মুরগির খামারকে লাভজনক করতে হলে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে মুরগি পালন করা জরুরি

আমাদের দেশের প্রান্তিক পর্যায়ে খামারিদের নিকট সোনালী মুরগি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। মুরগির খামারকে লাভজনক করতে হলে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে মুরগি পালন করা জরুরী। এসব বিষয় বিবেচনায় রেখে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের উৎসাহী সোনালী মুরগির খামারীদের নিয়ে আজ (১০ ফ্রেব্রুয়ারী), কেন্দ্রীয় মুরগি খামার, মিরপুরে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হলো এক প্রশিক্ষণ কর্মশালা।

দিনব্যাপী আয়োজিত “বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে মুরগি পালন” শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালাটির উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় মুরগি খামারের উপপরিচালক ডা: অজিত কুমার সরকার। করোনা পরিস্থিতির জন্য সংক্ষিপ্ত পরিসরে এ আয়োজনটি করা হয় এবং এখানে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে প্রান্তিক খামারীগন অংশগ্রহন করেন। এ কর্মশালার উদ্দেশ্য ছিল খামারিদের সচেতন করে গড়ে তোলা যেন তারা উন্নত জীবনিরাপত্তা ব্যবস্থার মাধ্যমে বার্ডফ্লু সহ বিভিন্ন ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ থেকে তাদের মুরগিগুলোকে বক্ষা করতে পারেন। এছাড়া তারা খাদ্য এবং শীতকালীন ব্রুডিং ব্যবস্থাপনা নিয়েও আলোচনা করেন। ট্রেনিং শেষে খামারিদের মাঝে তারা সোনালী মুরগির একদিন বয়সের প্যারেন্ট বাচ্চা বিতরণ করেন (অর্থাৎ সোনালীর Female মিশরীয় ফাউমি এবং Male আমেরিকান আরআইআর এর  বাচ্চা )।

 



মুরাদনগর কুমিল্লা, মোহনগঞ্জ নেত্রকোনা, ঘোড়াশাল নরসিংদী, সালথা ফরিদপুর, তিতপল্লা জামালপুর, জালকুড়ি নারায়নগঞ্জ, লৌহজং মুন্সিগঞ্জ, হেমায়েতপুর সাভার, নবাবগঞ্জ এবং মিরপুর ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে খামারিদের মাঝে মুরগির বাচ্চা দেয়া হয়। এখান থেকে বিশুদ্ধ জাতের ফাউমি এবং আরআরআই বাচ্চা পালন করে খামারিরা বেশ লাভবান হচ্ছেন বলে জানান এখানে বাচ্চা উৎপাদনের সাথে সম্পৃক্ত পোল্ট্রি জেনেটিসিস্ট ড: বিবেক চন্দ্র রায়। তিনি বলেন সারা বৎসর সরকার নির্ধারিত মূল্যে বাচ্চা বিক্রি হয় বিধায় খামারিরা প্রতারিত হয় না। বর্তমানে ফ্রেব্রুয়ারী থেকে অক্টোবর পর্যন্ত একদিন বয়সের প্রতিটি বাচ্চার মূল্য ১২/- এবং নভেম্বর থেকে জানুয়ারী পর্যন্ত ১০/-। তিনি আরও বলেন নির্দিষ্ট মূল্যে উচ্চগুণ সম্পন্ন বাচ্চা দেয়া হয় বিধায় খামারিদের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন। সোনালী নামক শংকর জাত উৎপাদনের জন্য বিশুদ্ধ ফাউমি এবং আরআরআই এর বাচ্চাগুলোর চাহিদা আকাশচুম্বী।

প্রশিক্ষণ কর্মসূচীতে আরো উপস্থিত ছিলেন ফরিদা ইয়াছমিন, পোল্ট্রি নিউট্রিশনিষ্ট, জনাব মো: রফিকুল ইসলাম, পোল্ট্রি এক্সটেনশন অফিসার, জনাব ডা: সাইফুল আলম, সহকারি পরিচালক, জনাব ডা: দীন মোহাম্মদ, সহকারি পরিচালক এবং অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।