মো: আমিনুল ইসলাম:চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে কৃষক পর্যায়ে উন্নতমানের ডাল, তেল, মসলা বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণ প্রকল্পের আওতায় গত ১৬ ইজানুয়ারী (শনিবার) হোসেন ডাইংয়ে মাঠ দিবস ও পর্যালোচনা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মুহাম্মদ নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খামারবাড়ি কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিচালক (সরেজমিন উইং) কৃষিবিদ এ. কে. এম. মনিরুল আলম।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রাজশাহী অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মো. সিরাজুল ইসলাম। আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার কৃষিবিদ ড. বিমল কুমার প্রামাণিক, জেলা বীজ প্রত্যয়ন অফিসার কৃষিবিদ ড. পলাশ সরকার, অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য) কৃষিবিদ এ কে এম মঞ্জুরে মাওলা, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ সলেহ আকরাম।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোসা: কানিজ তাসনোভা।
প্রদর্শনী বাস্তবায়নকারী কৃষক মো. দিদারুল ইসলাম সেলিম বলেন, উপজেলা কৃষি অফিস থেকে সরবরাহকৃত বারি মসুর-৮ জাতের বীজ, সার, বালাইনাশক দিয়ে ৩ বিঘা জমিতে মসুর চাষ করেছেন। এজাতটি খুব ভালো, স্টেম ফাইলিয়াম রোগ প্রতিরোধী, আয়রণ ও জিংক সমৃদ্ধ। গত বছরও তিনি এ জাতের বীজ উৎপাদন করেছেন এবং উচ্চম‚ল্যের বীজ হিসেবে ২ লাখ টাকা লাভ করেছেন।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, সরকার নানা উদ্যোগ নিয়েছে কৃষক পর্যায়ে মানসম্মত বীজ উৎপাদন করার। এ লক্ষ্যে প্রতিটি ইউনিয়ন কৃষক গ্রুপ গঠন ও তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। তিনি উপস্থিত কৃষকদের নিরাপদ খাবার উৎপাদন করার পরামর্শ দেন। আমরা আমাদের উর্বর জমিতে বেশি করে সরিষা চাষ করতে পারি। তিনি আরো বলেন, প্রতিবছর ৩০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয় সয়াবিন তেল আমদানি করতে। এজন্য তিনি সরিষার আবাদ বাড়াতে উপস্থিত কৃষকদের আহবান জানান। তিনি দেশী পেঁয়াজ আবাদ বাড়ানোর গুরুত্ব উল্লেখ করে বলেন, যে কোনো খাদ্যদ্রব্য বিদেশী নির্ভরতা কমাতে সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে, সার, সেচে ভর্তুকি দিয়েছে। তাই কোনো জমি ফেলে রাখা যাবে না। তিনি এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সকল পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সচেষ্ট থাকার কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা/ কর্মচারীবৃন্দ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রোনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ, কৃষাণ-কৃষাণীসহ প্রায় ৪০০ জন উপস্থিত ছিলেন ।
