বগুড়ার শাজাহানপুরে চাষ হচ্ছে বিদেশি জাতের তরমুজ

শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি:পবিত্র মাহে রমজানের বাজারে তরমুজ খুব ভালো  চাহিদা থাকায় দেশব্যাপী যখন দক্ষিণ অঞ্চলের  মৌসুমি ফল তরমুজ বেচা-বিক্রি নিয়ে আলোচনা সমালোচনা তুঙ্গে। এমন সময় বগুড়া শাজাহানপুরে কৃষকদের আধুনিক প্রযুক্তিতে উৎপাদিত সুমিষ্ট তরমুজ আশা জাগাচ্ছে।

উপজেলা বামুনিয়া চাঁদবাড়িয়া এলাকাসহ উপজেলায় প্রায় ২০ বিঘা জমিতে এ বছর  বিদেশি জাতের তরমুজ গোল্ডেন ক্রাউন, মধু মিতা (হলুদ), ব্লাক কিং চাষ করা হয়েছে। এ অঞ্চলের তরমুজ চাষ অনেকটা নতুন হওয়ায় জমিগুলোতে বিভিন্ন স্থান থেকে আগত দর্শনার্থীরা ভিড় করছেন। সাধারণ তরমুজের চেয়ে অধিক মিষ্টি এসব তরমুজ। ব্যাপক চাহিদা থাকায় এলাকার কৃষকদের মধ্যে এসব জাতের তরমুজ নিয়ে বেশ আগ্রহ দেখা দিয়েছে।

বামুনিয়া চাঁদবাড়িয়া এলাকায় কৃষক মোকছেদ আলী জানান, গত ফেব্রুয়ারী  মাসের শেষ  সপ্তাহে তিনি বীজ বপন করেন। এরপর সঠিক সময়ে সার ব্যবস্থাপনা, মাচা তৈরি, ডগা কর্তন, ডগা মাচায় উঠিয়ে দেওয়া ও তরমুজের গায়ে জাল পরিয়ে টানিয়ে দেওয়াসহ যাবতীয় কার্যক্রম পর্যায়ক্রমে সম্পন্ন করেন। বিশ শতক জমিতে ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে তার। জমিতে প্রায় ১ হাজার পিচ তরমুজ পরিপক্ব হয়েছে। তিনি  আশা করছেন পিচ প্রতি ১০০ টাকা হলেও প্রায় লক্ষাধিক টাকা বিক্রি হবে এসব।

উপজেলার তরুণ তরমুজ চাষী মিজানুর রহমান জানান, ‘গণমাধ্যমে সংবাদে আকৃষ্ট হয়ে উপজেলা কৃষি বিভাগ পরামর্শে ২০ শতক জমিতে প্রথমবারের  মতো সৌখিনে তরমুজ আবাদ শুরু করেছি স্থানীয়ভাবে তরমুজ   উৎপাদনের ফলে  পরিবহন খরচ  ও সিন্ডিকেট মুক্ত হওয়ার দাম সব শ্রেণির মানুষের নাগালের মধ্যে থাকবে।’

জানতে চাইলে শাহজাহানপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নূরে আলম জানান, তরমুজ এখন আর মৌসুমি ফল নয়, সারা বছরই চাষ করা যায়। এ অঞ্চলের মাটিতে তরমুজ খুব সুমিষ্ট হয়। বোপনের ৪০ দিনের মাথায় ফুল আসে, আর ফুল থেকে পরিপুষ্ট তরমুজ হতে সময় লাগে ৩০ থেকে ৩৫ দিন। গাছের গোড়ায় পানি জমে থাকলে গাছে পচন ধরতে পারে এমন শঙ্কার কথা জানিয়ে তিনি একটু উঁচু জমিতে তরমুজটি চাষের পরামর্শ দিয়েছেন।