স্বাধীনতা পরবর্তী কৃষির উৎপাদনে বাংলাদেশের সাফল্য অনন্য। কৃষির উন্নয়নে জাতীয় কৃষিনীতি ২০১৮ তে সবচেয়ে চমকপ্রদ সংযোজন হচ্ছে ন্যানো প্রযুক্তি। জাতীয় কৃষিনীনিতে এ প্রযুক্তির অন্তভুক্তি, গবেষক, কৃষি বিজ্ঞানী ও কৃষিবিদদের কৌতূহলী ও উদ্বুদ্ধ করেছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে ন্যানো প্রযুক্তি কি, বাংলাদেশের কৃষিতে ন্যানো প্রযুক্তি ব্যবহারের সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ বিভিন্ন বিষয়ে এগ্রিলাইফ টুয়েন্টিফোর ডটকমের মুখোমুখি হয়েছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) কৃষি শক্তি ও যন্ত্র বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. এহসানুল কবীর।
আবুল বাশার মিরাজ, বাকৃবি:পুরনো সেচ ব্যবস্থাপনায় প্রকৃত চাহিদার তুলনায় দুই থেকে তিন গুণের বেশি পানি জমিতে প্রয়োগ করা হয়। যা পানি সম্পদের একটি ঢালাও অপচয়। সেচের পানি ক্রমেই দুষ্প্রাাপ্য হয়ে উঠলেও এদেশের প্রধান শস্য ধান উৎপাদন হচ্ছে একটি সেচ নির্ভর চাষ পদ্ধতি। এতে ক্রমশই নষ্ট হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য।
আবুল বাশার মিরাজ, বাকৃবি:বাংলাদেশে বছরে এক শতাংশ হারে কমছে কৃষিজমি। এটি চলতে থাকলে ভবিষ্যত কৃষি হুমকীর মধ্যে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ অবস্থায় জমির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে দরকার সমন্বিত কৃষি চাষ পদ্ধতির পাশাপাশি পরিবেশ বান্ধব কৃষি প্রকল্প মডেল ও আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি।
শেকৃবি প্রতিনিধিঃ এপিয়েসি গোত্রের উচ্চ ভেষজ গুণ সম্পন্ন মসলা জাতীয় ফসল “ডিল” বা সলুক যার বৈজ্ঞানিক নাম এনেথাম গ্রেভিউলেনস। এটি ইউরেসিয়ার বিভিন্ন দেশে ব্যাপকভাবে চাষ করা হয়। এর কচি পাতা, কান্ড কিউলিনারী হার্ব হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং বীজ বিভিন্ন খাবার তৈরিতে সুগন্ধী মসলা হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এর কচি পাতা, কান্ড বা বীজ থেকে সংগৃহীত তেল খাদ্য, পারফিউম, সাবান ও ভেষজ ইউনানি ওষুধ তৈরির শিল্পে ব্যবহৃত হয়।
খসরু মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন, সিকৃবি থেকে:সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের বিনা খরচে পড়াশুনা, স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের পাশাপাশি তাদের মেধা, মনন ও প্রতিভা বিকাশে কাজ করছে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন পাঠশালা ২১। ২০১২ সালে কৃষি অনুষদের পঞ্চম ব্যাচের একদল স্বপ্নবাজ তরুন-তরুনীর হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত হয় এই মহতি সংগঠনটি।
স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের জনসংখ্যা ছিল প্রায় সাড়ে ৭ কোটি। তখন প্রতি বছর দেশে ছিল প্রচন্ড খাদ্যাভাব। ক্ষুধা দুর্ভিক্ষে মারা যেত অসংখ্য মানুষ। বর্তমানে দেশের জনসংখ্যা প্রায় ১৮ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। বহুগুণে কমেছে আবাদী কৃষি জমির পরিমাণও। তারপরও বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণের কারণেই এসেছে কৃষির এত সাফল্য।