আগামীর বাংলাদেশ ভাবনায় বাকৃবি ছাত্রদলের সেমিনার অনুষ্ঠিত

Category: কৃষিবিদ ও ক্যাম্পাস Written by Shafiul Azam

বাকৃবি প্রতিনিধি:বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ‘আগামীর বাংলাদেশ: উৎপাদনমুখী শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষার্থীদের ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সম্মেলন কক্ষে ওই সেমিনারের আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, বাকৃবি শাখা।

বাকৃবি শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মো. শফিকুল ইসলাম শফিকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি হাওর ও চর উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আবুল কালাম আজাদ, সোনালী দলের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আহমদ খায়রুল হাসান বাদল এবং অধ্যাপক ড. বদিউজ্জামান খান।

এছাড়া কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শ্যামল মালুম, যুগ্ম সম্পাদক দেওয়ান ছাইদুল ইসলাম পলাশ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. রাব্বি হাসান ও নুরুজ্জামান চন্দনসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. আতিকুর রহমান আতিক, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এ এস এম শোয়াইব এবং যুগ্ম আহ্বায়ক তারিকুল ইসলাম তুষার।

আলোচনায় দেওয়ান ছাইদুল ইসলাম পলাশ বলেন, “টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এখানকার শিক্ষার্থীরাই ভবিষ্যতে দেশের প্রযুক্তিনির্ভর উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখবে।

ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শ্যামল মালুম বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের বহুদলীয় গণতন্ত্রকে উন্মুক্ত করেন এবং বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তন করেন। তিনি কৃষিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে সেচ ব্যবস্থা ও ইরি ধান চাষ চালু করেন, ১৯৮০ সালে ধান রপ্তানির উদ্যোগ নেন। পাশাপাশি গার্মেন্টস শিল্প ও প্রবাসী শ্রমিক রপ্তানির দ্বারও তার হাত ধরেই উন্মোচিত হয়। নারী উন্নয়নের জন্য তিনিই প্রথম নারী বিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠন করেন। সল্প শর্তে উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে প্রাথমিক যে মূলধন লাগে তা আমরা দেওয়ার বিষয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কাছে জানানো হবে। ২০১২ সালের পর থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলোতে ভরিভরি নকল করে শিক্ষার মানকে ধ্বংস করা হয়েছিল। আমরা ক্ষমতায় আসলে নকল মুক্ত শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নত করবো।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সোনালী দলের সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিতত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. আহমদ খায়রুল হাসান বলেন, দেশের মানুষের মধ্যে উৎপাদনমুখী শিক্ষার অভাব আছে। এই শিক্ষা প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু করতে হবে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রচলিত যে ব্যবস্থা সেটিকে উন্নত করতে হবে। আমাদের এই ছোট্টো দেশে সবাই শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি করতে চাইলে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। উদ্যোক্তা হওয়ার দিকে মনোনিবেশ করতে হবে। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি নৈতিক শিক্ষার দিকেও গুরুত্বারোপ করতে হবে।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সোনালী দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং হাওর ও চর উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. আবুল কালাম আজাদ বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থা হতে হবে দেশের চাহিদা মোতাবেক। শিক্ষা, চিকিৎসা, খাদ্য সকল ক্ষেত্রেই দেশের উন্নয়নের জন্য যা প্রয়োজন সেটি করতে হবে। উন্নয়নকে বাস্তবমুখী করতে হলে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি কর্মমুখী শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে। দেশে মোট হাওর আছে ৪০ টি। দেশের মোট মাছের প্রায় ২৭ ভাগ আসে হাওর থেকে আবার বোরো ধানের প্রায় ৩৫ ভাগ আসে হাওর থেকে। অথচ হাওরে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় সুযোগ-সুবিধা নেই বললেই চলে। হাওরে সমন্বিত গরুর খামারসহ উন্নত কৃষিকাজ প্রতিষ্ঠা করা গেলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানীর দিকেও এগোনো যাবে। দেশের উন্নয়নে শিক্ষিত, দূরদর্শী ও সৎ মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে হবে।