টেকনাফে স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে গরু মোটাতাজাকরণ ও মাংস প্রক্রিয়াজাতকরণ বিষয়ে সচেতনতামূলক কর্মশালা

এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম:সুস্থ ও মেধাবী জাতি গঠনে প্রাণীজ আমিষের অবদান অপরিহার্য তবে সে আমিষটি হতে হবে নিরাপদ। আমাদের দেশে প্রাণীজ আমিষের একটি অন্যতম উৎস গবাদি পশু। খামারিরা কোরবানীর সময় প্রাকৃতিক উপায়ে গরু মোটাতাজাকরণ করে জনগণের প্রাণিজ আমিষের চাহিদার উল্লেখযোগ্য একটি অংশ সরবরাহ করছেন। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রান্তিক পর্যায়ের কর্মকর্তারা কারিগরি প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নিরাপদ উপায় গরু মোটাতাজাকরণ করতে খামারিদের উৎসাহিত করে চলেছেন।

এরই ধারাবহিকতায় সোমবার (৬ জুন) রাসায়নিকের ব্যবহার ব্যতীত সঠিক পদ্ধতিতে গরু হৃষ্টপুষ্টকরণে গবাদি পশুতে স্টেরয়েড/হরমোনের অপপ্রয়োগ/কুফল এবং স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে মাংস প্রক্রিয়াজাতকরণ বিষয়ে অংশীজনদের নিয়ে সচেতনতামূলক কর্মশালা কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে অনুষ্ঠিত হয়। টেকনাফ উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর এর প্রশিক্ষণ হলে আয়োজিত এ কর্মশালায়  শিক্ষক, ইমাম, খামারী, মাংস বিক্রেতা (কসাই), পশুখাদ্য ও মেডিসিন বিক্রেতা, সাংবাদিক এবং জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন পর্যায়ের লোকজন অংশগ্রহণ করেন।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার (ভাঃ) ডাঃ মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহ এর সভাপতিত্বে এবং প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডাঃ সাজ্জাদ হোসেন এর সঞ্চালনায় কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব কায়সার খসরু। কর্মশালায় উপসহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, ভিএফএ, এবং এলএফএ-বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন

নিরাপদ উপায়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ভরে উঠেছে গরু মোটাতাজাকরণ খামার। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে দেশের বাণিজ্যিক থেকে শুরু করে গৃহপালিত ভাবে পালন করা গরু গুলো বিক্রয়ের জন্য প্রস্তুত করছেন খামারিরা।স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে মাংস প্রক্রিয়াজাতকরণ বিষয় নিয়ে সচেতনতামূলক কর্মশালা দেশের খামারী থেকে ভোক্তা সকলের জন্য সুফল বয়ে আনবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।