মির্জা কিরণ, লালমনিরহাট:সৃষ্টিলগ্ন থেকে মানুষের জ্ঞান, বুদ্ধি ও অর্জিত অভিজ্ঞতা লিপিবদ্ধ হয়ে আসছে বইয়ের পাতায়। অন্তহীন জ্ঞানের সেই উৎস তাথা বইয়ের আবাসস্থল হচ্ছে পাঠাগার যা অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের সেতুবন্ধন রচনার অন্যতম মাধ্যম। পাঠাগার মানুষের বয়স, রুচি ও চাহিদা অনুযায়ী বই সরবরাহ করে।

এলাকার সব ধরনের লোককে শিক্ষানুরাগী করে তুলতে ২০১৮ সালে যাত্রা শুরু করে ‘পিজিয়ন পাঠাগার’। লালমনিরহাট জেলার সদর উপজেলার বড়বাড়ী ইউনিয়নের স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গামী শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘পিজিয়নের’ উদ্যোগে গড়ে ওঠে এ পাঠাগার।

ছোটদের গল্পের বই, কিশোর উপন্যাস, মুক্তিযুদ্ধের বই, ইসলামিক বই, বাংলাদেশি বিভিন্ন লেখকের বই, ইংরেজি শেখার বই, সাময়িকীসহ বিশ্ববরেণ্য লেখকের বইয়ের অনুবাদ সহ প্রায় পাঁচ শতাধিক বই রয়েছে এই পাঠাগারে। পাঠাগার টি প্রতি রবি, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত খোলা থাকে। নামমাত্র ফি দিয়ে সদস্য হয়ে নিয়মিত বই পড়ার সুযোগ পাচ্ছে সব ধরনের লোক।

‘পিজিয়ন’ এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এম এ তালেব বলেন, এ এলাকায় কোন পাঠাগার না থাকায় শিক্ষার্থীদের চিন্তা চেতনা পাঠ্য বইয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকতো। আবার অনেকের ইচ্ছা থাকলেও অর্থের অভাবে বই কিনতে পারতো না। তাদের জ্ঞানরে সীমা কিছুটা বৃদ্ধি করতে আমাদের এ প্রয়াশ।

তিনি বলেন, পিজিয়ন যেহেতু একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন তাই ইচ্ছাশক্তি থাকলেও প্রয়োজনীয় সংখ্যক বই বা অন্যান্য সামগ্রী কেনার মত তহবিল তাদের নেই। তাই তিনি পাঠাগারটি সমৃদ্ধ করতে বই, সেলফ, চেয়ার, টেবিলসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহে শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিবর্গের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।