ইসলামিক ডেস্ক:মানবজীবনে সততার প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব অপরিসীম। সততায় খোদার সন্তুষ্টি এবং ধনসম্পদেও বরকত অর্জিত হয়। শুধু মুসলমান কেন বরং প্রত্যেক মানুষ এ গুণের অধিকারী হলে স্বস্ব কর্মক্ষেত্র,পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র সকলক্ষেত্রেই নেমে আসবে প্রশান্তির ছাঁয়া। মোট কথা আমাদের জীবনযাপনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সততা অবলম্বন করে চলা উচিত।
মহান আল্লাহ পাক কোরআনুল কারিমের বহু স্থানে সততা ও স্বচ্ছতা অবলম্বনকারী নারী-পুরুষের ফজিলত, আখেরাতে তাদের পুরস্কার এবং বিশেষকরে সৃষ্টিকর্তার কাছে তারা যে প্রিয় এ কথাগুলো আলোচনা করেছেন। কোরআন-হাদিস অধ্যয়নে এ কথা বুঝে আসে যে, সততা বিষয়টি অনেক ব্যাপক। সততা শুধুমাত্র সত্য কথা বলার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। বরং সত্য কথা বলার সাথে কাজ-কর্ম, আকিদা-বিশ্বাস সবগুলোতে সততা অন্তর্ভুক্ত।
এরশাদ হচ্ছে, আল্লাহ বলবেন, এই সেই দিন যেদিন সত্যবাদিগণ তাদের সত্যতার জন্য উপকৃত হবে, তাদের জন্য আছে জান্নাত যার পাদদেশে নদী প্রবাহিত। তারা সেখানে চিরস্থায়ী হবে; আল্লাহ তাদের প্রতি প্রসন্ন এবং তারাও তাঁর প্রতি সন্তুষ্ট; এটা মহাসফলতা। (সূরা মায়িদা, আয়াত : ১১৯)
নবীজি (সা.) বলেন, সত্যবাদী ব্যবসায়ী কিয়ামতের দিন নবী সিদ্দীক ও শহীদগণের সঙ্গে থাকবে। সত্যবাদী ব্যবসায়ী কারা তা হাদিসে এভাবে বর্ণিত হয়েছে, যদি ক্রেতা-বিক্রেতা সত্য বলে এবং ভালো-মন্দ প্রকাশ করে দেয় তাহলে তাদের লেনদেন বরকতময় হবে। আর যদি উভয়ে মিথ্যা বলে এবং দোষত্রুটি গোপন করে তাহলে এ লেনদেন থেকে বরকত উঠিয়ে নেওয়া হবে। (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ১৫৩২)
চিন্তা করে দেখতে হবে জীবনের বাঁকে বাঁকে প্রতি পদক্ষেপে আমরা কত মিথ্যার কি পরিমাণ আশ্রয় নিচ্ছি। সততা থেকে কত পিছিয়ে আমরা। আমাদেরকে সদাসর্বদা কথা ও কাজে সততা, সত্যতা ও স্বচ্ছতা রক্ষা করতে হবে। মিথ্যার অভিশাপ ও গ্লানি থেকেও বাঁচতে হবে। তাহলে মানুষ আমাদেরকে শ্রদ্ধা করবে এবং মহান আল্লাহও দেবেন আখেরাতে এর যথোপযুক্ত বিনিময়। মহান রাব্বুল আলামিন আমাদের সকলকে সততার সাথে জীবন নির্বাহ করার তাওফিক দিন। আমিন