সোনালী অতীতে ফিরে যাওয়ার একটি বর্ণিল দিনে বাকৃবি-১৯৮০-৮১ সেশনের বন্ধুরা

Category: সমসাময়িক Written by agrilife24

আবুল বাশার মিরাজ:১৯৮১ সালের গ্রীষ্মের মে মাসের কোন এক সময় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সবুজ চত্বরে তাদের মিলন ঘটেছিল। বয়সের ভারে শরীরে ক্লান্তির ছাপ পড়লেও মনটা কিন্তু রয়েছে সেই রকম সবুজ। শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার পেলাইদ-এ মাটির মায়া রিসোর্টটি বাকৃবি ১৯৮০-৮১ ব্যাচ-এর কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে উঠেছিল।

পুরাতন বন্ধুদের কাছে পেয়ে আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে উঠলেন সবাই। বাঁধভাঙ্গা আনন্দে ভাসেন চিরচেনা বন্ধুদের কাছে পেয়ে। দিনটা সবার জন্যই ছিল একটি আনন্দের দিন। বন্ধুবান্ধব সবাই একসঙ্গে আনন্দফূর্তি করে কাটিয়ে দিলেন সারাদিন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৮০-৮১ সেশনের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। ওই সেশনের ৬ টি অনুষদের প্রায় ৪ শতাধিক বন্ধু তাদেে পরিবার নিয়ে হাজির হয়েছিলেন এ মিলনমেলায়।  স্মৃতিচারণ, খেলাধূলা, ফটোশেসনসহ বিভিন্ন আনন্দ আয়োজনে কেটে যায় তাদের একটি দিন।

দীর্ঘদিন পর আবারো পুরনো বন্ধুদের সাথে দেখা হয়ে খুব ভালো লাগছে। কর্মব্যস্ত জীবনে এসে সেই পুরনো বন্ধুদের সাথে গল্পগুজব, আড্ডা সত্যিই চিরদিন মনে খাকবে । বন্ধু পুনর্মিলনীতে এসে কথাগুলো বলছিলেন ৮০-৮১ সেশনের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি)-এর এনিম্যাল হাজবেন্ড্রির সাবেক শিক্ষার্থি ও এজি এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কৃষিবিদ লুৎফর রহমান।

উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জনাব বেনজীর আলম, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মঞ্জুর মোঃ শাহজাদা সহ বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের উর্ধতন কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, বিভিন্ন কোম্পানিতে কর্মরত নির্বাহিরা তাদের পরিবারবর্গ সহ  যোগ দিয়েছিলেন এই পুনর্মিলনীতে।



তাদের অনেকের মুখে শোনা গেল এক অন্যরকম অনুভূতি। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের স্মৃতিচারণ করে তারা বলেন, বয়স যতই বাড়ুক, বিশ্ববিদ্যালয়ের কাটানো দিনগুলো কেনদিন ভুলতে পারবো না। বন্ধুদের কাছে পাওয়ার অনুভূতিটা একেবারেই অন্যরকম। তাদের দেখে বার বার মনে পড়ছে ক্যাম্পাসে কাটানো স্মৃতিকাতর দিনগুলোর কথা। কাজের তাগিদে অনেক বন্ধুর সাথে দেখা হত কিন্তু এমন অনেক বন্ধুই ছিল যাদের সাথে অনেক বছর পর প্রথমবারের মধ্যে দেখা হলো। তাদের দেখে কি যে ভালো লাগছে, সে অনুভূতি বোঝাতে পারবো না।

অনেকে বলেন, বন্ধুরা তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে এসেছে। তাদেরকে দেখে আরো বেশি ভালো লাগছে। আমাদের কৃষিবিদ কমিউনিটি বড় হচ্ছে এটা আমাদের জন্যই আর্শীবাদ। এ প্রজন্মই তাদেরকে বাঁচিয়ে রাখবে বলে আমাদের বিশ্বাস।



দীর্ঘদিন পর  বন্ধুদের সাথে মিলিত হয়ে মনে হচ্ছে ফিরে গেছি ৪২ বছর আগের সেই সোনালি দিনগুলিতে। এই অনুভুতি ভাষায় প্রকাশ করার নয়, এ যেন শুধুই অনুভব করার বিষয়। এতদিন পর বন্ধুদের সাথে মিলতে পারাটা কত যে আনন্দেও সেটা কাউকে বলে বোঝানো যাবে না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের দিনগুলোর কথা মনে করে তারা বলেন আগে যেমন সবার মধ্যে হৃদতাপূর্ন সম্পর্ক ছিল, এখনো সে সম্পর্ক বিরাজমান।