তসলিম রেজা:বড় ভাইয়ের সাথে তায়েফ শহর দেখার পর জেদ্দায় এলাম। পথে বাংগালী অধ্যুসিত এক বাজারে ভাই নিজ দাড়িয়ে থেকে কয়েকটি দেশী মুরগী হালাল জবাই করে কিনলেন ও অজস্র সবজি দেখালেন ও কিনলেন। শত শত বাংগালী ও তাদের পিচ্চি ছেলেরা রাতে বাজারে ঘিচিমিচি করছে দেখে আমার মনে হলো আমি ঢাকায় আমাদের মিরপুরের কোন একটা বাজারে আছি।
জেদ্দা শহর হলো সৌদি আরবের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর। শহরটি লোহিত সাগরের পাড়ে অবস্থিত বিশাল সমুদ্র বন্দর অবস্থিত। বড় ভাই মেরিন একাডেমীর ছাত্র আর চাকরীও জাহাজ আর সাগরকেন্দ্রিক। ভাই সাগরপাড়ে পথে দোকান হতে খাবারসহ নিয়ে এলেন, সাগরের পাড়ে বসে নয়নাভিরাম দৃশ্য আর সুন্দর সুন্দর মসজিদ দেখলাম, সৌদি রাজপ্রাসাদও দেখা যায়। ভাইয়ের অফিসের কালচার, বাংলাদেশ হতে আপন লোকেরা এলে দাওয়াত খাওয়ায়, সেই রেওয়াজের জেরে দুজন কলিগ দু-রাত্র আমাদের দাওয়াত দিয়ে তাদের বাসায় খাওয়ালো। সব কিছুর মধ্য নামাজ অবশ্যই মসজিদে এবং বউ ভাবী বাচ্চারাসহ আদায় হচ্ছে। সৌদিতে সবখানেই, মসজিদে মেয়েদের ওজু ও নামাজের খুবই সুন্দর ব্যবস্থা রয়েছে, যা বউকে চমৎকৃত করেছে।
আমাদের সফরের ৬ষ্ঠ দিনে জেদ্দা হতে বড় ভাই, ভাবীসহ আবার এহরাম বেঁধে মক্কায় ফিরে ২য় নফল ওমরাহ বড় ভাইয়ের নেতৃত্বে সমাপ্ত করলাম। রাতে মসজিদে জ্বীন, জান্নাতে মুআল্লা ভাই ঘুরে দেখাল আর পাকিস্তানি কাবাব পরাটা দিয়ে রাতের খাবার খাওয়ায়ে আমাদের হোটেলে রেখে রাত ১১.০০ ভাই ভাবী মক্কা হতে বিদায় নিলেন।
লেখাটি কয়েকদিনে ধীরে ধীরে লিখেছি, ধৈর্য ধরে পড়বেন আশাকরি। মহান রাব্বুল আলামিন আমাদের সকলকে মক্কা ও মদিনায় হজব্রত ও ওমরাহ পালনের তাওফিক দিন।-আমিন
--চলবে