বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস-বিজয়ের পূর্ণতা লাভ

এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম:১০ জানুয়ারি বাঙ্গালির জীবনে এক ঐতিহাসিক দিন।১৯৭২ সালের এই দিনে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তিলাভ করে তাঁর প্রিয় স্বদেশ স্বাধীন বাংলাদেশে পদার্পণ করেন। আর এর মাধ্যমেই ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত মুক্তিযুদ্ধের মহান বিজয় পূর্ণতা লাভ করে। জাতির পিতার স্বপ্নের সুখী-সমৃদ্ধ, অসাম্প্রদায়িক ও বৈযম্যহীন সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করে বঙ্গবন্ধুর কাছে আমাদের যে অশোধ্য ঋণ, তা কিঞ্চিত শোধ করার প্রচেষ্টায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছে বাকৃবি নীল দল।

আজ রবিবার (১০ ডিসেম্বর) এক যৌথ বিবৃতিতে বাকৃবি নীল দলের আহবায়ক একোয়াকালচার বিভাগের প্রফেসর মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন এবং সদস্য সচিব পশু বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. সৈয়দ মোহাম্মদ এহসানুর রহমান এ আহবান জানান। দেশরত্ন বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার রাজনৈতিক দর্শনে বিশ্বাসী ত্যাগী ও পরীক্ষিতরাই পারবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে মানবতার নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত রুপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়ন ও “Bangladesh Delta Plan 2100” এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করেন নেতৃদ্বয়।

নীল দলের নেতৃবৃন্দ কলেন, এবার দিবসটি উদযাপনে ভিন্নতা নিয়ে এসেছে 'মুজিব বর্ষ'। ১৭ মার্চ ২০২০ থেকে ১৬ ডিসেম্বর ২০২১ পর্যন্ত সময়কালকে 'মুজিব বর্ষ' ঘোষণা করা হয়েছে-উদযাপনের জন্য নেয়া হয়েছে নানামুখী পরিকল্পনা যেখানে যুক্ত হয়েছে জাতিসংঘসহ বিশ্বের অধিকাংশ সদস্য রাষ্ট্র। ইতোমধ্যে ইউনেস্কো বঙ্গবন্ধুর নামে “Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman International Prize for the Creative Economy” একটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রবর্তনের ঘোষণা দিয়েছে যা মুজিব বর্ষে জাতির জন্য একটি মহান অর্জন।

১০ জানুয়ারি, ১৯৭২ সালে যখন তেজগাঁও বিমানবন্দরে লাখো মানুষ 'জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু' শ্লোগানে বাংলার আকাশ-বাতাস মুখরিত করে তুলেছিলেন, সেদিনই বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন "এ স্বাধীনতা আমার পূর্ণ হবে না যদি বাংলার মানুষ পেট ভরে ভাত না পায়, যদি বাংলার মা-বোনেরা কাপড় না পায়, যদি এ দেশের যুবক যারা আছে চাকরি না পায়।" বঙ্গবন্ধু দেশকে স্বাধীন করে দিয়ে এই দেশকে সর্বক্ষেত্রে বিজয়ী করার যে অনন্ত সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়ে গিয়েছেন, আমরা আজ জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেই পথে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছি।

বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, "তোমাদের কাছে আমার রক্তঋণ। তোমরা রক্ত দিয়ে আমাকে মুক্ত করে এনেছিলে। সেই রক্তের ঋণ আমি রক্ত দিয়ে শোধ করবো।" আর তিনি আমাদের রক্তঋণে আবদ্ধ করে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ ও ক্যারিশম্যাটিক নেতৃত্বে মহামারি করোনা সফলভাবে মোকাবিলা করে দেশকে বিশ্বের কাছে রোল মডেল হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন।