রাইখালিতে উপকারী নভেল বেসিলাস ব্যাক্টেরিয়ার মাঠ পরিদর্শন করলেন কৃষিবিজ্ঞানী, কৃষক ও গণমাধ্যমকর্মীগণ

দীন মোহাম্মদ দীনু:ব্যাক্টেরিয়ার নাম শুনলেই মানুষ আগে ভয় পেতো, এখন আর ভয় নয়, বন্ধু হিসেবে বেসিলাস ব্যাক্টেরিয়াকে গ্রহন করা যাবে, এমনটিই জানালেন কৃষি গবেষকরা। আজ ২৬ ফেব্রুয়ারি রোজ শুক্রবার কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, রাইখালিতে হাতে কলমে বেসিলাস ব্যাক্টেরিয়ার ব্যবহার ও প্রয়োগ নিয়ে এক ব্যতিক্রম ধরনের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। সম্প্রসারণ কর্মী, গবেষণা সহকারী, সমাজ কর্মী, শিক্ষক মন্ডলী, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব এবং এনজিও প্রতিনিধিদের নিয়ে উক্ত ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়েছে।

ড. ফিরুজা খাতুন মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তার সভাপতিত্বে এবং মো. কামাল হোসেন এর উপস্থাপনায় প্রধান অতিথি হিসেবে প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এর সাবেক পরিচালক ড. মো. আশরাফ হোসেন। প্রধান গবেষক ও উর্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এবং .কর্মসুচি পরিচালক ড.মু. তোফাজ্জল হোসেন রনি প্রশিক্ষণের মুল প্রবন্ধ তুলে ধরেন। প্রশিক্ষক হিসেবে আরো অংশনেন প্রধান বৈজ্ঞানিক ড. মো. ইকবাল ফারুক।

প্রধান অতিথি ড. হোসেন বলেন, উপকারী বেসিলাস ব্যাক্টেরিয়াগুলো শক্তিশালি পেপ্টাইডোগ্লাইকোন এর মাধ্যমে প্রতিকুল অবস্থায় গাছকে খাদ্যরস গ্রহণে সহয়তা করে শক্তিশালি করে যার ফলে জীবাণুরা অবস্থান করতে পারেনা। ফলে গাছ আর ঢলে পড়ে না।

ড. ফিরুজা বলেন, নভেল বেসিলাস এর প্রয়োগ একটি নতুন বিষয় যার উপর আরো জোড়ালো গবেষণা করতে হবে। সারা দেশ ব্যাপী পরিবেশ বান্ধব নভেল বেসিলাস কৃষকের কাছে সহজ ভাবে পৌছে দিতে হবে যা বিশ্বের বহুদেশ করে যাচ্ছে, তবে পরে হলেও আমরা শুরু করেছি।

প্রধান আলোচক ড. হোসেন বলেন, অঞ্চল ভিত্তিক এই গবেষণার কার্যক্রম বাড়াতে হবে। গেল বছরের ফলাফল খুবই ভাল হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, দেশে বড় আকারে বায়ো-সেন্টার করে এ ধরনের কাজকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। প্রতিবেশি বহু দেশেই আজ বায়োফার্মোন্টারের মাধ্যমে এই কাজ চলছে, আমাদের দেশে তা এখনও গড়ে ওঠেনি। সুতরাং বিষমুক্ত কৃষির জন্য কৃষিবিদদের আজ ভাবতে হবে।

ব্যাক্টেরিয়ার জীবন ব্যবস্থাপনা, সংরক্ষণ, কালচার, নামকরণ এবং কৃষিতে উপকারী বেসিলাস এর ব্যবহার প্রয়োগ এবং ঢলে পড়া রোগ দমন ব্যবস্থাপনা নিয়ে ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। পরে সভাপতি, কর্মসূচি পরিচালক আগুন্তক সম্প্রসারণ কর্মীদের নিয়ে মাঠে বেসিলাস প্রয়োগ করেন।