মানসম্পন্ন পণ্য সরবরাহের মাধ্যমে দেশের প্রতিটি প্রান্তে এজি এগ্রো এখন জনপ্রিয় একটি নাম-শহিদুল আহসান

এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম:মানসম্পন্ন পণ্য সরবরাহের মাধ্যমে দেশের প্রতিটি প্রান্তে এজি এগ্রো এখন জনপ্রিয় একটি নাম। অত্যাধুনিক মেশিনারিজ, বিশ্বের সেরা প্রযুক্তি, সর্বাধুনিক মানের ল্যাব, উন্নতমানের কাঁচামাল দিয়ে তৈরী ফিড এসবের সমন্বয়ে এজি এগ্রো এখন প্রতিষ্ঠিত একটি কোম্পানী। "খামারির হাসি আমাদের খুশি" কৃষিভিত্তিক বাংলাদেশে কৃষকের হাসি দেখতেই এজি এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড-এর এসব কার্যক্রম।

৯ মার্চ রোজ মঙ্গলবার গাজিপুরের রাজেন্দ্রপুরে অবস্থিত ভাওয়াল ন্যাশনাল পার্কের প্রাকৃতিক পরিবেশে সবুজের ছোয়ায় আনন্দঘন পরিবেশে দিনব্যাপি এজি এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড আয়োজিত এক আঞ্চলিক পরিবেশক সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে এমন অনুভূতি প্রকাশ করলেন এজি এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ও আহসান গ্রুপ-এর চেয়ারম্যান জনাব শহিদুল আহসান। ডিলারবৃন্দের আগ্রহের ভিত্তিতে কতৃপক্ষ যান্ত্রিক পরিবেশ ছেড়ে মনোরম ও প্রাকৃতিক পরিবেশে এ আয়োজন করা হয়।

জনাব শহিদুল আহসান বলেন, এজি এগ্রো এখন খামারীদের কাছে বিশ্বস্থ  একটি কোম্পানি। এজন্য পরিবেশকদের অবদান অনস্বীকার্য। আগামীতে পরিবেশকদের সাথে নিয়ে এজি এগ্রো দেশের খামারীদের কল্যানে আরো এগিয়ে যাবে এমনটাই কামনা করেন জনাব শহীদুল আহসান। করোনাকালে শত প্রতিকূলতার মাঝেও তারা ফিড এবং চিকস্ এর মান অক্ষুণ্ণ রেখেছেন। পরিবেশকদের কাছে তার প্রত্যাশা, ফিড এবং চিকস তৃণমূলের খামারীদের নিকট পৌছে দিতে তারা সক্রিয় ভূমিকা পালন করবেন। তিনি আগত সকল পরিবেশকদের সকলের সুস্বাস্থ্য এবং দীর্ঘায়ু কামনা করেন।

সম্মেলনে প্রধান অতিথি ডিবিসি নিউজ-এর চেয়ারম্যান ও দ্য ডেইলি অবজারভার-এর সম্পাদক জনাব ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, আধুনিক ও যুগোপযোগী প্রযুক্তি ব্যবহার করে এজি এগ্রো বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে তাদের ইন্ডাস্ট্রি পরিচালনা করছে। যার ফলে তাদের পণ্যের মান সবসময় আন্তর্জাতিক পর্যায়ের হয়। এজি এগ্রো ইন্ডাস্ট্রির সবচেয়ে বড় একটি অবদান হলো তারা তৃণমুল পর্যায়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টির সুযোগ করে দিচ্ছে। বাংলাদেশের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে এটি ব্যাপক গুরুত্ব বহণ করে বলেন ইকবাল সোবহান চৌধুরী।

বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত পরিবেশকবৃন্দ, সম্মানিত অতিথিবৃন্দ ও উপস্থিত সুধীজনদের শুভেচ্ছা জানানোর মধ্যে দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠানটির। শুভেচ্ছা বক্তব্যে এজি এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড-এর সিইও কৃষিবিদ মোঃ লুৎফর রহমান জানান- বর্তমান পরিস্থিতি কোভিড পরিস্থিতিকে সামনে রেখে তারা বিগত বছরগুলোতে যেখানে কেন্দ্রীয়ভাবে পরিবেশক সম্মেলন করেছেন তবে এই বছর তারা তা ৫টি অঞ্চলে ভাগ করে এই পরিবেশক সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছে। আজকের এই সম্মেলনে উপস্থিত হয়েছেন মানিকগঞ্জ, গাজীপুর, নরসিংদী, শেরপুর, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল জেলার বিভিন্ন এলাকার সম্মানিত ডিলার এবং খামারীবৃন্দ।

কৃষিবিদ মোঃ লুৎফর রহমান বলেন, পোল্ট্রি শিল্প তার নিজস্ব গতিতে এগিয়ে চলেছে। করোনার মধ্যেও খামারী, পরিবেশক, শিল্পোদ্যোক্তা নানা ঘাত প্রতিঘাত পেরিয়ে এই সেক্টরটিকে এগিয়ে নিতে অবদান রেখেছে। এজি এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ তার মধ্যে অন্যতম। মানুষের দৈনন্দিন খাদ্যাভাসে পরিবর্তন হয়েছে, ভোক্তাদের মাঝে  ব্রয়লার এবং ডিম গ্রহনের হার বেড়েছে। ফলে দেশের মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে, যা কোভিড প্রতিরোধে সক্রিয় ভূমিকা রাখছে। এই সবকিছুই প্রানীসম্পদের অবদান এবং এজি এগ্রো তার অন্যতম অংশীদার। বিশেষ করে ভোক্তাদের মাঝে গ্রীন চিকেনের একটা ধারনা নিয়ে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। এজি ব্রান্ডের পন্যগুলো বিদেশের মাটিতে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হচ্ছে জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে গাজীপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এস এম উকিল উদ্দিন বলেন, দুধ, ডিম এবং মাংসের গুনাগুন ভোক্তাদের মাঝে তুলে ধরতে হলে এর ব্যাপক প্রচারণা প্রয়োজন। এজন্য সরকারী বেসরকারী উভয়কে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি কোম্পানীর উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করেন। সম্মেলনে আরো বক্তব্য প্রদান করেন ডা. মুহাম্মদ সেলিমুল্লাহ, উপজেলা প্রানীসম্পদ অফিসার গাজিপুর, শ্রীপুর উপজেলা প্রানীসম্পদ অফিসার ডা. রোকনুজ্জামান পলাশ, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহি পরিচালক ও আহসান গ্রুপ এর ফিনান্সিয়াল এডভাইজার জনাব মোঃ আব্দুর রহিম প্রমুখ।



পরিবেশকগণ বলেন, A1 নামের সাথে গুনগত মানে ফিড ও চিকস্ ১ নং থাকবে এটাই প্রত্যাশা তাদের। ফিড এবং চিকসের ব্যাপারে এজি এগ্রো কখনো আপোষ করেনি এবং আগামীতেও করবে না বলে আশা রাখেন পরিবেশকবৃন্দ। এজন্য এজি এগ্রো পরিবারের সদস্য হিসেবে পরিবেশকগণ অনেক গর্বিত বলে মত প্রকাশ করেন। কর্তৃপক্ষ এবং পরিবেশকদের সাথে কথা বলে জানা যায় এমন আয়োজনের মাধ্যমে তাদের মধ্যে সম্পৃতির বন্ধন সৃষ্টি হয় এবং পরিবেশক ও খামারীবৃন্দ উদ্বুদ্ধ হয়।

মধ্যাহ্নভোজের পর ছিল মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক আয়োজন যেখানে পরিবেশকবৃন্দ কিছুটা সময়ের জন্য আনন্দে আত্মহারা হয়ে যান।