আবুল বাশার মিরাজ:বাসন্তী-লটকনটিয়া। এর ইংরেজি নাম Vernal Hanging Parrot এবং বৈজ্ঞানিক নাম Loriculus vernalis। এই পাখিটি Psittacidae পরিবারের সবচেয়ে ছোট সদস্য। তবে প্রায় বিলুপ্তির পথে হাঁটছে এ পাখিটি। বাংলাদেশে আগে সব জায়গায় দেখা গেলেও এখন আর তেমন দেখা যায় না।
এটি ছোট আকারের টিয়া। এদের ঠোঁট বেশ শক্তিশালী। এদের দেহটি অনেকটাই গোলগাল। ঠোঁটের আকার ছোট এবং সেটি পাশ থেকে চাপানো। ছোট আকৃতির কিছুটা গোলাকার লেজ রয়েছে তাদের। এটি আমাদের দেশের দুর্লভ আবাসিক পাখি হিসাবে পরিগণিত হচ্ছে।’, ‘বাসন্তী-লটকনটিয়া’ দৈর্ঘ্যে প্রায় ১৪ সেন্টিমিটার। এদের লাল ঠোঁট এবং সবুজ দেহের পালকগুলো ঔজ্জ্বল্য বেশি। যা দূর থেকে আকর্ষণ করে। এদের কোমরও লাল। পায়ের রঙ কমলা। পুরুষ পাখিটির গলার রং নীল। বিভিন্ন ধরনের রসালো ফল, ফুলের মিষ্টি রস, বন্য ডুমুরের নরম ফলত্বক প্রভৃতি এদের খাদ্যতালিকায় রয়েছে।
জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত এদের প্রজনন ঋতুর মৌসুম। তখন প্রকৃতিক গাছের গর্তে প্রায় ১ মিটার গভীরে ২-৪টি করে ডিম পাড়ে। ডিমগুলো চকচকে সাদা। তবে মাঝে মাঝে বাদামিও হয়ে থাকে। গাছের ডালে অল্প সময়ের জন্য ঝুলে থাকতে পছন্দ এরা। এ ক্ষেত্রে এরা ঠোঁট এবং পা-কে ব্যবহার করে থাকে।
-ছবি: তৌহিদ পারভেজ বিপ্লব