ঝিনাইদহ সরকারি ভেটেরিনারি কলেজ থেকে কাজী সবুর :"সুস্থ সবল জাতি চাই সব বয়সে ডিম খাই" এই প্রতিপাদ্য সামনে রেখে ১৯ শে অক্টোবর রোজ বৃহস্পতিবার ঝিনাইদহ সরকারি ভেটেরিনারি কলেজে এক জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিশ্ব ডিম দিবস পালিত হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে এক বণার্ঢ্য র্যালির আয়োজন করা হয় র্যালিটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে প্রশাসনিক ভবনের সামনে শেষ হয়। র্যালি শেষে অডিটোরিয়াম হলে ডিম দিবস বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঝিনাইদহ সরকারি ভেটেরিনারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক কৃষিবিদ আবু জাফর মো.ফেরদৌস।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কলেজটির অধ্যক্ষ ডা. মো. আব্দুল হাই। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ জেলা সিভিল সার্জন মহোদয় ডাঃ রাশেদা সুলতানা এবং জেলা প্রানিসম্পদ কর্মকর্তা মহোদয় ডাঃ মোঃ হাফিজুর রহমান। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, "বাংলাদেশে ডিমের চাহিদা পূরণে খামারিদের আরো বেশী মনোযোগি হতে হবে। সেই সঙ্গে সরকারকে খামারীদের সমস্যা সমাধানে এবং ভর্তুকি দেয়ার মাধ্যমে পোল্ট্রি শিল্পকে এগিয়ে নিতে হবে। একটি সুখী সমৃদ্ধশালী ও স্বাস্থ্যবান জাতি গঠনে ডিমের কোন বিকল্প নেই"।
প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণ ও স্বাস্থ্যবান এবং মেধাবী জাতি গঠনের লক্ষ্যে ডিমের গুণাগুণ সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়ানো উচিৎ। বাংলাদেশের মানুষ বছরে ডিম খায় গড়ে ৫১ টি অথচ জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) এর মতে-সুস্থ্য থাকার জন্য জনপ্রতি ডিম খাওয়া প্রয়োজন অন্তত ১০৪ টি। তবে বাংলাদেশ লাইভস্টক সোসাইটি বলছে, দেশের মানুষ বছরে ডিম খায় গড়ে মাত্র ৪৫ থেকে ৫০ টি। অর্থাৎ দেশের মানুষের আরও বেশি ডিম খাওয়া উচিৎ। এসকল বিষয়ের পাশাপাশি ডিম কিভাবে সুস্থ সবল প্রতিবাবান জাতি গঠনে ভৃমিকা রাখে সেগুলোর চমৎকার উপস্থাপনা করেন মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক ড. আবু জাফর মো. ফেরদৌস। সিভিল সার্জন তার বক্তব্যে বুদ্ধিদীপ্ত জাতী গঠনে ডিমের ভূমিকার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।
সভাপতির বক্তব্যে ডা. অমলেন্দু ঘোষ ডিমের কোলেস্টেরল সম্পর্কিত ভুল ধারনার অবসান ঘটিয়ে সবাইকে ডিম খাবার আহবান জানান। উল্লেখ্য ডিম দিবসে কলেজের শ্লোগান ছিল, "নবীন থেকে প্রবীণ, ডিম খান প্রতিদিন"। সভা শেষে সকরের মাঝে সিদ্ধ ডিম বিতরন করা হয়।
পোল্ট্রি সংশ্লিষ্ট ৭ টি অ্যাসোসিয়েশনের সমন্বয়ে গঠিত বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ড্রস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি) ও মৎস ও প্রাণী সম্পদ অধিদফতর যৌথভাবে অনুষ্ঠানটি আয়োজনে সহায়তা করে।