মিষ্টিকুমড়ার গুণাগুণ

Category: ফার্ম টু ডাইনিং Written by agrilife24

নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): মিষ্টিকুমড়া এদেশের অন্যতম জনপ্রিয় সবজি। এর কারণ দু’টো। এক, সারা বছর পাওয়া যায় এবং দুই, পাকা অবস্থায় বহুদিন সংরক্ষণযোগ্য। এর ফল, ফুল ও ডগা অত্যন্ত সুস্বাদু। পুষ্টিকরও বটে। মিষ্টিকুমড়া দিয়ে ভাজি এবং তরকারি ছাড়াও তৈরি করা যায় চপ, খিচুরি এবং জুসের মতো মুখরোচক নানান খাবার।

পুষ্টিবিজ্ঞানীদের মতে, এর প্রতি ১০০ গ্রাম মিষ্টিকুমড়ায় ভিটামিন-এ ৭২০০ মাইক্রোগ্রাম, ভিটামিন-সি ২৬ মিলিগ্রাম এবং ক্যালসিয়াম আছে ৪৮ মিলিগ্রাম করে। অন্যান্য পুষ্টি উপাদানের মধ্যে শর্করা, আমিষ, লৌহ, চর্বি, ভিটামিন-বি ও খাদ্যশক্তি রয়েছে যথাক্রমে ৪ দশমিক ৫ গ্রাম, ১ দশমিক ৪ গ্রাম, ০ দশমিক ৭ মিলিগ্রাম, ০ দশমিক ৫ গ্রাম, ০ দশমিক ১৩ মিলিগ্রাম এবং ৩০ কিলোক্যালরি। শুধু কী তাই!  আছে আরো গুণাগুণ। রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। শরীরের ওজন কমায়। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধি করে। কিডনি, লিভার ও হার্টের জন্য হিতকর।

না জানার কারণে এদেশে ভিটামিন-এ’র অভাব এখনো পূরণ হয়নি। এটি সবচেয়ে বেশি দেখা দেয়  শিশু, গর্ভবতী এবং দুগ্ধদানকারী মায়েদের মধ্যে। এতে শিশুরা রাতকানায় আক্রান্ত হয়। তবে চিকিৎসা না করলে পুরোপুরি অন্ধ, এমনকি মৃত্যুও হতে পারে। এছাড়া এদের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও বুদ্ধির বিকাশে হয় বাঁধাপ্রাপ্ত। পাশাপাশি বড়রাও হচ্ছেন নানা রোগের সম্মুখীন। অথচ মিষ্টিকুমড়াসহ অন্যান্য ক্যারোটিনসমৃদ্ধ সবজি নিয়মিত খেলে এসব সমস্যা প্রতিরোধ সম্ভব। তাই এ জাতীয় সবজি আমাদের সবসময় খাওয়া বাঞ্ছনীয়।