মুফতী মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা শাহ:ইচ্ছায় হোক বা অনিচ্ছায় অথবা ভুলক্রমে নিম্নের ব্যক্তিদেরকে যাকাত দিলে যাকাত আদায় হবে না। বরং জানার পর পুনরায় নির্দিষ্ট খাতে যাকাত দিতে হবে।
১.ধনী ব্যক্তির জন্য যাকাত খাওয়া বা ধনী ব্যক্তিকে যাকাত দেওয়া জায়েজ নয়। এমনকি ধনীদের নাবালেগ সন্তানদের যাকাত দেওয়া যাবে না।
২.আপন দরিদ্র পিতা-মাতা, দাদা-দাদী, তথা ঊর্ধ্বস্থ সকল নারী-পুরুষ।
৩.ভরণ-পোষণে নির্ভরশীল পুত্র-কন্যা এবং স্বামী-স্ত্রীকে যাকাত প্রদান করা জায়েজ নাই।কেননা যাকাত বহির্ভূত সম্পদের দ্বারাই তাদেরকে ভরণ-পোষণ করা ওয়াজিব।
৪.মুহাম্মাদ (সা.)-এর প্রকৃত বংশধরদের সম্মান ও মর্যাদার কারণে যাকাতের অর্থ দ্বারা তাঁদেরকে সাহায্য করা জায়েজ নয়। একমাত্র দানের অর্থ দ্বারাই তাঁদের খেদমত করা জরুরী।
৫. মসজিদ, মাদ্রাসা, রাস্তা-ঘাট ইত্যাদি নির্মাণের জন্য যাকাতের অর্থ ব্যয় করা নিষেধ।
৬.সাধারণ আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করাও জায়েজ নয়। তবে আশ্রয় কেন্দ্রে দুরাবস্থা সম্পন্ন আশ্রয়প্রার্থীদের ব্যক্তি মালিকানাধীন ঘর-বাড়ী নির্মাণ করে দেয়া জায়েজ।
৭. মনে রাখতে হবে যাকাত পরিশোধ হওয়ার জন্য ব্যক্তিকে মালিক বানিয়ে দেওয়া শর্ত। সুতরাং যাকাতের অর্থে মৃত ব্যক্তির দাফন-কাফনের ব্যবস্থা করাও জায়েজ নয়। যাকাত দেওয়া যেমন শরীয়তের বিধান, অনুরূপভাবে যাকাত পাওয়ার যোগ্য ব্যক্তিকেই যাকাত দেওয়া শরীয়তের বিধান। সঠিক পাত্রে যাকাত প্রদান না করলে যাকাত পরিশোধ হবে না। তাই যাকাত দাতার উচিত যাকাত দেওয়ার পূর্বে নিশ্চিত হওয়া যে, এটি যাকাত পাওয়ার সঠিক খাত কি না।
--সংকলক: মোহাদ্দিস ইসলামিয়া আলিয়া কামিল মাদ্রাসা, চকবাজার, কুমিল্লা