স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী-মুক্তির প্রতিজ্ঞায় উদ্দীপ্ত হওয়ার ইতিহাস

এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম:২৬ মার্চ, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরের যোগ্যতা অর্জনকারী বাংলাদেশ জননত্রেী শখে হাসনিার দক্ষ নেতুত্বে করোনা মহামারি অত্যন্ত কৌশলরে সাথে মোকাবিলা করে মুজিববর্ষে পালন করছে মহান স্বাধীনতার সুর্বণ জয়ন্তী ও জাতীয় দিবস। ১৯৭১ সালের এ দিনেই স্বাধীন অস্তিত্ব নিয়ে রক্তাক্ত বাংলাদেশের পথ চলা শুরু। এর আগে ৭ মার্চেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম” ভাষণে অনুপ্রাণিত হয়েই আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা-সকল বাঙালী ঝাঁপিয়ে পড়েছিল মুক্তিযুদ্ধে, ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তুলেছিল। রাইফেল হাতে ছুটেছিল এদেশের দামাল ছেলেরা।

পাকিস্তানিরা যখন বাঙালীদের নতুন করে শোষণ ও পরাধীনতার শৃঙ্খলে বেঁধে রাখার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, ঠিক তখনই শতাব্দীর মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালী জাতিকে মুক্তির মহামন্ত্রে উজ্জীবিত করে ধাপে ধাপে এগিয়ে নিয়ে গেছেন স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের অভীষ্ট লক্ষ্যে। পাকিস্তানি শাসনামলে দীর্ঘ ১৩ বছরেরও বেশী সময় কারাগারের অভ্যন্তরে থাকা, বারবার ফাঁসি কাষ্ঠের মুখোমুখি, অসংখ্য মিথ্যা মামলায় কারাবরণ করার পরও এ দেশের স্বাধিকার আন্দোলনে নেতেৃত্ব দিয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাঁর অপরিসীম সাহস, দৃঢ়চেতা মনোভাব ও আপসহীন নতেৃত্ব পরাধীন বাঙালী জাতিকে সংগ্রামী হওয়ার প্রেরণা জুগিয়েছিল। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দেওয়া তাঁর বক্তব্য বাঙালীদের ইস্পাতকঠিন ঐক্য গড়ে তুলে স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে মরণপণ সশস্ত্রযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে শক্তি ও সাহস জুগিয়েছিল।

একাত্তরের ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। গ্রেপ্তারের আগে বাংলার অবিসংবাদিত এই নেতা শত্রু সেনাদের বিতাড়িত করার জন্য শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়াই করতে দেশবাসীকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, “এটাই হয়তো আমার শেষ বার্তা। আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন”। সেই থেকেই শুরু-এরপর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নির্বিচার হত্যা, ধ্বংস ও পৈশাচিকতার বিরুদ্ধে টানা ৯ মাসের মরণপণ লড়াইয়ে ৩০ লাখ শহীদের আত্মদান ও ২ লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে ১৬ ডিসেম্বর উদয় ঘটে স্বাধীন র্সাবভৌম বাংলাদশেরে।

লাখো প্রাণের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতাকে আরো র্অথবহ  করতে দল-মত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। সকল বিভেদ-বিচ্ছেদ, হানাহানি-সংঘাত ভুলে এবং সংকীর্ণ স্বার্থচিন্তা জলাঞ্জলি দিয়ে জননত্রেী শখে হাসনিার নতেৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ায় ব্রতী হবো-এটাই হোক মুজিববর্ষের প্রাক্কালে স্বাধীনতার সুর্বণ জয়ন্তীতে আমাদের দৃঢ় অঙ্গীকার।