ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের সহযোগিতায় শ্রমিকদের খাদ্য সহায়তায় আম সংযুক্ত করলো ঝিনাইদহ জেলা কৃষি বিভাগ

Category: সমসাময়িক Written by agrilife24

এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম:দেশে বিদ্যমান করোনার পরিস্থিতিতে সরকার খেটে খাওয়া দিনমজুরশ্রমিকদের মধ্যে খাদ্য সহায়তা প্রদান করছে। খাদ্য গ্রহণের মূল উদ্দেশ্য হলো সুস্থ, সবল ও কার্যক্ষম হয়ে বেঁচে থাকা। যে কোনো খাবার খেয়ে পেট ভরানো যায় কিন্তু তাতে দেহের চাহিদা মিটিয়ে সুস্থ থাকা যায় না। কাজেই প্রকৃত খাদ্য ও পুষ্টির জন্য নানা ধরনের ফল-সবজি অতি প্রয়োজনীয় খাদ্য। দেহের ক্ষয় পূরণ, পুষ্টি সাধন এবং দেহকে সুস্থ ও নিরোগ রাখার জন্য এসব গ্রহন অপরিহার্য।

দেশে এখন আমের ভরা মৌসুম চলছে কিন্তু করোনার কারণে বাগানে উৎপাদিত আম সঠিক মূল্যে বিপণন করা সম্ভব হচ্ছে না। শাট ডাউনের কারণে দেশের বিভিন্ন জায়গায় উৎপাদিত আমগুলো নিয়ে বিপাকে পড়েছে বাগানীরা। বিগত কয়েক বছরে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বাণিজ্যিক ভাবে গড়ে উঠেছে আমের বাগান। এছাড়া অনেকের পারিবারিক বসতবাড়িতে আমের দু-চারটি আমের গাছ থেকে বাড়তি আয়-রোজগার করে থাকেন তবে ক্ষুদ্র পরিসরে হলেও এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ঝিনাইদহ কৃষি বিভাগ।

গত ২৯ জুন ৫০০ খেটে খাওয়া শ্রমিকদের জন্য খাদ্য সহায়তা দিয়েছে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক। ঝিনাইদহ ষ্টেডিয়ামে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক জনাব মোঃ মজিবর রহমান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ঝিনাইদহ জেলার উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ আজগর আলীর সুপারিশের আলোকে খাদ্য সহায়তায় আম সংযুক্ত করেন। প্রায় ৫০০ শ্রমিকদের মাঝে চাউল-নগদ টাকার পাশাপাশি খাদ্য সহায়তার অংশ হিসেবে প্রতিজনকে পাঁচ কেজি করে আম প্রদান করেছেন ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক।

কৃষিবিদ মোঃ আজগর আলী এগ্রিলাইফ২৪ ডটকমকে জানান, এ কার্যক্রমে মোট ৩২০০ কেজি আম প্রতি কেজি আম ৩০ টাকা দরে বাগানীদের কাছ থেকে ক্রয় করা হয়েছিল যা ৫০০ শ্রমিকদের মাঝে খাদ্য সহায়তা বিতরণ করা হয়। তাদের সাথে পরামর্শ ক্রমে কোভিড-১৯ মহামারীর সময়ে ঝিনাইদহ জেলার খেটে খাওয়াশ্রমিকদের আম সংযুক্ত করায় একদিকে যেমন ঝিনাইদহ জেলার আম চাষী ভাইদের উৎপাদিত আম কিছুটা হলেও বিক্রি হলো অন্যদিকে খাদ্যের ভিতরে পুষ্টিকর খাদ্যের সমাবেশ ঘটলো। এজন্য জেলা প্রশাসক জনাব মোঃ মজিবর রহমানকে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ঝিনাইদহ জেলার উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ আজগর আলী আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।

কৃষিবিদ মোঃ আজগর আলী বলেন, কৃষিমন্ত্রী মহোদয়ের কথা অনুযায়ী নিরাপদ ও পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবারের সংস্থানে কৃষি বিভাগ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সে লক্ষে ঝিনাইদহ কৃষি বিভাগ তাদের কর্তব্য পালনে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।

দেশের সচেতন মহল মনে করেন, খাদ্য সহায়তা হিসেবে চাল-ডালের পাশাপাশি ফলমূল পুষ্টির যোগান দিতে সহায়ক হবে। বিশেষ করে এই কোভিডের সময় ঝিনাইদহ জেলার আম চাষীগন তাদের উৎপাদিত আম বাজারজাতকরনের সামান্য সুযোগ পেয়ে কিছুটা হলেও স্বস্থি পেয়েছে। দেশের সকল প্রান্তের কৃষি বিভাগ এমন উদ্যোগ নিলে বিক্রেতা-ভোক্তা উভয়েই উপকৃত হবে এমনটাই মনে করেন সমাজ সচেতন নাগরিকবৃন্দ। তারা ঝিনাইদহ কৃষি বিভাগ-এর এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান। কৃষিই হোক সমৃদ্ধির সোপান।