বাকৃবি প্রতিনিধি:বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) হেলথ কেয়ার সেন্টার থেকে চিকিৎসা নেওয়ার পর মুমূর্ষু অবস্থায় রয়েছেন কৃষি অর্থনীতি ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষার্থী মো. মারুফবিল্লাহ।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টায় পর তিনি হেলথ কেয়ার সেন্টার থেকে চিকিৎসা নেন। এরপর অবস্থা খারাপ হলে সন্ধ্যা ৬টার দিকে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি জরুরি ইউনিটে ভর্তি আছেন।
অসুস্থ শিক্ষার্থীর রুমমেট মো. আলামিন বলেন, মারুফবিল্লাহ সকাল থেকে সামান্য মাথা ব্যথা ও পেট ব্যথায় ভুগছিলেন। এরপর দুপুর ১২টার দিকে সামান্য বমি করেন। পরবর্তী খাওয়ার পর তিনি হেলথ কেয়ার সেন্টারে চিকিৎসা নিতে যান। সেখানে দায়িত্বরত ডাক্তার তাকে বমি ও গ্যাস নিরসনের কথা বলে ইনজেকশন দেন। পরে হলে ফেরার পর তার অবস্থা আরও খারাপ হয়। প্রচণ্ড খিঁচুনি ও বমি শুরু হয়। খিঁচুনির অবস্থা এতটাই ভয়াবহ ছিল যে মনে হচ্ছিল হাত-পা ভেঙে যাবে।
হেলথ কেয়ার সেন্টারের ডেপুটি চিফ মেডিক্যাল অফিসার ডা. পার্থ সেন বলেন, প্রত্যেক ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। কারও ক্ষেত্রে কম, কারও ক্ষেত্রে বেশি হতে পারে। তা নির্ভর করে ব্যক্তির জেনেটিক্স এবং শারীরিক অবস্থার ওপর। শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রেও এসব কারণে হতে পারে। তবে আতঙ্কের কিছু নেই।
ডেপুটি চীফ মেডিক্যাল অফিসার ডা. শরীফা আক্তার বলেন, ওই শিক্ষার্থী যখন আমার কাছে চিকিৎসা নিতে আসে, তখন তার বন্ধুরা বলেছিল, সে কোনো কিছু খেয়ে পেটে রাখতে পারছে না। সেই কারণে তাকে বমি নিয়ন্ত্রণের ইনজেকশন দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তী বমির পর দেহে পানিশূন্যতা এবং আতঙ্কিত থাকার কারণে সেই জটিলতা হতে পারে। তবে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের কোনো কমতি নেই।
সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. আবু তারেক বলেন, এখানে কর্মরত কোনো চিকিৎসকই শিক্ষার্থীদের শত্রু নন। আমরা নিয়মিত শিক্ষার্থীদের কষ্ট লাঘবের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। ওই শিক্ষার্থীর জটিলতা ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এবং শারীরিক দুর্বলতার কারণে হতে পারে। তার কষ্ট হচ্ছিল বলেই ইনজেকশনটি দেওয়া হয়েছে।
ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্র থেকে সেবা নেওয়ার পর অসুস্থতা আরও বেড়ে যাওয়া কখনও কাম্য নয়। বর্তমানে হেলথ কেয়ারের মানোন্নয়নের জন্য আরও ১০ জন চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়ার কাজ চলছে। এটি জ্বর এবং মাথা ব্যথাসহ কয়েকটি চিকিৎসার ভণ্ডি থেকে বের হবে। আমি দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসকের সঙ্গে এখনই কথা বলছি। পরবর্তীতে আমাদের সিদ্ধান্ত জানানো হবে।