লকডাউনে আতংকিত না হয়ে নিত্যপণ্য মজুত না করতে ক্যাব চট্টগ্রামের আহবান

Category: ফার্ম টু ডাইনিং Written by agrilife24

এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম:সোমবার থেকে শুরু হওয়া লকডাউনে আতংকিত হয়ে অতিরিক্ত নিত্যপণ্য ক্রয় ও মজুত না করার জন্য দেশের সকল পর্যায়ের ভোক্তাদের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগীয় ও মহানগর কমিটির নেতৃবৃন্দ। ০৪ রোববার বিকালে গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারন সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, ক্যাব মহানগরের সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু ও ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল মান্নান উপরোক্ত আহবান জানান জানান।  

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন গত বছরও একই ভাবে অনেক ভোক্তা লকডাউনের ঘোষনা দেবার পর একসাথে অনেক নিত্যপণ্য এমনকি চাল, ডাল, ভোজ্যতেল, সাবান, হ্যান্ডস্যানিটাইজার, স্যাভলন, অক্সিজেন সিলিন্ডারসহ সবকিছুই মজুত করে নিজের বাসগৃহকে গুদামে পরিনত করেন। কিন্তু ২ মাস যেতে না যেতেই পণ্যগুলি মেয়াদোর্ত্তীন এবং অনেকগুলো নষ্ট হতে হতে শুরু করলো। আবার একসাথে এভাবে হুমড়ি খেয়ে পণ্য কেনায় ঝাপিয়ে পড়ায় ব্যবসায়ীরা দাম ২-৩গুন বাড়িয়ে দেন। ফলে ক্রেতারা নিজেরাই বেশী দামে কিনতে বাধ্য হন। কিন্তু ১ মাস যেতে না যেতেই দাম কমে অর্ধেকে নেমে আসলো।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আর ও বলেন পবিত্র ধর্ম ইসলামে পণ্য মজুতকে হারাম ঘোষনা করা হয়েছে। তারপরও মানুষ পবিত্র রমজানকে সামনে রেখে মজুত ব্যবসায় নেমে পড়েন। আর এভাবে মজুত করার কারনে প্রান্তিক ও স্বল্প আয়ের জনগোষ্ঠিও তাদের প্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয়ে জঠিলতার সম্মুখীণ হয়। তাই নিজের সুবিধার্থে অন্যের জন্য প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা কোন ধর্মই সমর্থন করবে না। অন্যদিকের সরকারের পক্ষ থেকে বারবার বলা হচ্ছে নিত্যপণ্যের আমদানি ও মজুত যথেষ্ট সে কারনে পণ্য নিয়ে দুশ্চিন্তার কোন কারন নেই।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন পবিত্র রমজান মাস এলেই আমাদের দেশের কিছু ধনাঢ্য ব্যক্তি, রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান প্রতিযোগিতা আকারে ইফতার সামগ্রী বিতরন করে থাকেন। আবার অনেকে অধিক বরকত লাভের আশায় ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে থাকেন। কিন্তু পুরো রমজান মাস জুড়ে সাধারন দরিদ্র মানুষ যেন ইফতার ও সেহেরী সাশ্রয়ী মূল্যে খেতে পারেন তার জন্য কিছু না করে অনেকটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বা সুনাম কুড়ানোর জন্য এ সমস্ত আয়োজন করেন। এতে সাধারন মানুষের একবেলা ইফতার জুটলেও পুরো মাসে রমজানে নিত্য ব্যবহার্য ইফতার সামগ্রীসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্য পণ্যের চরম উর্ধ্বগতিতে জনজীবন অতিষ্ঠ, সেখানে তাঁরা কোন ভুমিকা না রেখে নিজের কর্তৃত্ব জাহির করার জন্য এ ধরনের ইফতার সামগ্রী বিতরনের আয়োজন সাধারন মানুষের জীবন যাত্রায় তেমন সহায়ক ভুমিকা রাখছে না। দান হিসাবে ইফতার সামগ্রী প্রদান করার কারনে এ সমস্ত সামগ্রীর যোগান ও সরবরাহে নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে এবং তাই ইফতার সামগ্রীর পরিবর্তে নগদ অর্থ প্রদান করা হলে দরিদ্র মানুষ তার প্রয়োজন অনুযায়ী কেনা-কাটা করতে পারবে। অথচ দান-খয়রাত ও জাকাত দরিদ্র মানুষের প্রতি করুনা নয়, বরং এটা তাদের অধিকার হলেও ইফতার ও যাকাতের কাপড় বিতরণের সময় প্রতিবছর বিপুল পরিমান প্রাণহানি ঘটে। ইফতার সামগ্রী বিতরণকালে অনেক সময় অপচয়ও ও অপচয় হয়ে থাকে।