খালে বর্জ্য নিক্ষেপকারীদেরকে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে-ডিএনসিসি মেয়র

Category: সমসাময়িক Written by agrilife24

এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম:ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন-ডিএনসিসি মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেছেন, খালে বর্জ্য নিক্ষেপকারীদেরকে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আজ ২৩শে অক্টোবর, ২০২১ খ্রিস্টাব্দ তারিখ রোজ- শনিবার সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় "দশটায় দশ মিনিট প্রতি শনিবার, নিজ নিজ বাসাবাড়ি করি পরিষ্কার" স্লোগান বাস্তবায়ন এবং রামচন্দ্রপুর খাল পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সরেজমিনে পরিদর্শনকালে তিনি একথা বলেন।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, খালটির দুই পাড়ের বেশ কয়েকটি ভবন পরিদর্শনকালে সেগুলোর কোনটিতেই সেপটিক ট্যাংক কিংবা সোক ওয়েল খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাই সেপটিক ট্যাংকবিহীন ভবনগুলোতে আগামী ৬ মাসের মধ্যে কার্যকর সেপটিক ট্যাংক নিশ্চিত করতে না পারলে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেন, অপরিকল্পিত ঢাকার অধিকাংশ ভবনেই কার্যকর সেপটিক ট্যাংক ও সোক ওয়েল না থাকায় অপরিশোধিত পয়ঃবর্জ্য সরাসরি ড্রেন কিংবা খালে পতিত হওয়ায় জলাশয়ের পানিসহ সার্বিক পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। তিনি বলেন, খাল কোন ডাস্টবিন নয়, ময়লা-আবর্জনা, বর্জ্য নিক্ষেপের স্থান‌ও নয়, এটি জলাধার। তাই কোন সচেতন নাগরিক খাল কিংবা অন্য কোন জলাশয়ে বর্জ্য নিক্ষেপ করতে পারে না।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, নগরীর বাসাবাড়িগুলোতে আধুনিক সেপটিক ট্যাংক ও সোক ওয়েল স্থাপন করতে হবে এবং পরিশোধন ব্যবস্থা সচল রাখতে হবে। তিনি বলেন, ডেভলাপার কোম্পানীগুলোকেও বিল্ডিং ডেভলাপ করার পাশাপাশি বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য‌ও কার্যকর ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যেই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহযোগীতায় ডিএনসিসি এলাকায় খালগুলোর সীমানা নির্ধারণ করা হবে। অবৈধভাবে খাল দখল করে যেসব স্থাপনা নির্মিত হয়েছে সেগুলো ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেয়া হবে, বিনা নোটিশেই অবৈধ দখলদারদেরকে উচ্ছেদ করা হবে বলেন তিনি।
 
মোঃ আতিকুল ইসলাম এর উপস্থিতিতেই মোহাম্মদপুর এলাকায় মোহাম্মদীয়া হাউজিং লিমিটেডের ৩ নম্বর রোডে রাস্তা দখল করে অবৈধভাবে নির্মিত নকশা বহির্ভূত ভবনের অংশবিশেষ বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়ে রাস্তা থেকে উচ্ছেদ করা হয়। তিনি আরও বলেন, সবাই মিলে সবার ঢাকাকে দখল ও  দূষণমুক্ত করে সবার বাসযোগ্য সুস্থ, সচল ও আধুনিক ঢাকায় পরিণত করতে হবে।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সেলিম রেজা, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমোডোর এস. এম. শরীফ উল ইসলাম, স্থানীয় কাউন্সিলর আসিফ আহমেদ এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।