চাষ থেকে বিপণন পর্যন্ত তুলা চাষীদের সহযোগীতা করছে তুলা উন্নয়ন বোর্ড

এগ্রিলাইফ প্রতিনিধি:টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার নদীর ধারে রয়েছে অনেক অনাবাদী জমি যেখানে এক সময় তামাকের চাষ হতো। তামাকের আগ্রাসন থেকে এ অঞ্চলকে মুক্ত করতে তুলা চাষে এলাকার কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। তুলা চাষের জমিতে সাথী ফসল হিসেবে মিষ্টি কুমড়া, শিম, বরবটি, মরিচ, ভূট্টা, লাল শাক, পুঁইশাক সহ বিভিন্ন শাক-সবজি চাষ করে কৃষক বাড়তি আয়ের ব্যবস্থা করতে পারছে কৃষকরা। উৎপাদিত তুলা বিক্রি করতে কৃষককে কোন বেগ পেতে হচ্ছে না। চাষ থেকে বিপণন পর্যন্ত তাদেরকে সকল সহযোগীতা করছে তুলা উন্নয়ন বোর্ড। এসব কার্যক্রমকে বেগবান করার লক্ষে তুলা উন্নয়ন বোর্ড তুলা চাষীদের প্রশিক্ষিত করে তুলছে।

এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) নাগরপুরের পাকুটিয়া ইউনিয়ন ইউনিটে দিনব্যাপী এলাকার তুলা চাষীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত "তুলা কৃষক প্রশিক্ষণ"। তুলা উন্নয়ন বোর্ড, ঢাকা জোন-এর আয়োজনে তুলা উন্নয়ন বোর্ড ঢাকা রিজিওন-এর বীজ উৎপাদন বিশেষজ্ঞ কৃষিবিদ ড. মোঃ তাসদিকুর রহমান, ঢাকা জোন-এর প্রধান তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা,কৃষিবিদ এস এম আব্দুল বাতেন আগত তুলা চাষিদের প্রশিক্ষণ প্রদান করেন।

অনুষ্ঠানে ড. মোঃ তাসদিকুর রহমান বলেন, তুলার কাঙ্ক্ষিত উৎপাদন পেতে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে তুলা উন্নয়ন বোর্ড। প্রতি মণ তুলার মূল্য গত বছর ২৪০০/- ২৫০০/ টাকা ছিল। তবে এ বছর আবহাওয়া ভাল থাকায় এবং উৎপাদিত তুলার গুণগতমান ভালো হওয়ায় চাহিদাও বেশি। বিঘায় ১৫ থেকে ২০ মণ তুলা উৎপাদনে আশা করছেন তারা। প্রতি মণ তুলার বর্তমান বাজার দর ৩,৪০০/= টাকা যা কৃষকদের আর্থিকভাবে স্বচ্ছল করবে বলে আশা করেন ড. মোঃ তাসদিকুর রহমান।

কম খরচে আর স্বল্প শ্রমে লাভ বেশি হওয়ায় এ এলাকার কৃষকরা তুলা চাষে ঝুঁকছেন। প্রশিক্ষণসহ নানা সহায়তা দেয়ায় কৃষকদের মাঝে দিনদিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে তুলা চাষ। ফলন ভালো হওয়ায় খুশি চাষিরা। বাজারমূল্য ভালো থাকলে তুলার চাষ বাড়বে বলে মনে করেন কৃষক ও স্থানীয়রা।