সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে একঝাঁক গবেষণা-পাঙ্গাস মাছের মড়ক রোধ করবে বায়োফিল্ম ভ্যাক্সিন

গবেষণা ডেস্ক:বাংলাদেশের মানুষের খাদ্যতালিকায় থাকা জনপ্রিয় মাছ পাঙ্গাসের মড়ক রোধ করতে বায়োফিল্ম নামে নতুন ভ্যাক্সিন উদ্ভাবিত হয়েছে। সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্য স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের ড. মোঃ আবদুল্লাহ আল মামুন এই ভ্যাক্সিন আবিষ্কার করেছেন বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তর।

২০ জানুয়ারি বুধবার সকাল দশটায় মাৎস্য বিজ্ঞান অনুষদের উদ্যোগে পিএইচডি গবেষণা ফলাফলের উপর সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এই সেমিনারে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ গবেষণার তথ্য প্রকাশিত হয়। ডিএনএ বারকোডিং এর মাধ্যমে জেনেটিক পদ্ধতিতে একই প্রজাতির মাছ সনাক্তের মাধ্যমে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি চাষাবাদ পদ্ধতিতে আমূল পরিবর্তন আনা সম্ভব বলে জানিয়েছেন আরেকটি গবেষক দল। মৎস্য জীববিদ্যা ও কৌলিতত্ত্ব বিভাগের ড. শামীমা নাসরীনের নেতৃত্বে এই গবেষণাটি সম্পন্ন হয়। এছাড়া “সয়াগ্রোথ বোস্টার” নামক প্রোটিন পরিপূরকের পেটেন্ট পেয়েছেন মাৎসচাষ বিভাগের ড. মোহাম্মদ এনামুল কবির। যা মৎস্য, ডেয়রি ও পোল্ট্রি শিল্পে প্রোটিনের পরিপূরক হিসেবে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্টরা।

স্যাটেলাইট প্রযুক্তি ব্যবহার করে সামুদ্রিক কুয়াশা (সি-ফগ) নির্ধারণ ও এর স্থানান্তর প্রক্রিয়া নির্ণয়ের মাধ্যমে সামুদ্রিক দূর্ঘটনা রোধ করার আরেকটি কৌশল আবিষ্কার করেছেন জলজ সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের ড. আহমেদ হারুন-আল-রশীদ। তিনি এই প্রযুক্তির প্যাটেন্ট অর্জন করেছেন বলে সেমিনারে নিশ্চিত করা হয়।

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন মাৎসবিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ আবু সাঈদ। সহকারী প্রফেসর মোঃ আরিফুল ইসলামের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন মাৎস্যচাষ বিভাগের প্রফেসর ড. মোঃ শাহাব উদ্দিন, প্রফেসর ড. মোহাঃ তরিকুল আলম, সেমিনার আয়োজক কমিটির আহবায়ক ড. মোহাম্মদ আবু জাফর ব্যাপারী, ড. মোঃ তাওহীদ হাসানসহ অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ। সবশেষে মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদে নতুন যোগদানকৃত ৬ জন শিক্ষককে ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়া হয়।