি কেজি দুধ উৎপাদনে খরচ হচ্ছে প্রায় ৫০ টাকা যার বর্তমান বাজারমূল্য ৪০-৪৫ টাকা। তাছাড়া দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাতকারী কোম্পানীগুলো তাদের পণ্যের বিক্রয়মূল্য বাড়ালেও ক্রয়মূল্যের সাথে তা সমন্বয় করেনি। এ অবস্থায় খামারীদের মধ্যে চরম হতাশা বিরাজ করছে এবং অধিকাংশ খামার বন্ধের উপক্রম হয়ে পড়েছে। এসব খামার বন্ধ হলে দেশে লক্ষ লক্ষ যুবক ও নারী খামারী বেকার হয়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে গো-খাদ্য আমদানিতে সকল শর্ত শিথিল করে এবং গো-খাদ্যে ভর্তূকি প্রদান করার জোর দাবি জানিয়েছেন বিডিডিএফ নেতারা।

সভায় বিএসটিআই কর্তৃক সদ্য পাস করা গুড়া দুধে পানি মিশিয়ে (রিকন্সটিটিউশন) তা প্যাকেজিং এবং বাজারজাতকরণ আইনের তীব্র নিন্দা জানানো হয়। বক্তারা বলেন, এমন আইন দেশের স্বার্থ বিরোধী। এ আইন চালু করলে শুধু খামারীরা নয় দেশীয় দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাতকারী কোম্পানীগুলো চরম ক্ষতিগ্রস্থ হবে। পাশাপাশি মানুষ নিন্মমানের গুড়াদুধ মিশ্রিত পানি খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়বে। তারা অনতিবিলম্বে এ আইন বাতিলের জন্য বিএসটিআইয়ের প্রতি আহবান জানান।

সভায় সভাপতিত্ব করেন উজমা চৌধুরী। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মো. মুতাসীম বিল্লাহ, পারভীন সুলতানা, মুস্তাফিজুর রহমান, মো. ইকবাল হোসেন, ড. জাহিদুল ইসলাম, ডা. সিরাজুল হক, ডা. হারুন-অর-রশিদ, মো. শাহিনুর ইসলাম, মুশফিকুর রহমান দিপু, প্রমুখ, ডা. নুরের রহমান প্রমুখ।