এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নারকেলবাড়িয়া ক্যাম্পাসে ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্সেস অনুষদের প্রতিষ্ঠাতা ডীন ও বাংলাদেশ লাইভস্টক সোসাইটির সভাপতি প্রফেসর ডঃ মোঃ জালাল উদ্দিন সরদারের সভাপতিত্বে আজ ২৬ শে মার্চ বিকেল ৪ঃ০০ ঘটিকায় স্বাধীনতা দিবস ও শিশু মেধা বিকাশ ও মাতৃ মৃত্যু হ্রাসে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয় ।
বিজ্ঞান প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় কর্তৃক বিজ্ঞান সেবী সংস্থা জন্য আর্থিক অনুদান ২০২৩-২০২৪ ফান্ড হতে বাংলাদেশ লাইভস্টক সোসাইটির কার্যক্রমের অংশ হিসেবে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাবি ভেটেনারি এন্ড এনিমেল সাইন্সেস বিভাগের প্রফেসর ডঃ মুহাম্মদ আখতারুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক ও রোটারি ক্লাব অব রাজশাহী সেন্ট্রাল এর প্রেসিডেন্ট ড. মো. হেমায়েতুল ইসলাম আরিফ, ব্র্যাকের পশ্চিম অঞ্চলের এরিয়া ম্যানেজার এম এ মান্নান, ভেটেরিনারি সার্জন ডা. আল হেলাল মন্ডল এবং বেগম ফজিলাতুন নেশা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা বারিকুল ইসলাম।
ড. আরিফ বলেন, যখন একটি দেশর মোট কর্মক্ষম অর্থাৎ ১৫-৬৪ বছর বয়সী জনগোষ্ঠী মোট জনসংখ্যার ৬০ ভাগের বেশী হয় তখন ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডে অবস্থান বা জনমিতিক মুনাফায় অবস্থান করছে বলে ধরে নেওয়া হয়। শিশুর বিকাশ এবং মাতৃ মৃত্যু হ্রাসে প্রানিজ আমিষের বিকল্প নেই। প্রানিজ আমিষ বলা হয়, প্রথম শ্রেণীর আমিষ যা মানুষের শারীরিক গঠন, মেধাবিকাশ এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কার্যকর।
প্রধান অতিথি প্রফেসর ডঃ মো. আখতারুল ইসলাম বলেন, আমিষের এন্ড প্রোডাক্ট এমাইনো এসিড। অনেক খাদ্যে সকল অ্যামাইনো এসিড থাকে না। কিন্তু প্রাণীজ আমিষে সকল ধরনের অ্যামাইনো এসিড থাকে। কাজেই এটি সর্বাধিক কার্যকর শারীরিক গঠন এবং মেধাবিকাশের জন্য।
বিশেষ অতিথি মান্নান বলেন আমরা পরিসংখ্যানে দেখি বাংলাদেশের মানুষ প্রতিদিন গড়ে ১৩৭ দশমিক ৩৮ গ্রাম মাংস, ২২১ দশমিক ৮৯ মিলি দুধ ও প্রায় ১৩৪টি ডিম গ্রহণ করছে । কিন্তু যারা উৎপাদন করেন, তারা কি খেতে পারেন।
ব্র্যাকের এ আই কর্মীরা তাদের ট্রেনিং শেষ করে প্রাণীজা আমিষের যোগান দিতে সর্বাত্মকভাবে কাজ করবে। বিভিন্ন পরিসংখ্যান তুলে ধরে সরকারের সঙ্গে তুলনামূলক চিত্রে দেখান যে সরকারের সহযোগী সংস্থা হিসেবে দেশের উন্নয়নে যথেষ্ট ভূমিকা রাখছে।