তসলিম রেজা:আমাদের প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মাদ (সঃ) যখন মক্কার কোরাইশদের ইসলাম প্রচারে সহযোগিতা পাচ্ছিলেন না বরং চরম বিরোধীতার সম্মুখীন হন তখন কিছু সফর সংগীসহ গোপনে মক্কা হতে ৯০ কি.মি. দুরে তায়েফ শহরে গমন করেন কিন্ত ইতিহাস বলে, তায়েফ গোত্রের সর্দারগন নবীজি (সঃ)র দাওয়াত তো কবুল করেননি বরং কিছু বখাটে কিশোর ছেলেকে নবীজির পিছনে লেলিয়ে দেন, তারা পাথর মেরে নবীজি (সঃ) কে রক্তাক্ত করেন।
জানা যায়, নবীজি এতই রক্তাক্ত হোন যে, রক্তের কারনে জুতা খুলতে পারেননি আর আঘাতে জর্জরিত হয়ে বেহুশ হয়ে যান। আমার একটা ইচ্ছা ছিল, সৌদি এলে তায়েফ শহরটি দেখা। আরও একটা কারন ছিল, আমি আড়াই (২.৫) বছর আফগানিস্তানের কাবুল শহরে ছিলাম, কাবুল শহরটি ৬০০০ ফিট উচু শহর এবং প্রচন্ড ঠান্ডা আর তায়েফ শহরটিও ৬০০০ ফুট পাহাড়ের উপরে। ৫ শত খ্রীষ্টাব্দে কিভাবে নবীজি তায়েফ গেলেন, সেটাও একটু অনুভব করা। এখন অবশ্য আমার দেখা ইউরোপ আফ্রিকা ও এশিয়া সুন্দর শহরের মধ্য তায়েফ শহরটি অন্যতম। এখানের বিখ্যাত সাহাবী, বিশিষ্ট মোহাদ্দেস আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) মসজিদে নামাজ পড়ে পাশেই এক দোকানে বাংগালী এক ছেলের হাতে তৈরি বাংলাদেশের স্বাদে শর্মা (মুরগীর মাংস পরাটা) খেলাম, অবাক লাগলো, বাংগালীগন কোথায় এসে কাজ করছে। সারা শহর চক্কর মেরে, আসার সময় পথে ইহরাম বাধা যায়, মিকাহ স্থানে বিরতি নিয়ে, মক্কার বাইপাস রাস্তা দিয়ে সোজা জেদ্দা চলে এলাম।
লেখাটি কয়েকদিনে ধীরে ধীরে লিখেছি, ধৈর্য ধরে পড়বেন আশাকরি। মহান রাব্বুল আলামিন আমাদের সকলকে মক্কা ও মদিনায় হজব্রত ও ওমরাহ পালনের তাওফিক দিন।-আমিন
--চলবে