কৃষকদের গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষে উদ্বুদ্ধ করছে ঝিনাইদহ কৃষি অফিস

এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম:ঝিনাইদহে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ লাভজনক হওয়ায় স্থানীয় চাষিদের মধ্যে আগ্রহ বাড়ছে। টমেটোর ফলন এবং দাম দুটিই ভালো হওয়ায় তারা বেজায় খুশি। তাদের এ সাফল্য দেখে অন্য চাষিরাও উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ করে এলাকার কৃষকরা ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন। ঝিনাইদহ কৃষি অফিস কৃষকদের গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষে উদ্বুদ্ধ করে যাচ্ছে। জেলায় প্রায় সাত হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ হচ্ছে।

উপ-পরিচালক ডিএই ঝিনাইদহ মোঃ আজগর আলী জানান, গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ বেশ লাভজনক।  সাধারণত মার্চ মাসের প্রথম দিকে বীজ বপন করতে  হয় এবং মে মাসে ওই চারা  ক্ষেতে রোপন করতে হয়। জুন-জুলাই মাসে ফল আসতে শুরু করে। একাধারে ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাস পর্যন্ত টমেটো পাওয়া যায়। তিনি বলেন, এ টমেটো সংগ্রহের প্রায় এক সপ্তাহ পর্যন্ত ভালো থাকে। সারা বছর সবজির চাহিদা পূরণ  করতে গ্রীষ্মকালীন উদ্ভাবিত বারি-৪ জাতের টমেটো চাষ করতে পরামর্শ দেন তিনি। সাদা পলিথিনের ছাউনি দিয়ে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ খুবই সহজ। উপজেলা কৃষি অফিস টমেটো চাষিদের প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা দিচ্ছে।



বৃহত্তর কুষ্টিয়া ও যশোর অঞ্চল কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ঝিনাইদহ কৃষি বিভাগ সবজি জাতীয় ফসলের প্রযুক্তি বিস্তারে কাজ করে আসছে। পৌর ব্লক ঝিনাইদহ সদরের বড় গোপীনাথপুর গ্রামে ৫ শতাংশ জমিতে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ করছেন মোঃ আব্দুল সালাম। টমেটোর জাত হিসেবে তিনি বারি হাইব্রিড টমেটো -৪ নামক উচ্চ ফলনশীল জাত চাষ করছেন। জৈবিক উপায়ে নিরাপদ সবজি উৎপাদন করতে তিনি বর্তমানে আঠালো ইয়োলো কার্ড এবং ফেরোমন ফাঁদের ব্যবহার করছেন। ঝিনাইদহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে নিয়মিতভাবে গ্রীষ্মকালীন টমেটো প্রদর্শনী প্লট পরিদর্শন করার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় সকল পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে বলে জানান মোঃ আব্দুল সালাম।

স্বাভাবিক পূর্ণ বয়স্ক মানুষের যেখানে সবজির চাহিদা ৩৫০ গ্রাম প্রায় সেখানে বাংলাদেশের মানুষ গ্রহন করে গড়ে ১৫০ গ্রাম। দেশের মানুষের পুষ্টি চাহিদা মেটাতে নিরলসভাবে অবদান রেখে চলেছে কৃষি বিভাগ। সবজি উৎপাদন বৃদ্ধিতে আধুনিক উচ্চ ফলনশীল জাত সম্প্রসারণ, সুষম সার ব্যবস্থাপনা শীর্ষক প্রযুক্তি গ্রহনে কাজ করছে ঝিনাইদহ কৃষি বিভাগ।