বিএলআরআই'তে শেখ রাসেল দিবস পালিত

Category: সমসাময়িক Written by agrilife24

সমসাময়িক ডেস্ক:"শেখ রাসেলঃ দীপ্ত জয়োল্লাস, অদম্য আত্মবিশ্বাস" প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে যথাযোগ্য মর্যাদার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই)-এ পালিত হলো শেখ রাসেল দিবস। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র এবং প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কনিষ্ঠ ভ্রাতা শহীদ শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষ্যে এবারই প্রথম জাতীয় দিবস হিসেবে দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে দিবসটি।

সকাল সাড়ে ৯.৩০ ঘটিকায় বিএলআরআই-এর প্রশাসনিক ভবনের সামনে অস্থায়ী বেদিতে স্থাপিত শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে দিবসটি উদযাপনের কার্যক্রম শুরু হয়। ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মোঃ আবদুল জলিল-এর নেতৃত্বে বিএলআরআই-এর সর্বস্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ এসময় শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

এরপর সকাল ১০.০০ ঘটিকায় বিএলআরআই-এর চতুর্থ তলার সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত হয় আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহাপরিচালক ড. মোঃ আবদুল জলিল। অনুষ্ঠানটিতে সভাপতিত্ব ও সঞ্চালনা করেন ইনস্টিটিউটের অতিরিক্ত পরিচালক জনাব মোঃ আজহারুল আমিন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহাপরিচালক বলেন, শেখ রাসেলের মধ্যে ছোটবেলা থেকেই ছিলো নেতৃত্ব প্রদানের অসাধারণ গুণ। তিনি বেঁচে থাকলে তাঁর সেই গুণাবলী আরও বিকশিত হতো এবং দেশ একজন শক্তিশালী ও সমৃদ্ধ নেতা পেতাম। তিনি এসময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে শেখ রাসেলের হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্কের কথাও স্মরণ করেন। একই সাথে তিনি কর্মকর্তা-কর্মচারীগণকে উদ্দেশ্য করে বলেন, বাঙালি হিসেবে সব সময় আমাদের সবাইকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করতে হবে, যার যার জায়গা থেকে দেশের উন্নয়নের জন্য নিজ নিজ ভূমিকা সুষ্ঠুভাবে পালন করে যেতে হবে। নিজেদের মধ্যে সামষ্টিক ঐক্য ধরে রেখে আমাদের নেতিবাচক প্রতিযোগিতার প্রবণতা পরিহার করতে হবে। কেবলমাত্র অর্থনৈতিকভাবে নয়, মানবতার উন্নয়ন ঘটাতে হবে, মানবিকভাবে আমাদের উন্নত হতে হবে। তাহলেই জাতীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিএলআরআই নিরাপদ প্রাণিজ আমিষ পূরণে জাতির জন্য ভূমিকা রাখতে পারবে।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ইনস্টিটিউটের বিভিন্ন স্তরের কর্মচারী, কর্মকর্তা ও বিজ্ঞানীগণ। এসময় বক্তারা তাদের বক্তব্যে শেখ রাসেলের জীবনের নানা ঘটনাপ্রবাহ তুলে ধরার সাথে সাথে বর্তমান সময়ে শেখ রাসেল দিবস আয়োজনের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন। শেখ রাসেলসহ জাতির পিতার পরিবারের সকল সদস্যকে হত্যার ঘটনা স্মরণ করে এসময় বক্তারা বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের বিচার নিশ্চিত করার পাশাপাশি প্রতিহিংসার ঘৃণ্য রাজনীতি পরিহার করার আহ্বান জানান। একই সাথে বক্তারা বঙ্গবন্ধু পরিবারের নিহত সকল সদস্যের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং জীবিত সদস্যদের দীর্ঘায়ু কামনা করেন। বক্তারা এসময় সকল শিশুর জন্য নিরাপদ ভবিষ্যত নিশ্চিত করার দাবি করেন এবং সকল সুবিধা বঞ্চিত শিশুর পুনর্বাসনের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দায়িত্বশীলদের অনুরোধ জানান।

আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সকল সদস্যের এবং সকল শহীদের স্মরণে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পাঠ করেন বিএলআরআই-এর কেন্দ্রীয় মসজিদের পেশ ইমাম।