বরিশালে পান-সুপারি ও ডাল ফসলের পোকা দমনের ওপর কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

নাহিদ বিন রফিক(বরিশাল): নিরাপদ পান, সুপারি ও ডাল ফসলের পোকামাকড় দমনের ওপর দিনব্যাপী কৃষক প্রশিক্ষণ ২৫ জানুয়ারি বরিশালের আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের হলরুমে অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে চাষকৃত গুরুত্বপূর্ণ ফল, পান, সুপারি ও ডাল ফসলের পোকামাকড় সনাক্তকরণ ও সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে নিরাপদ ফসল উৎপাদন প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও বিস্তার কর্মসূচি আয়োজনে এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ডাল গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার।

তিনি বলেন, বারির বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত জৈব বালাইনাশক প্রযুক্তি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে দক্ষিণাঞ্চলের কৃষকের কাছে পৌঁছাতে হবে । আর তা বাস্তবায়ন হলে সরকারের চাহিদা অনুযায়ী নিরাপদ ফসল উৎপাদন সম্ভব। ফলে সুবিধাভোগী কৃষকগণ উপকৃত হবেন।

আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের (আরএআরএস) মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা  মো. রফি উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে  বিশেষ অতিথি ছিলেন জয়দেবপুরের ডাল গবেষণা উপকেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা  ড. মো. ওমর আলী এবং ভাসমান কৃষি প্রকল্পের পরচিালক ড. মো. মোস্তাফজিুর রহমান তালুকদার।

বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা  মো. রাশেদুল ইসলামের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আরএআরএ’র  প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা  ড. মো. গোলাম কিবরিয়া, পিএসও ড. মো.  আলিমুর রহমান, কৃষক মো. ফারুক হাওলাদার, শ্যামল ব্যানার্জী প্রমুখ। প্রশিক্ষণে বিস্তারিত আলোচনা করেন আয়োজক প্রতিষ্ঠানের কর্মসূচি পরিচালক ড. মো. মাহবুবুর রহমান।

পরে প্রধান অতিথি কৃষক ও কর্মকর্তাদের নিয়ে আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের নিরাপদ পান উৎপাদনের গবেষণামাঠ পরিদর্শন করেন। গবেষণা কার্যক্রম দেখে  তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন। কৃষক মো. ফারুক হাওলাদার জানান, তিনি পানবরজে জৈব বালাইনাশক ব্যবহার করে বেশ উপকার পেয়েছেনে। তার দেখাদেখি এলাকার অনেক চাষি বিষাক্ত রাসায়নিক কীটনাশকের পরিবর্তে এ ধরনের নিরাপদ জৈব বালাইনাশক প্রয়োগে উৎসাহিত হচ্ছেন। প্রশিক্ষণে বরিশাল ও ঝালকাঠি জেলার ৩০ জন পানচাষি অংশগ্রহণ করেন।